পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, বন রক্ষায় বন কর্মকর্তাদের সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করতে হবে। কাজের গতি বাড়াতে হবে এবং যেকোনো সমস্যা হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাতে হবে।
বৃহস্পতিবার বন ভবনে ‘নদীর প্রাণ ডলফিন-শুশুক, নিরাপদে বেঁচে থাকুক’- প্রতিপাদ্যে আন্তর্জাতিক মিঠাপানির ডলফিন দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত বিশেষ আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, বন কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য তার দরজা সবসময় খোলা থাকবে। এসময় ঝুঁকি ভাতা দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
উপদেষ্টা আরও বলেন, দেশের নদী ও জলাশয়ে মিঠাপানির ডলফিনের উপস্থিতি আমাদের পরিবেশের স্বাস্থ্য নির্দেশ করে। ডলফিন টিকিয়ে রাখতে নদী ও জলাশয়ের দূষণ রোধ এবং পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে হবে। এক্ষেত্রে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও সরকারের পদক্ষেপগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। ডলফিন রক্ষায় স্থানীয় জনগণকেও সম্পৃক্ত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ জিলুর রহমান। সভাপতিত্ব করেন বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী।
অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম. মনিরুল এইচ. খান, উপ-প্রধান বন সংরক্ষক ও সুফলের প্রকল্প পরিচালক গোবিন্দ রায় এবং বন অধিদপ্তরের বন্যপ্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ অঞ্চলের বন সংরক্ষক ইমরান আহমেদ প্রমূখ। অনুষ্ঠানে উপস্থিত বিশেষজ্ঞগণ বক্তারা ডলফিন রক্ষায় সাম্প্রতিক চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যত করণীয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পরিবেশ উপদেষ্টা অনুষ্ঠানে সাইটিস সার্টিফিকেশন প্রক্রিয়া ডিজিটালাইজড করার ওয়েবসাইট উদ্বোধন করেন। এসময় তিনি ডলফিন জরিপের ফলাফল ঘোষণা করেন। এই সমীক্ষার ফলে প্রায় ৬৩৬টি দল বা ১ হাজার ৩৫২টি গাঙ্গেয় ডলফিনের উপস্থিতি নির্ধারণ করা হয়। অনুষ্ঠানে ডলফিনের প্রদর্শনী ও প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :