বন্যাক্রান্তদের ত্রাণ সহায়তা দিল ‘ইডটকো বাংলাদেশ’

ঢাকা: দেশের শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অবকাঠামোগত সেবাদাতা সংস্থা ইডটকো বাংলাদেশ ফেনী, নোয়াখালী ও কুমিল্লায় বন্যাক্রান্ত মানুষের ত্রাণ সহায়তা দিয়েছে।

বন্যাক্রান্ত এলাকায় তারা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর সঙ্গে একত্রে কাজ করছে। কোম্পানিটি ‘টাওয়ার টু কমিউনিটি’ সিএসআর প্রোগ্রামের আওতায় বন্যাদুর্গত এলাকাগুলোর প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মধ্যে খাদ্য, ওষুধ ও স্বাস্থ্য সুরক্ষাসহ প্রয়োজনীয় ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। গতকাল (৪ সেপ্টেম্বর) ইডটকো সিএসআর টিম বিমান বাহিনী কর্তৃপক্ষের কাছে ত্রাণ সামগ্রী হস্তান্তর করে।

১৮ হাজার টাওয়ার পরিচালনার মাধ্যমে ইডটকো দেশজুড়ে লাখ লাখ মানুষকে নেটওয়ার্ক যোগাযোগের মাধ্যমে সংযুক্ত রাখে। তীব্র বন্যা পরিস্থিতির মধ্যেই ইডটকো’র অপারেশন্স টিম নেটওয়ার্ক সংযোগ পুনরুদ্ধারে এবং সংকটময় সময়ে প্রয়োজনীয় যোগাযোগ চ্যানেলগুলো চালু রাখতে নিরলসভাবে কাজ করছে।

কোম্পানিটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীসহ অন্যান্য সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রমে যুক্ত টিমগুলোর সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দুর্যোগকালীন সময়ে ইডটকো নিজস্ব টাওয়ার সাইটগুলো থেকে বন্যাদুর্গত অঞ্চলের অধিবাসীগণের জন্য বিনামূল্যে মোবাইল চার্জিং এর ব্যবস্থা করেছে।

ইডটকো বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (সিএমডি) সুনীল আইজ্যাক বলেন, মানুষের সুরক্ষাকে আমরা সবসময়ই অগ্রাধিকার দিই এবং প্রয়োজনের সময় তাদের সহায়তা প্রদানে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। জীবন বাঁচানো, ক্ষতি কমানো এবং পুনর্বাসনে সহায়তা করা আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকারের বিষয়। এই বন্যা সংকটের সময় টাওয়ার সাইটগুলো সচল রাখতে আমাদের টিম নিরলসভাবে কাজ করছে, বিশেষত সেইসব দূরবর্তী এবং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে যেখানে অতিরিক্ত বন্যার কারণে নেটওয়ার্ক পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে, সেখানও আমাদের টিম কাজ করছে।

টেলিকম খাতের মধ্যে সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করে আইজ্যাক বলেন, পরিস্থিতির গুরুত্ব বিবেচনা করে টেলিকম খাতে যুক্ত সকলের সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর সঙ্গে একসাথে কাজ করা জরুরি। এছাড়া, প্রস্তুতি, সম্পদ বণ্টন এবং কার্যকর সংকট ব্যবস্থাপনার জন্য এ ধরনের সহযোগিতা অপরিহার্য বলে মত দেন তিনি।

প্রসঙ্গত, যাত্রার শুরু থেকেই ইডটকো বাংলাদেশ ‘টাওয়ার টু পাওয়ার’, ‘টাওয়ার টু ওয়াটার’ এবং ‘টাওয়ার টু কমিউনিটি’ সামাজিক দায়বদ্ধতার উদ্যোগগুলোর মাধ্যমে ৬৪ হাজারেরও বেশি সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছে যা সমাজের প্রান্তিক মানুষের উন্নয়ন ও সহায়তায় তাদের অব্যাহত প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।