জনপ্রশাসনে কাঠামোগত পরিবর্তনের সুপারিশ করা হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী। রোববার (১ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান বলেন, জনসাধারণের মতামত জানতে ঢাকার বাইরে সাধারণ মানুষের বক্তব্য শোনা হচ্ছে। তিন মাসের মধ্যে এটি করা খুব কঠিন, তবুও এর মধ্যেই প্রতিবেদন দেয়ার চেষ্টা চলছে। বিপুল সংখ্যক মানুষ প্রশাসনের কার্যক্রমে অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সরকারি কর্মকর্তাদের মধ্যে যেন রাজনৈতিক আবহ না থাকে সে জন্য জনপ্রশাসনে কাঠামোগত পরিবর্তন করার সুপারিশ করবে কমিশন। এর সঙ্গে সংবিধানসহ অন্যান্য সংস্কারও সংশ্লিষ্ট। সত্যিকার অর্থে কাজ করতে হলে একজন আমলাকে সাহস নিয়ে কাজ করতে হবে। কাক কাকের মাংস খায় না। আমলারাই আমলাদের ওপর সবচেয়ে জুলুম করে।
এদিন বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোখলেসুর রহমান জানান, ক্যাডার শব্দ বাদ দিয়ে সিভিল সার্ভিস করার প্রস্তাব দেয়া হবে। যেমন- সিভিল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, সিভিল সার্ভিস হেলথ, সিভিল সার্ভিস এগ্রিকালচার ইত্যাদি।
তিনি বলেন, এসিল্যান্ড, রেজিস্ট্রি অফিস সম্পর্কে অনেকের বাজে ধারণা আছে। দুর্নীতি জিইয়ে রাখা হয়েছে। সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসা হবে। মানুষ পরিবর্তন চায়। পরিবর্তনের জন্যই এ সরকার এসেছে। সেভাবেই কাজ করা হচ্ছে। এতদিনের অনিয়মের পেছনে দোষ সরকারি কর্মকর্তাদেরও আছে। জেলা প্রশাসক শব্দের বাইরে আরও অনেক প্রতিশব্দ আসে। এসব বিষয়ে পরামর্শ দেয়া হবে। যারা ক্ষমতা ও পদের অপব্যবহার করে তাদের কারণে অনেক জায়গায় পিছিয়ে আছি। এদের মূল ধারা থেকে সরাতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অন্যদের মধ্যে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের ছাত্র প্রতিনিধি মেহেদী হাসান বলেন, সরকারি কর্মকর্তা রাজনৈতিক বক্তব্য দেবেন না, জনগণের হয়ে কাজ করবেন। আমরা এটাই চাই। কর্মকর্তা তার নিজের কাজটিই করবেন, এর বেশি কিংবা কম কাজের প্রয়োজন নেই।
আপনার মতামত লিখুন :