ঢাকা রবিবার, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪

দেশে পুনরায় ওয়াজ মাহফিল করতে যাচ্ছেন মিজানুর রহমান আজহারী

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১৫, ২০২৪, ০৪:৫৮ পিএম

দেশে পুনরায় ওয়াজ মাহফিল করতে যাচ্ছেন মিজানুর রহমান আজহারী

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান বাংলাদেশে তরুণদের কাছে তাদের আইডল কে জানতে চাওয়া হলে সিংহভাগ তরুণ একটি নামই নেয়, আর সেটি হচ্ছে মিজানুর রহমান আজহারী। স্পষ্টভাষী এবং সাহসী এই ইসলামি বক্তা তার বক্তব্য দিয়ে বিমোহিত করেছেন দেশের লাখো মানুষকে। যখন রাজনৈতিক কোনো সভা-সমাবেশে অর্থের বিনিময়ে ট্রাক ভাড়া করে লোক জড়ো করা হতো, ঠিক তখনই মিজানুর রহমান আজহারীর ওয়াজ-মাহফিলে ভক্তদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যেতো।

তবে এই জনপ্রিয়তাই যেন একসময় কাল হয়ে দাঁড়িয়েছিল এই বক্তার জন্য। যে কারণে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের চাপে পড়ে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি। তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর আবারও দেশে ফেরেন তিনি। যদিও একেবারে ফেরেননি তখনও। কিন্তু তার দেশে ফেরা ভক্তদের মধ্যে নতুন করে আশার আলো জাগিয়েছে।

জানা গেছে, এবার দেশের একটি ইসলামি মাহফিলে প্রধান মুফাসসির হিসেবে সশরীরে যোগ দিতে যাচ্ছেন মিজানুর রহমান আজহারী। মরহুম মাওলানা শহীদ উল্লাহ স্মৃতি সংসদ ও পেকুয়া সমাজ উন্নয়ন পরিষদের যৌথ আয়োজনে কক্সবাজারের পেকুয়ায় এই মাহফিল আগামী ২৭ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত চলবে। আর দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর পর প্রিয় শায়খের মাহফিলকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই উচ্ছাস প্রকাশ করেছেন ভক্তরা।

আয়োজক সূত্রে জানা গেছে এ মাহফিলে ড. মিজানুর রহমান আজহারী ছাড়াও আলোচিত বক্তা শায়খ মুফতী কাজী ইব্রাহিম, মাওলানা আব্দুল্লাহ আল আমীন, শায়খ মুফতী জসিম উদ্দিন রহমানী, আল্লামা কামরুল ইসলাম সাঈদ আনসারী, হাফেজ মুফতী আমীর হামজা, এবং কুষ্টিয়ার মাওলানা সাদিকুর রহমান আজহারী অংশ নেবেন।

মাহফিলের বিষয়ে কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান জানান, সকল মুফাসসিরই মাহফিলে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়াও সুষ্ঠুভাবে মাহফিল সম্পন্ন করার জন্য সবার সহযোগিতা কামনা করছি।

এদিকে, মুফতী আমীর হামজা তার ফেসবুক পেজে এক পোস্টের মাধ্যমে জানিয়েছেন, তিনি কক্সবাজারের পেকুয়ার এই মাহফিলে উপস্থিত থাকতে পারবেন না। তবে তিনি মাহফিলটির সাফল্য কামনা করেছেন।

মাহফিলটি মরহুম মাওলানা শহীদ উল্লাহর ২য় ইছালে সাওয়াব ও ৮ম তাফসীরুল কুরআন মাহফিল উপলক্ষে আয়োজন করা হচ্ছে। আয়োজকরা আশা করছেন, এটি একটি ঐতিহাসিক মাহফিল হবে এবং ইসলামের মেসেজ ছড়িয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

আরবি/এফআই

Link copied!