ঢাকা রবিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

২২৮ মামলায় খসরু-রিজভী- নুরসহ ৩০৫৬ জনকে অব্যাহতি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ৩১, ২০২৪, ০৩:৩৫ পিএম

২২৮ মামলায় খসরু-রিজভী- নুরসহ ৩০৫৬ জনকে অব্যাহতি

ছবি: সংগৃহীত

জুলাই-আগস্ট মাসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীতে ভাঙচুর, সরকারি কাজে বাধা, চুরি, অগ্নিসংযোগ, হত্যাসহ বিভিন্ন অপরাধে দায়ের করা হয় ২৯০টি মামলা। যার মধ্যে হত্যা মামলা রয়েছে ৬২টি।

১৭ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের করা এসব মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ মোট ৩০৫৬ জনকে আসামি করা হয়। তবে সম্প্রতি হত্যা মামলা ছাড়া বাকি ২২৮টি মামলায় সব আসামিদের অব্যাহতির আবেদন করে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেছে পুলিশ।

চূড়ান্ত প্রতিবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, মামলার ঘটনার সঙ্গে গ্রেফতার আসামিরা জড়িত না। এসব ঘটনা অজ্ঞাতনামা দৃস্কৃতকারী কর্তৃক সংঘটিত হওয়ায় তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। মামলার তদন্ত অহেতুক ফেলে না রেখে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিলের পক্ষে মতামত দিয়েছেন ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ। ভবিষতে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাধীদের তথ্য পাওয়া গেলে মামলাগুলো পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন করা হবে।

আর এই অব্যাহতি পাওয়া আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুর, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমানউল্লাহ আমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সায়েদুল আলম বাবুল, বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব আমিনুল হক, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহির উদ্দিন স্বপন, জামায়াতে ইসলামীর কর্মপরিষদ সদস্য সামিউল হক ফারুকী, বিএনপির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন আহমেদ আসীম, জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ডা. সাখাওয়াত হোসেন সায়ন্থ।

আদালত আদেশে বলেছেন, আসামিদের বিরুদ্ধে কোন সাক্ষ্য প্রমাণ না পাওয়ায় মামলার দায় থেকে তাদের অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। তবে ভবিষ্যতে মামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত আসামীদের সন্ধানসহ নির্ভরযোগ্য কোন তথ্য পাওয়া গেলে মামলা পুনরুজ্জীবিত করা হবে। আসামিদের মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।

এ বিষয়ে বিএনপির সহ আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ গণমাধ্যমকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সংঘর্ষের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক মন্ত্রী আমানউল্লাহ আমানসহ একাধিক নেতা কর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। তাদের বিভিন্ন মামলায় রিমান্ডেও নেওয়া হয়েছে। তবে অভিযোগের সত্যতা না পেয়ে আসামিদের অব্যাহতি প্রদান করেছেন আদালত।

এ বিষয়ে ডিএমপির প্রসিকিউশন বিভাগের এডিসি (পুলিশ সুপার পদে সুপারিশপ্রাপ্ত) ফখরুজ্জামান জুয়েল বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন কোটা সংস্কারের আন্দোলন চলাকালে ২৯০টি মামলা দায়ের করে। এসব মামলায় আসামিদের অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত।

আরবি/জেআই

Link copied!