ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

উপস্থাপিকার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বিচারপতি মানিক

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২৪, ০৪:০৩ এএম

উপস্থাপিকার কাছে ক্ষমা চেয়েছেন বিচারপতি মানিক

ছবি: সংগৃহীত

সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক টকশোতে উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীর সঙ্গে অশালীন আচরণের ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন। একই সঙ্গে জনগণের কাছেও ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন তিনি।

সোমবার তাকে (বিচারপতি মানিক) লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজের কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন মানিক।

আইনি নোটিশের জবাবে সাবেক বিচারপতি মানিক লিখেছেন, তিনি একজন হাইপারটেনশন ও ডায়াবেটিসের রোগী। টকশোর দিন তাকে অনেক লম্বা পথ হেঁটে প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে হয়েছিল। ফলে তার ব্লাড সুগার নেমে যায় ও ব্লাড প্রেশার বেড়ে যায় এবং একই সঙ্গে তিনি প্রচুর ক্লান্ত বোধ করছিলেন। যার কারণে তিনি তার নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। তিনি তার এরূপ আচরণের জন্য উপস্থাপিকার কাছে গভীরভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার কাজী মারুফুল ইসলাম বলেন, সাবেক বিচারপতি এ এইচ এম সামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক সিনিয়র অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজকে তার পাঠানো আইনি নোটিশের জবাব দিয়েছেন। সেখানে তিনি উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরী এবং জনগণের কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন।

এর আগে রবিবার উপস্থাপিকা দীপ্তি চৌধুরীর সঙ্গে দুর্ব্যবহারের ঘটনায় জাতির কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে সাবেক বিচারপতি মানিককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে তাকে প্রকাশ্য ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি উপস্থাপিকার কাছে লিখিতভাবে ক্ষমা চাইতে বলা হয়।

‘‌ফাউন্ডেশন ফর ল’ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (ফ্লাড) পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট ফাওজিয়া করিম ফিরোজ এ নোটিশ পাঠান। প্রকাশ্য ও লিখিতভাবে ক্ষমা না চাইলে সাবেক বিচারপতি মানিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

উল্লেখ্য, কোটা আন্দোলন ইস্যুতে সম্প্রতি একটি টেলিভিশন চ্যানেলে আয়োজিত টকশোতে আলোচক হিসেবে হিসেবে অংশ নেন সাবেক বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক। কিন্তু আলোচনার একপর্যায়ে মেজাজ হারিয়ে সঞ্চালক দীপ্তি চৌধুরীর ওপর ক্ষিপ্ত হন তিনি। পুরো অনুষ্ঠানে বেশ কয়েকবার উপস্থাপিকার ওপর নিজের ক্ষোভ ঝাড়েন এবং উচ্চবাচ্য করেন। শুধু তা-ই নয়, তিনি অনুষ্ঠান শেষে স্টুডিও ছাড়ার আগে উপস্থাপিকাকে ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে আখ্যা দেন। ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

এর আগে ২০১৭ সালেও একটি নোটিশ দেওয়া হয়েছিল বিচারপতি মানিককে। সেসময় তিনি একটি টিভি চ্যানেলে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে স্বঘোষিত রাজাকার বলেছেন। এ ঘটনায় মানিককে অবিলম্বে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে (লিখিত ও মৌখিক) অনুরোধ করা হয়। এছাড়া কারও সম্পর্কে ভবিষ্যতে এ ধরনের মানহানিকর উক্তি করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয় তাকে।

আরবি/জেডআর

Link copied!