দেশে আর যেন কোনো ফ্যাসিস্ট সরকার আসতে না পারে সে লক্ষ্যে এগোচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এরই অংশ হিসেবে সংবিধান সংস্কার কমিশন বুধবার (১৫ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টাকে প্রতিবেদন জমা দেবে। কমিশনের সুপারিশে রয়েছে ভবিষ্যতে ফ্যাসিস্ট ঠেকানোর বেশ কিছু সংস্কার। একাধিক বিশেষ সূত্রে এসব তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
কমিশন যেসব সুপারিশে গুরুত্ব দিচ্ছে, এসবের অন্যতম হচ্ছে:
১. দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদ করা।
২. প্রধানমন্ত্রী একই সঙ্গে দলীয় প্রধান ও সংসদ নেতা যাতে না হন, এমন বিধান।
৩. একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কয়টি মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া।
৪. প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা।
৫. নির্বাচনকালীন অন্তর্বর্তী সরকারের বিধান।
৬. নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি নিশ্চিত করা
৭. নির্বাহী বিভাগ, আইন সভা ও বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য।
৮. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা।
এ ছাড়া সংবিধানের মূলনীতিতে পরিবর্তন আনার সুপারিশও করা হচ্ছে। ‘সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক সুবিচার’—এই তিনটিকে সংবিধানের মূলনীতি করার সুপারিশ করবে কমিশন। তিনটির পাশাপাশি আরও দুটি মূলনীতিও যোগ করা হতে পারে।
সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, তাদের কমিশন বুধবার প্রতিবেদন জমা দেবে। এত দিন ক্ষমতা এক ব্যক্তিকেন্দ্রিক ছিল। তারা এমনভাবে সুপারিশ করছেন, যাতে এর পুনরাবৃত্তি না ঘটে। এ জন্য নির্বাহী বিভাগের জবাবদিহি নিশ্চিত করা, ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য আনা, ক্ষমতার অপব্যবহার রোধ—এসব বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :