প্রথম আলোর রাজশাহী কার্যালয়ে হামলার চেষ্টা চালিয়েছে আলেম ওলামা ও তাওহীদি জনতার ব্যানারে একদল মানুষ। তারা কার্যালয়ের ভেতরে ঢুকতে না পারলেও সামনে লাগানো সাইনবোর্ড খুলে ফেলেন। পরে সেটি ভাঙচুর করা হয়েছে। সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে মহানগরীর কুমারপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
আলেম-ওলামা এবং তাওহিদী জনতার ব্যানারে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের বিরুদ্ধে দেশ-বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে প্রতিবাদ এবং জেয়াফত অনুষ্ঠানে রোববার রাজধানীতে প্রথম আলো কার্যাললের সামনে পুলিশের অতর্কিত হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রাজশাহীতে সোমবার বিক্ষোভ মিছিল হয়।
মহানগরীর জিরোপয়েন্টে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে বোয়ালিয়া থানা মোড়ে প্রথম আলো অফিসে সামনে গিয়ে মানববন্ধন করা হয়। পরে প্রথম আলোর সাইনবোর্ড ভাঙচুর করে পুড়িয়ে দেয় আন্দোলনকারীরা।
কার্যালয়ের সামনে এক বক্তা বলেন, আজ আমাদের রাজপথে থাকার কথা নয়। ৫ আগস্ট আমরা দেশকে স্বাধীন করেছিলাম। স্বৈরাচার চলে গিয়েছে, কিন্তু স্বৈরাচার যে বীজ রেখে গিয়েছে, এই বীজকে যতক্ষণ পর্যন্ত বাংলা জমিন থেকে উৎখাত করতে না পারব, ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা স্বাধীনতার আসল স্বাদ পাব না।
আরেক বক্তা অভিযোগ করে বলেন, পিলখানার ঘটনায় প্রথম আলোর পক্ষ থেকে রাতারাতি বার্তা ছাপানো হলো। বিডিআরদেরকে বিদ্রোহী হিসেবে সাব্যস্ত করল। এই ক্ষমতা প্রথম আলোকে কে দিয়েছে?
তিনি বলেন, ২০১৩ সালে তওহীদি জনতা আলেম-ওলামাদের ডাকে ১৩ দফার দাবি নিয়ে একত্রিত হয়েছিল শাপলা চত্বরে। সেইদিন ছিল ৫ মে। সেদিন রাতে সাধারণ মুসলিম জনতার ওপরে যে হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছিল, এর পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল এই প্রথম আলো-ডেইলি স্টার। হাজার হাজার মুসলিম জনতাকে যখন নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে, পরের দিন এই হত্যাকাণ্ডের কথা পত্রিকায় আসে নাই। পত্রিকায় কী এসেছে? অমুক জায়গায় গাছ কাটা হয়েছে। গাছ কেটে রাস্তায় ফেলা হয়েছে। ওই সমস্ত গাছপ্রেমিরা, আমার মুসলিম ভাই মারা গেল সেটা দেখল না। কোথায় গাছ কাটা গেছে তা নিয়ে খবর করেছে।
এ সময় তারা পত্রিকা দুটির বিরুদ্ধে নানা স্লোগান দিতে থাকে। এরপর বিক্ষোভ মিছিলটি নিয়ে আলুপট্টির দিকে রওনা হয় তারা। সেখানে বিক্ষোভ সমাবেশ করে প্রথম আলো পোড়ায় আন্দোলনকারীরা।
এর আগে হামলার আশঙ্কায় প্রথম আলোর রাজশাহী কার্যালয়টি বন্ধ রাখা হয়েছিল। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশও উপস্থিত ছিল বলে জানা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :