ঢাকা বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৪

বিআরটিসিতে ভুয়া সিবিআই নেতা প্রভাষ ও রহিমের বেপরোয়া আচারণ

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৯:০১ পিএম

বিআরটিসিতে ভুয়া সিবিআই নেতা প্রভাষ ও রহিমের বেপরোয়া আচারণ

ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিআরটিসি) তে ভুয়া সিবিআই নেতা অবসর প্রাপ্ত প্রভাষ চন্দ্র ও এম এ রহিমের বেপরোয়া আচারণে অতিষ্ঠ সাধারণ শ্রমিক-কর্মচারীরা। তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে তদবির বাণিজ্যের অভিযোগ। গত ১১ ডিসেম্বর শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ট্রেড ইউনিয়ন শাখার পাঠানো এক চিঠিতে জানানো হয়, বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনে বর্তমানে বৈধ নির্বাচিত কোন শ্রমিক সংগঠন নেই।

বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন (বিআরটিসি) তে তারা বিভিন্ন সময় তদবির নিয়ে আসেন। ড্রাইভারদের বদলির জন্য সুপারিশ করেন। বর্তমান চেয়ারম্যান অবৈধ সিবিআই নেতাদের কথা না শোনায় তাকে হুমকি দিয়ে আসছে। বিআরটিসি কার্যালয়ে গিয়ে হামলার অভিযোগও রয়েছে। প্রভাষ চন্দ্র ও এম এ রহিম তার দু‍‍`জন দির্ঘদিন হলো বিআরটিসি থেকে অবসর নিয়েছেন। প্রভাষ সিবিআই সভাপতি ও রহিম নিজেদের সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন। তাদের সঙ্গে বিআরটিসির কোন  দেনা পাওনা নেই। অবসর ভাতাসহ সব টাকাই তারা উত্তল করেছেন। এখন তারা ড্রাইভারদের কাছ থেকে টাকার বিনিময়ে বদলি বাণিজ্যের জন উম্মাত হয়ে গেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শ্রমিকদের একাংশ জানান, আমরা এখনো বিআরটিসিতে কাজ করে যাচ্ছি। আমাদের যে কোন দাবি নিয়ে বিআরটিসির চেয়ারম্যানের কাছে গেলে খুব সহজেই নিষ্পত্তি করে দেন। আপনারা জানেন, বিআরটিসি এখন অনেক ভালো অবস্থানে  রয়েছে। এক সময় বিআরটিসিতে অনেক খারাপ অবস্থানে ছিলো। সেই যায়গা থেকে টেনে তুলে এনেছেন বর্তমান চেয়ারম্যান। এখন প্রভাষ ও রহিম দলের নাম ভাঙিয়ে নেতা দাবি করে বিভিন্ন ডিপোতে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে যাচ্ছে। বহিরাগতদের দিয়ে বার বার প্রধান কার্যালয়ে হামলা চালাচ্ছেন। অতিদ্রুত তাদের বিরুদ্ধে আইনআনুগ ব্যবস্থা নেয়া উচিত।

এ বিষয়ে বিআরটিসির  জিএম টেকনিক্যাল মেজর জাহাঙ্গীর জানান, সাম্প্রতি আপনারা জানেন প্রভাষ চন্দ্র ও এম এ রহিম নামের দুই ব্যাক্তি বিআরটিসি কার্যালয়ের অফিস কক্ষের সামনে হাতাহাতি হয়েছে। ভিডিও ফ্রুটেজ দেখে তাদেরকে শনাক্ত  করেছি।

সিবিআই নেতা দাবিদার বিআরটিসির অবসর প্রাপ্ত প্রভাষ চন্দ্র ও এম এ রহিম জানান, আমরা বিআরটিসি কার্যালয়ের সামনে গিয়িছিলাম।সেখানে কয়েকজনের সাথে হাতাহাতি হয়েছে। পরে আমরা চলে আসছি।

বিআরটিসি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন (রেজি: নং: বি-৮৫৩) এর নথি পর্যালোচনায় দেখা যায় যে, ইউনিয়নের বিদ্যমান গঠনতন্ত্রের ধারা-২৫ অনুযায়ী কার্যকরী কমিটির মেয়াদ ০২ (দুই) বৎসর। বর্ণিত ইউনিয়নের সর্বশেষ কার্যকরী কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ২০০৬ সালের ২৬ জানুয়ারি। উক্ত তারিখের নির্বাচনে নির্বাচনী ফলাফল শ্রম অধিদপ্তর কর্তৃক গৃহীত হয়েছে বলে জানানো হয়। উক্ত নির্বাচন-কে কেন্দ্র মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগে রিট পিটিশন নং- ২৮৭৩/২০০৬ দায়ের করা হয়। মহামান্য আদালত কর্তৃক বর্ণিত রিট মামলায় গত ০৪/০৪/২০০৬ ইং তারিখের আদেশে নিম্নরূপ আদেশ প্রদান করেন । অর্থাৎ শ্রম অধিদপ্তরের সূত্রীয় ২নং পত্রটি রিট মামলাটি নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হয়। উল্লেখিত মামলায় পরবর্তীতে মহামান্য আদালত কর্তৃক প্রদান আদেশ/রায় সম্পর্কে শ্রম অধিদপ্তর অবহিত নয়। 

এমতাবস্থায়, বিআরটিসি শ্রমিক ও কর্মচারী ইউনিয়ন (রেজি: নং: বি-৮৫৩) এ আইনানুগভাবে নির্বাচিত কার্যকরী কমিটি নেই।
 

আরবি/জেডআর

Link copied!