ঢাকা শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর, ২০২৪
যা জানা গেল

সারজিসের বিরুদ্ধে সমন্বয়ক মিতুর শ্লীলতাহানির অভিযোগ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২৪, ০৫:৩৭ পিএম

সারজিসের বিরুদ্ধে সমন্বয়ক মিতুর শ্লীলতাহানির অভিযোগ

ছবি, সংগৃহীত

জুলাই শহীদ স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলমের বিরুদ্ধে ‘সমন্বয়ক ইয়াছমিন মিতু শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন। যে দাবিতে সামাজিক মাধ্যমে একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। তবে ভিডিওটি একটি অপপ্রচার, যা প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনা করা হয়েছে বলে জানাগেছে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তর্জাতিক ফ্যাক্টচেক প্রতিষ্ঠান রিউমর স্ক্যানার।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারজিস আলমের বিরুদ্ধে সমন্বয়ক ইয়াছমিন মিতুর শ্লীলতাহানির অভিযোগের দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটি আসল নয়। ভিন্ন একজন নারীর পুরোনো ঘটনার ভিডিও থেকে অডিও সংগ্রহ করে তা প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে একটি জাতীয় দৈনিকে মিতুর দেওয়া একটি বক্তব্যের ভিডিওতে যুক্ত করে আলোচিত দাবিতে প্রচার করা হয়েছে।

এ অবধি ফেসবুকে প্রচারিত উক্ত দাবির দুইটি ভিডিও দেখা হয়েছে প্রায় ৪৯ লক্ষের অধিক বার। এছাড়াও ভিডিও দুটি প্রায় সাত হাজারের অধিক বার শেয়ার করা হয়েছে। আলোচিত দাবিটির বিষয়ে অনুসন্ধারে জাতীয় দৈনিকটির ফেসবুক পেজে গত ১৬ ডিসেম্বর ‘স্বৈরাচারী আপা বিজয় দিবসকে এতদিন নিজের করে নিত’ শীর্ষক শিরোনামে প্রচারিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়।

ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এটিতে আওয়ামী লীগের প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলের অবসানের পর তরুণরা বিজয় দিবস কেমন উপভোগ করেছেন সেটিই তুলে ধরা হয়েছে। ভিডিওর ৩ মিনিট ২ সেকেন্ড সময় থেকে অন্যান্যদের পাশাপাশি সমন্বয়ক মিতুকেও বক্তব্য দিতে দেখা যায়। মিতুর বক্তব্যের ফুটেজের সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির মিল খুজে পাওয়া যায়। উভয় ভিডিওতেই তার পরিহিত শাড়ি, গহনা এবং অঙ্গভঙ্গি অভিন্ন। তবে ওই ভিডিওটিতে তাকে শ্লীলতাহানির অভিযোগের পরিবর্তে বিজয় দিবস নিয়ে কথা বলতে শোনা যায়।

অর্থাৎ, মূল ভিডিওতে আলোচিত অভিযোগ সম্বলিত অডিওটি ছিল না। পরবর্তীতে আলোচিত ভিডিওটির অডিওর বিষয়ে অনুসন্ধানে Jewel Jewelrana নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্টে গত ৩০ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত একটি ভিডিও খুঁজে পাওয়া যায়। ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায়, ওই ভিডিওর শুরু থেকে ১৬ সেকেন্ড পর্যন্ত সময়ের বক্তব্যের সাথে আলোচিত ভিডিওর বক্তব্য এবং কণ্ঠস্বরের মিল রয়েছে।

অর্থাৎ, বিউটি নামের ভিন্ন এক নারীর বক্তব্যকে ডিজিটাল প্রযুক্তির সহায়তায় সম্পাদনার মাধ্যমে সমন্বয়ক ইয়াছমিন মিতুর ভিডিওতে যুক্ত করে প্রচার করা হচ্ছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক মিতু সারজিস আলমের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছেন দাবিতে ইন্টারনেটে প্রচারিত ভিডিওটি সম্পাদিত।

আরবি/এস

Link copied!