ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ জানুয়ারি, ২০২৫

মোল্লা নজরুলসহ সাবেক তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৮, ২০২৫, ০৬:২০ পিএম

মোল্লা নজরুলসহ সাবেক তিন পুলিশ কর্মকর্তার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষ, অর্থ লুটপাটসহ একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রায় ১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া, সন্ত্রাসী দিয়ে পিটিয়ে দুই-পা ভেঙ্গে দিয়ে হত্যা চেষ্টার বিচারের দাবিতে মোল্লা নজরুল, সাবেক সহ গাজীপুরের সাবেক তিন পুলিশ কর্মকর্তার মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। আজ বুধবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন কর্মসূচির আয়োজন কারে।

মানবন্ধনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন ঢাকা মহানগর দক্ষিনের সবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ রিয়াজুল করিম বলেন, আমাদের নীট সিটি লিমিটেড, সি-৩২/১, মোগরখল, গাজীপুরস্থ ফ্যাক্টরীর বিল্ডিং মালিকের অবৈধ ঝুট ব্যবসা দাবি করায় আমার সাথে দ্বন্দ্ব হওয়ার কারণে বিজ্ঞ আদালতে বিল্ডিং মালিকদের বিরুদ্ধে মোকদ্দমা দায়ের করিলে শুনানীঅন্তে বিজ্ঞ আদালত নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেন। পরবর্তীতে বাড়ী ভাড়া বকেয়া থাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের মাধ্যমে সমাধান হওয়ার পর তখনকার গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোল্লা নজরুল কর্মরত থাকা অবস্থায় তার যুগ্ম কমিশনার মোঃ দেলোয়ার হোসেন কোর্টের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরেও বিল্ডিং মালিকদেরকে দিয়ে চলন্ত ফ্যাক্টরী তালাবদ্ধ করে আমাদের কাছে ২ (দুই) কোটি টাকা অবৈধভাবে দাবি করেন এবং শাহ নেওয়াজ নামের এক লোকের মাধ্যমে ২০ (বিশ) লক্ষ টাকা নেওয়ার পরে ফ্যাক্টরী না খুলে পুনরায় আমাদের সাথে বিল্ডিং মালিকদের সালিশ করে ফ্যাক্টরী খুলে দেওয়ার আশ্বাসে ৫০,০০০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা নির্ধারণ করে। এর পর ৫০,০০,০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) নিয়া ফ্যাক্টরী খুলে দেওয়ার জন্য আমার কাছ থেকে ওসি ডিবি জাহিদ ৫০,০০০০০/- (পঞ্চাশ লক্ষ) টাকা গ্রহন করে। পরবর্তীতে ফ্যাক্টরী খুলে দিতে বিলম্ব করিলে আমি কমিশনার মোল্লা নজরুলকে অবগত করিলে তখন মোল্লা নজরুল উপ কমিশনার দেলোওয়ার হোসেনকে জিজ্ঞাসা করিলে দেলোওয়ার হোসেন ওসি ডিবি জাহিদ এর মাধ্যমে বিগত ১৭/০৩/২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক রাত ৯.০০ ঘটিকায় আমাকে ফোন করে ফ্যাক্টরী খুলে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে ১৮/০৩/২০২৩ইং তারিখ সকাল ৮.০০ ঘটিকায় আমাকে ফ্যাক্টরীতে যেতে বলেন। আমি ১৮/০৩/২০২৩ ইং তারিখ আনুমানিক ৯.০০ ঘটিকায় ফ্যাক্টরীর সামনে উপস্থিত থাকা অবস্থায় আনুমানিক সকাল ১০.০০ ঘটিকায় বিল্ডিং মালিক খাইরুল ইসলাম সন্ত্রাসী লোকজনসহ অস্ত্র শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নৃশংসভাবে হামলা চালায় ও হামলার পরে আমাকে মৃত মনে করে সকল হামলাকারীগন পালিয়ে যায়। তখন স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজ উদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে আমার গুরুতর অবস্থা থাকায় সেখান থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করলে আমাকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসার সময় অবস্থা আরো আশংকাজনক হইলে আমাকে উত্তরা সিন সিন জাপান হসপিটালে তাৎক্ষণিক ভর্তি করে অপারেশন করে। আমার ফ্যামিলি তাৎক্ষনিক বাসন থানায় অভিযোগ করিলে তখনকার পুলিশ অফিসাররা কোন আসামীকে গ্রেফতার করে নাই এবং আমি হসপিটালে ভর্তি থাকা অবস্থায় আমার ফ্যাক্টরীর সমস্ত মালামাল, মেশিনারিজ ও ফায়ার পাম্প জেনারেটর সহ সমস্ত সরঞ্জাম তাৎক্ষনিক লুট করে নিয়ে যায়। যাহার আনুমানিক মূল্য ১৫ (পনের) কোটি টাকা। তখন আমাদের কর্মচারী জনাব মোঃ রফিকুল ইসলাম থানায় অভিযোগ করিলে থানা কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা ব্যবহার গ্রহন করেন নাই।

এই মর্মে আমি বিগত ১২/০৮/২০২৪ তারিখ মাননীয় সিনিয়র সচিব মহোদয়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিকট আমি নিজ হাতে ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা উদ্ধারের অভিযোগ দায়ের করিলে সাবেক এই উপ-কমিশনার দেলোয়ার হোসেনের বন্ধু গণমাধ্যমকর্মী ইলিয়াস খানের মধ্যস্ততায় আমার ৫০ (পঞ্চাশ) লক্ষ টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে সমাধানের জন্য বসে দেলোওয়ার নিজের হাতে টাকা রিসিভ করে নাই বলেন এবং সে আমার এই টাকা ফেরত দিবেন এবং আমার ফ্যাক্টরীর মালামাল উদ্ধারের সহযোগিতা করবেন বলেন। আমাকে মৌখিক অঙ্গীকার করে আমাকে অভিযোগটি তুলে নেওয়ার কথা বলেন। তাদের এই আশ্বাসে আমি অভিযোগটি তুলতে সম্মত হলে তারা এরপর প্রতারণা শুরু করে।

মানববন্ধনে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের ডেপুটি গভর্ণর সৈয়দ আজমুল হকের সভাপতিত্বে সংহতি প্রকাশ করে করে বক্তব্য রাখেন জাতীয় মানবাধিকার সমিতির চেয়ারম্যান মো: মঞ্জুর হোসেন ঈসা, মনিরুল ইসলাম মনির, ঢালী মো. সুমন মাষ্টার, রাজু আহমেদ রাজ, শামীম শেখ, সৈয়দ আনিসুর রহমান টিটু সহ বিভিন্ন মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!