ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

বাংলাদেশকে ১৩ হাজার কোটি টাকা দেবে জার্মানি

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৭, ২০২৪, ০৩:৩১ পিএম

বাংলাদেশকে ১৩ হাজার কোটি টাকা দেবে জার্মানি

ছবি: সংগৃহীত

নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বাংলাদেশকে ১০০ কোটি ইউরো সহায়তা দেবে জার্মানি। আগামী ১০ বছরে দেশটি এই সহায়তা দেবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। প্রতি ইউরো ১৩৩ টাকা করে হিসেবে বাংলাদেশি টাকায় যার পরিমাণ দাড়ায় ১৩ হাজার ৩০৩ কোটি ৩১ লাখ ১০ হাজার ৮০০ টাকা যার বাংলাদেশি টাকা।  এর মধ্যে চলতি বছরেই ১৫ কোটি ইউরো দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এই তথ্য জানিয়েছেন।

রিজওয়ানা হাসান জানান, আগামী ১০ বছরে এই সহায়তা দেবে জার্মানি। এর মধ্যে চলতি বছরই বাংলাদেশ পাবে দেড় কোটি ইউরো। বেসরকারি খাত, গবেষণা ইনস্টিটিউট, একাডেমিয়া ও সুশীল সমাজের মতো সশ্লিষ্টদের সাথে এ নিয়ে আলোচনা ও প্রচারে একমত হয়েছে দুই দেশ।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান অ্যাম্বাসেডর আচিম ট্রস্টারের সঙ্গে মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রীর কার্যালয়ে বৈঠক করেন সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এরপরই তিনি এসব তথ্য জানান। এ সহায়তার জন্য তিনি জার্মানিকে ধন্যবাদ দেন।

তিনি আরও বলেন, এই সহযোগিতায় ক্ষুদ্র জাতিগত সংখ্যালঘু, নারী ও যুবকদেরও সম্পৃক্ত করা হবে। এভাবে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব মোকাবিলা করা যাবে বলে মনে করেন তিনি।

জার্মান রাষ্ট্রদূত আচিম ট্রস্টার বাংলাদেশকে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন। তিনি নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে জার্মানির দক্ষতা তুলে ধরেন এবং বাংলাদেশের নবায়নযোগ্য জ্বালানি উদ্যোগকে সমর্থন করার জন্য প্রযুক্তিগত সহায়তার প্রস্তাব দেন।

এছাড়াও বৈঠকে নদী পরিষ্কার, পরিবেশ সুরক্ষা ও জলবায়ু পরিবর্তন প্রশমনে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন। আলোচনায় টেকসই উন্নয়ন প্রকল্প, পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তি গ্রহণ, পরিবেশ ও জলবায়ু-সম্পর্কিত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সম্ভাব্য সহযোগিতা নিয়েও কথা হয়।

প্রযুক্তি স্থানান্তর ও পরিবেশগত স্থায়িত্ব প্রকল্পে সহযোগিতার জন্য আরও উপায় খোঁজার জন্য একটি পারস্পরিক চুক্তির মাধ্যমে বৈঠকটি শেষ হয়।

আরবি/জেআই

Link copied!