যমুনার বুকে নবনির্মিত দেশের দীর্ঘতম রেলসেতু দিয়ে ইতোেধ্যেই ১২০ কিলোমিটার গতিতে চলছে ট্রেন। তবে সেটি বাণিজ্যিকভাবে নয়, বরং পরীক্ষামূলকভাবে। তবে সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে এই দীর্ঘতম রেলসেতু দিয়ে চূড়ান্তভাবে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
জানা গেছে, যমুনার ওপর নির্মিত দেশের এই দীর্ঘতম রেলসেতুর কাজ দেশি-বিদেশি প্রকৌশলীদের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যেই শেষ হয়েছে। ইতোমধ্যে অত্যাধুনিক প্রযুক্তিতে নির্মিত এই সেতুতে পরীক্ষামূলকভাবে চলছে ট্রেন। গতকাল রোববার চূড়ান্ত পর্যায়ের পরীক্ষায় প্রথমে ঘণ্টায় ৬০ কিলোমিটার ও পরে ধাপে ধাপে সর্বোচ্চ ১২০ কিলোমিটার গতিতে পাশাপাশি চালানো হয় দুটি ট্রেন।
পরীক্ষামূলক এই ট্রায়ালে সেতুর খুঁটিনাটি বিভিন্ন বিষয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন প্রকৌশলীরা। দীর্ঘ পরিশ্রম শেষে দেশের দীর্ঘতম এই রেলসেতু দিয়ে সফলভাবে পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করায় খুশি প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।
প্রকল্প সংশ্লিষ্ট একজন প্রকৌশলী বলেন, ‘এই প্রজেক্টের শুরু থেকে আমি আছি। এত বড় একটা কাজে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারা আমার জন্য সৌভাগ্যের। আগে যমুনার উপর দিয়ে ট্রেন পার হতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট সময় লাগত। কিন্তু বর্তমানে এই রেলসেতু চালু হলে সময় লাগবে মাত্র ৪-৫ মিনিট। এছাড়া পাশাপাশি দুটি ট্রেন চলতে পারবে এই সেতু দিয়ে।’
প্রকল্প পরিচালক মাসুদুর রহমান জানান, আর কোনো সমস্যা দেখা না দিলে আগামী ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচলের জন্য রেলসেতুটি খুলে দেওয়া হবে। এতে করে উত্তরের সাথে যোগাযোগ আরও দ্রুত এবং দৃঢ় হবে।
তিনি বলেন, ‘আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখলাম যে এই স্পিডেই সেতুতে ট্রেন চলাচলের উপযোগী। অতএব, এটা আমাদের জন্য পার্সোনালি বা ইন্সটিটিউশনালিই বলেন, রেল মন্ত্রণালয় এটাতে সন্তুষ্ট হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এই যমুনা রেলসেতু নির্মাণে খরচ হয়েছে প্রায় ১৬ হাজার ৭৮১ কোটি টাকা। যা বাস্তবায়নে জাপান ও বাংলাদেশের যৌথ অর্থায়ন লেগেছে এবং প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে জাইকা।
আপনার মতামত লিখুন :