পকেটে থাকা মোবাইল ফোন বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন এর ব্যবহারকারী ভোলার চরফ্যাশন উপজেলার বাসিন্দা মোহাম্মদ তানভীর। মোবাইল ফোনটি ছিল চীনভিত্তিক স্মার্টফোন ব্র্যান্ড ‘ইনফিনিক্স’-এর ‘নোট ৫০ প্রো’ মডেলের।
চিকিৎসাধীন তানভীরের পরিবারের সঙ্গে বিষয়টি ৮ লাখ টাকায় সমঝোতার চেষ্টা করার অভিযোগ এসেছে ইনফিনিক্সের বিরুদ্ধে। এদিকে গুরুতর আহত তানভীরকে পোহাতে হচ্ছে সীমাহীন দুর্ভোগ।
জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারি পকেটে থাকা অবস্থায় বিস্ফোরিত হয় তানভীরের ইনফিনিক্স নোট ৫০ প্রো স্মার্টফোন। মুহূর্তেই তার শরীরে আগুন ধরে যায়। প্রথমে তাকে চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়।
অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেলের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানান তানভীরের বড় ভাই মোহাম্মদ ইউসুফ।
বৃহস্পতিবার ইউসুফ রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘মোবাইল ফোন পকেটে থাকা অবস্থায় বিস্ফোরিত হয়। তার অবস্থা গুরুতর। এখন পর্যবেক্ষণে আছেন। ১৫ থেকে ২০ দিন পর পায়ে অস্ত্রোপচার করা হবে। আমরা বেশ দুশ্চিন্তায় আছি।’
বিষয়টি ৮ লাখ টাকায় সমঝোতার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া যায় ইনফিনিক্সের বিরুদ্ধে। বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে ইউসুফ বলেন, ‘তারা (ইনফিনিক্স) যোগাযোগ করেছে। তারা ৮ লাখ টাকা দিয়েছে চিকিৎসার জন্য। কিন্তু ও (তানভীর) যে কষ্টটা পাচ্ছে, ওর যে ভোগান্তি হচ্ছে, সেটা তো টাকা দিয়ে মূল্যায়ন করা যাবে না। টাকা দিয়ে কী হবে?’
এ বিষয়ে ইনফিনিক্সের বক্তব্য জানতে প্রতিষ্ঠানটির জনসংযোগ এজেন্সির সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগ করা হয়। বৃহস্পতিবার দিনভর অপেক্ষার পরেও এই সংবাদ লেখা পর্যন্ত ইনফিনিক্সের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে রূপালী বাংলাদেশের প্রশ্ন ইনফিনিক্স কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানায় ঐ জনসংযোগ এজেন্সি।
প্রসঙ্গত, ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন বিস্ফোরণের নজির এটাই প্রথম নয়। এর আগে গত বছর পাকিস্তানে ‘হট ৪০ প্রো’ মডেলের একটি স্মার্টফোন বিস্ফোরিত হয়। গত সেপ্টেম্বরে ভারতে এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর ব্যাগে থাকা অবস্থায়ও ইনফিনিক্স ব্র্যান্ডের একটি স্মার্টফোন বিস্ফোরিত হওয়ার ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
আপনার মতামত লিখুন :