ঢাকা মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি, ২০২৫
১৪ বছর ধরে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’

মামলা ও জঙ্গি খাতা থেকে নাম কাটাতে সেই মেজর জিয়ার আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৫, ০৮:৩০ পিএম

মামলা ও জঙ্গি খাতা থেকে নাম কাটাতে সেই মেজর জিয়ার আবেদন

ফাইল ছবি

বাংলাদেশে সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া। শেখ হাসিনা সরকারের পুলিশের খাতায় যিনি একজন ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি। কখনও আনসার উল্লাহ বাংলা টিম (জেএমবি), কখনও আনসার আল ইসলাম কখনোবা আইএস ও আল কায়েদার সদস্য হিসেবে দেখানো হয়েছে তাকে। আলোচিত জিয়াকে ধরতে ২০ লাখ টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করা হয়েছিল সেসময়।

অবশেষে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ এই সেনা কর্মকর্তার হদিস মিললো ১৪ বছর পর। মামলা ও জঙ্গির খাতা থেকে নাম কাটাতে আইন ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন, ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত এই আসামি। সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ জিয়াউল হকের দাবি, ফ্যাসিবাদ ও ভারতবিরোধী হওয়ায় তাকে সামনে রেখে একের পর এক জঙ্গি নাটক সাজিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার।

ব্লগার দীপন, অভিজিৎ, জুলহাস হত্যাসহ ৭টি মামলার আসামি তিনি। যার মধ্যে তিনটি ফাঁসির দণ্ড ঝুলছে তার মাথায়। কিন্তু, কোথায় সেই মেজর জিয়া? মৃত নাকি জীবিত আছেন তিনি? ১৪ বছর সেই প্রশ্নের সমাধান দিতে পারেনি কেউ। জানা গেছে, গেলো ২৯ ডিসেম্বর আইন মন্ত্রণালয়ে নিজের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন করেছেন তিনি। শুধু তাই নয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েও আবেদন করেছেন, মোস্ট ওয়ান্টেডের তালিকা থেকে জিয়ার নাম প্রত্যাহার করতে। অভিযোগ করেছেন, মিথ্যা মামলায় তাকে ফাঁসানোর।

মেজর জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন বলেন, জিয়া আমাকে নিজে মেসেঞ্জারে ফোন দিয়েছে। সে বলেছে, যে মামলাগুলো হয়েছে এগুলো সব মিথ্যা। সে এই পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানিয়েছে। তার ব্যাপারে যে ২০ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে সেটা প্রত্যাহার করার জন্য। আইন উপদেষ্টার কাছে আবেদন করেছেন, তার পলিটিক্যাল মটিভেটেড মামলাগুলো প্রত্যাহারের জন্য।  এই আইনজীবী জানান, ২০১১ সাল থেকে বিদেশে অবস্থান করছেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা সৈয়দ জিয়া। তবে কোন দেশে তা জানা যায়নি। ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন বলেন, এখনও আমাকে জানাননি তিনি কোথায় আছেন।

সাবেক এই সেনা কর্মকর্তার দাবি, ধর্মীয় রীতিনীতি মেনে চলায় টার্গেট করা হয়েছিল তাকে। ফাঁসানো হয় একের পর এক মিথ্যা অভিযোগে। সৈয়দ জিয়াউল হক আরও বলেন, শুরুতে এক সময় জঙ্গি বলা হয়েছে। পরে এক সময় আল কায়দা বলা হয়েছে, পরে আনসার আল ইসলাম বলা হয়েছে। আরেক সময় আইএস বলা হয়েছে। অর্থাৎ যেভাবে চাপে রাখা যায়। আলোচিত জুলহাজ-তনয় হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ায়, জিয়াকে ধরতে পুরস্কার ঘোষণা করেছিল যুক্তরাষ্ট্র সরকার। তাই গেলো ২৫ ডিসেম্বর তা প্রত্যাহারে লিখিত আবেদন করেছেন মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টে।

 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!