সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ওপর হামলা, বাড়িঘর, মন্দির ও দোকানপাটে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, দেশত্যাগের হুমকি এবং সীমান্ত হত্যার বিচারসহ আট দফা বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ।
শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও লাল পতাকা মিছিল থেকে এসব দাবি জানানো হয়।
এ সময় বলা হয়, আট দফা দাবি মেনে নেওয়া না হলে সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হবে। আগামী ৪ অক্টোবর দাবি আদায়ে গণসমাবেশ করার কথা জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশ হিন্দু জাগরণ মঞ্চের সমন্বয়ক রনি রাজবংশী বলেন, তাঁরা গত ১৩ আগস্ট নতুন সরকারের কাছে বেশ কিছু দাবি জানিয়েছেন। তখন বলা হয়েছিল এসব দাবি যৌক্তিক, তবে সেগুলো মেনে নেওয়া বা কার্যকর করার কোনো কিছুই দেখা যাচ্ছে না। তাঁদের সঙ্গে কেউ এই বিষয়ে আলোচনা করেননি। এ জন্য তাঁরা আগামী ৪ অক্টোবর গণসমাবেশ করবেন।
আজকের সমাবেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে যেসব দাবি জানানো হয়েছে, তা হচ্ছে— সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। অনতিবিলম্বে ‘সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন’ প্রণয়ন করতে হবে। সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে ‘হিন্দু ফাউন্ডেশন’–এ উন্নীত করতে হবে।
পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে।
সরকারি–বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ করতে হবে। সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড আধুনিকায়ন করতে হবে। শারদীয় দুর্গাপূজায় পাঁচ দিন ছুটি দিতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসবে প্রয়োজনীয় ছুটি প্রদান করতে হবে।
আপনার মতামত লিখুন :