রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের পদ্ধতি এবং তার ক্ষমতার বিষয় নিয়ে বেশ কিছু প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেছে জাতীয় নাগরিক কমিটি।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) প্রস্তাবনায় বলা হয়, রাষ্ট্রপতি জনগণের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হবেন এবং একজন ব্যক্তি দুই বারের অধিক রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হতে পারবেন না।
রাষ্ট্রপতি রিপাবলিকের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন এবং রিপাবলিকের সব কার্যক্রম তার নামেই সম্পন্ন হবে। এছাড়া একজন রাষ্ট্রপতি ভবিষ্যতে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচন করতে পারবেন না।
রাষ্ট্রপতি সংসদের উভয় কক্ষের যৌথসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যদের বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেবেন। এছাড়া, আইনের দ্বারা নির্ধারিত পদ্ধতিতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ করবেন এবং অন্যান্য সাংবিধানিক পদে নিয়োগও আইনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। রাষ্ট্রপতি দণ্ড মওকুফ বা ক্ষমা প্রদানের ক্ষমতা রাখবেন, তবে এই বিষয়ে সংসদের উচ্চ কক্ষের প্রস্তাব বা পরামর্শ প্রয়োজন।
রাষ্ট্রপতি যেকোনো আইন, বিধি, চুক্তি বা স্মারক স্বাক্ষরের আগে তা সংবিধানিক সঙ্গত কিনা তা যাচাইয়ের জন্য সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগে মতামতের জন্য পাঠাতে পারবেন। একইভাবে, কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা সম্পর্কে তদন্ত বা নিরীক্ষার জন্য ন্যায়পালকে নির্দেশ প্রদান করতে পারবেন।
অধ্যাদেশ প্রণয়নের আগে সংসদের উচ্চ কক্ষ বা সংসদীয় কমিটি বা সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট বিভাগের মতামত নেওয়া হবে। রাষ্ট্রপতি যেকোনো বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে সংসদে প্রস্তাব পাঠাতে পারবেন।
রাষ্ট্রপতির কাস্টিং ভোট থাকবে এবং তিনি তিন বাহিনীর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। জরুরি অবস্থা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত উচ্চ কক্ষ নেবে এবং জরুরি অবস্থা ঘোষণার জন্য সংসদের উভয় কক্ষের সভায় পাস হওয়া প্রস্তাব রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছাতে হবে। নিম্নকক্ষে অনুপস্থিতির সময় কেবল উচ্চকক্ষ প্রস্তাব পাঠাতে পারবে। জরুরি অবস্থার সময় মৌলিক অধিকার বাতিল করা যাবে না।
এছাড়া, জাতীয় নাগরিক কমিটি প্রস্তাবনা দিয়েছে যে, সংসদ নেতার পরামর্শক্রমে সময়ের আগে রাষ্ট্রপতি সংসদ ভেঙে দিতে পারবেন।
আপনার মতামত লিখুন :