ঢাকা রবিবার, ০৬ অক্টোবর, ২০২৪

বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য: নাহিদ ইসলাম

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: অক্টোবর ৬, ২০২৪, ০৬:৫২ পিএম

বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য: নাহিদ ইসলাম

ছবি, রূপালী বাংলাদেশ

ঢাকা: কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের বেকারত্ব কমিয়ে আনা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম।

রোববার (৬ অক্টোবর) ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অফিস কক্ষে বাংলাদেশে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা)র প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুছি তোমোহিদের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে উপদেষ্টা একথা বলেন।

ইচিগুছি তোমোহিদে বলেন, বাংলাদেশ তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বড় সম্ভাবনাময় দেশ। কিন্তু বাংলাদেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ভালো চাকরির সুযোগ না থাকায় আমরা বাংলাদেশে নতুন চাকরির সুযোগ তৈরি করতে চাই পাশাপাশি বাংলাদেশের এই সম্ভাবনা কে কাজে লাগাতে ১০০০ তথ্যপ্রযুক্তি প্রকৌশলীকে প্রশিক্ষণ দিতে চাই।

নাহিদ ইসলাম বলেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি বর্তমান সরকারের প্রধান লক্ষ্য কারণ এ কর্মসংস্থানের কারণেই আন্দোলন গড়ে উঠেছিল। কর্মসংস্থান তৈরিতে জাইকার যেকোন বিনিয়োগকে আমরা স্বাগত জানাই। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব থাকলে তা বিবেচনা করা হবে। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার জাপান এবং জাইকার কাছে আরও বেশি বিনিয়োগ প্রত্যাশা করে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

ইচিগুছি তোমোহিদে বলেন, বিনিয়োগ বৃদ্ধি ও জনপ্রশাসন সংস্কার এদুটি এজেন্ডা নিয়ে আমরা কাজ করতে আগ্রহী। অবকাঠামো উন্নয়নেও আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।  পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের অভিজ্ঞতা থেকে কাজে লাগিয়ে তারা এই বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে চান এবং বাংলাদেশ জাইকার দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বিনিয়োগকারী দেশ বলেও মন্তব্য করেন ইচিগুছি তোমোহিদে।

উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দেশে ব্যবসা সহায়ক পরিবেশ তৈরির মাধ্যমে বেসরকারি খাতকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার চেষ্টা করছে। এক্ষেত্রে  প্রতিবন্ধকতা গুলো নিয়ে সরকার কাজ করছে। বাংলাদেশের তরুণরা মেধাবী, জাইকার সাথে কাজ তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে সহায়ক হবে তাই বাংলাদেশ জাইকার সাথে কাজ করতে আগ্রহী তাছাড়া বাংলাদেশে বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ কিভাবে বাড়ানো যায় সে ব্যাপারেও সরকার কাজ করছে বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।

পাস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনার মধ্য দিয়ে সাক্ষাৎকারটি শেষ হয়।

সাক্ষাৎকালে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব ড. মো. মুশফিকুর রহমান, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী, জাইকা বাংলাদেশের ঊর্ধ্বতন প্রতিনিধি কমোরি তাকাশি, প্রতিনিধি কুককামী মিনামি এবং  জাইকা বিশেষজ্ঞ সোজি আকিহিরো উপস্থিত ছিলেন।

আরবি/এস

Link copied!