ঢাকা শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আশ্বাসে চিকিৎসকদের ‘শাটডাউন’ স্থগিত

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ০৬:২৬ পিএম

স্বাস্থ্য উপদেষ্টার আশ্বাসে চিকিৎসকদের ‘শাটডাউন’ স্থগিত

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম। এ আশ্বাস পেয়ে আগামীকাল সোমবার রাত ৮টা পর্যন্ত কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি স্থগিত করেছেন চিকিৎসকরা।

এর আগে, ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের তিন চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় কর্মবিরতি ঘোষণা করেছিল জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা। সেই সঙ্গে চার দফা দাবিও জানায় তারা। আর দাবি আদায় ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ছাড়া কমপ্লিট শাটডাউন চলবে বলেও জানিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। তবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নূরজাহান বেগম চিকিৎসকদের ওপর হামলাকারীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তারের আশ্বাস দেওয়ায় এই শাটডাউন কর্মসূচি স্থগিত করেন চিকিৎসকরা।

চিকিৎসকরা জানান, দেশের সব জাতীয় বিপর্যয় ও প্রাকৃতিক দুর্যোগসহ সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বাংলাদেশের সর্বস্তরের নার্সরা ফ্রন্টলাইনার হিসেবে নিরলসভাবে চিকিৎসাসেবা প্রদান করে স্বাস্থ্যসেবা কার্যক্রম সমুন্নত রেখেছেন। বিভিন্ন সময় নার্সদের তাদের কর্মস্থলে অতর্কিত হামলা এবং লাঞ্ছনার শিকার হওয়া সত্ত্বেও রোগীদের স্বার্থে সার্বিক চিকিৎসা সেবা চলমান রেখেছেন। কিন্তু সম্প্রতি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক, নার্স ও অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলায় একাধিক হতাহতের ঘটনা ঘটে।

যার পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও অন্য সেবাকর্মীদের মধ্যে ভয়, আতংক ও নিরাপত্তাহীনতা বিরাজ করছে এবং স্বাভাবিক নার্সিংসেবা তথা কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এ অবস্থায় কাঙ্ক্ষিত নার্সিংসেবা প্রদানের লক্ষ্যে চিকিৎসকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে তারা চার দফা দাবি পেশ করে। দাবিগুলো হলো:

১. হাসপাতালের মতো একটি জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠানে যে সব ব্যক্তি বা কুচক্রী মহল এই ন্যক্কারজনক ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের সবাইকে চিহ্নিত করে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতার করে দ্রুত বিচার আইনের মাধ্যমে শাস্তির আওতায় আনতে হবে।

২. নিরাপদ কর্মস্থল নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে অবিলম্বে দেশের সব স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানে স্বাস্থ্য পুলিশের (আর্মড ফোর্স) মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

৩. নিরাপদ স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের লক্ষ্যে হাসপাতালে রোগীর ভিজিটর (ভিজিটর কার্ডধারী) ব্যতীত বহিরাগত ব্যক্তি বা মহল কোনোভাবেই হাসপাতালের ভেতর প্রবেশ করতে পারবে না, স্বাস্থ্য পুলিশের (আর্মড ফোর্স) মাধ্যমে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

8. হাসপাতালে রোগীর সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অসঙ্গতি/অবহেলা পরিলক্ষিত হলে তা যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ প্রদানের মাধ্যমে শাস্তি নিশ্চিত করা যেতে পারে। তবে, কোনোভাবেই আইন নিজেদের হাতে তুলে নেওয়া যাবে না।

আরবি/এফআই

Link copied!