অবশেষে নিলামে ওঠতে যাচ্ছে দ্বাদশ সংসদ সদস্যদের জন্য আনা ২৮৮ কোটি টাকা মূল্যের বিলাসবহুল ২৪টি ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ি। সংসদ বিলুপ্ত হওয়ায় শুল্কমুক্ত গাড়ি ব্যবহারের সুযোগ নেই বিধায় এমপি কোটার ২৪ বিলাসবহুল গাড়িগুলো নিলামে ওঠবে।
জানা গেছে, দ্বাদশ সংসদের সদস্যরা শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় এসব গাড়ি আমদানি করেন। তারই অংশ হিসেবে চলতি বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর এগুলো চট্টগ্রাম বন্দরের কার শেডে নিয়ে আসা হয়। কিন্তু ছাড় করার আগেই ছাত্র আন্দোলনে সংসদ ভেঙে যাওয়ায় তারা এ শুল্কমুক্ত সুবিধার সুযোগ নিতে ব্যর্থ হন। অথচ আইন অনুযায়ী, ৩০ দিন অর্থাৎ ১৪ অক্টোবরের মধ্যে এসব গাড়ি ছাড় করার কথা ছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের নিলাম শাখায় ১৫টি ল্যান্ড ক্রুজারসহ শুল্কমুক্ত সুবিধায় সাবেক এমপিদের আনা অন্তত ২৪টি গাড়ির নিলাম সংক্রান্ত কাগজ রয়েছে। সবশেষ বুধবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বন্দর থেকে কাস্টমসের নিলাম শাখায় গেছে ১৮টি গাড়ির নথিপত্র। একইসঙ্গে জটিলতা এড়াতে বাকি ৬টি গাড়ি নিলামে তোলার আগে বিধি অনুযায়ী আমদানিকারকের মতামতও চাওয়া হয়েছে।
তবে ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন ও ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ তৎকালীন ৭ জন সংসদ সদস্য জুলাই মাসেই গাড়ি ছাড় করে নেওয়ায় তারা নিলাম থেকে বেঁচে গেছেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব মোহাম্মদ ওমর ফারুক গণমাধ্যমকে বলেন, বন্দরে আসার পর ৩০ তিন অতিবাহিত হওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী গাড়িগুলো নিলাম হবে। ইতোমধ্যে কাগজপত্র কাস্টমস হাউজে পাঠানো হয়েছে। বাকি ব্যবস্থা তারা গ্রহণ করবেন।
চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের উপকমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, ইতোমধ্যে ৬ গাড়ির আমদানিকারকদের চিঠি দেওয়া হয়েছে। তারা চিঠির জবাব না দিলে এ গাড়িগুলোও নিলামে উঠবে। এটাই নিয়ম।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে গাড়ি আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি মূল্যের ওপর ৮৫০ শতাংশ হারে শুল্ক পরিশোধ করতে হয়। সে হিসাবে প্রতিটি গাড়ির বাজার মূল্য ১০ থেকে ১২ কোটি টাকা হলেও সংসদ সদস্যরা মাত্র ১ কোটি ৩০ লাখ টাকায় মূল্যবান এসব গাড়ির মালিক হওয়ার সুযোগ পেয়ে থাকেন।
আপনার মতামত লিখুন :