ঢাকা শনিবার, ০২ নভেম্বর, ২০২৪
বিএসআরএসফ-সিইএবি সেমিনার

সংস্কার-অবকাঠামো উন্নয়নে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: নভেম্বর ২, ২০২৪, ০৭:৩৭ পিএম

সংস্কার-অবকাঠামো উন্নয়নে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

“সংস্কার ও টেকসই উন্নয়নের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ” শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে আলোচকরা বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব। এটা করতে হবে। দুর্নীতি অনিয়ম দূর করে জনবান্ধব উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করার জন্য আলোচকরা তাগিদ দেন।

শনিবার (০২ নভেম্বর) রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‍‍`সংস্কার ও টেকসই উন্নয়নের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ‍‍` শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে আলোচকরা এসব কথা বলেছেন।

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) ও চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস এসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারে মাননীয় উপদেষ্টা, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলওয়ে মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরামের (বিএসআরএফ) সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ফসিহ উদ্দীন মাহতাব, সভাপতি, বিএসআরএফ। সেমিনারে মূলপ্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. এ. কে. এম. আতিকুর রহমান, অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ; পরিচালক, ইকোনমিক রিসার্চ প্ল্যাটফর্ম (ইআরপি), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়।

উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফৌজুল কবির খান বলেন, ভবিষ্যৎ এ প্রকল্প গ্রহণ করার আগে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন ভালভাবে যাচাই বাছাই করা হবে। কোন দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। জনবান্ধব প্রকল্প হাতে নেয়া হবে।

আলোচনায় অংশ নেন মোঃ সারদার শাহদাত আলী, মহাপরিচালক, বাংলাদেশ রেলওয়ে এবং মি. কি চাংলিয়াং, প্রধান উপদেষ্টা চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস এসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ (সিইএবি), ড. মো. শামসুল হক, অধ্যাপক, পুরকৌশল বিভাগ, বুয়েট, ড. শর্মিন্দ নীলর্মি, অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়, ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, গবেষণা পরিচালক, সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি), জনাব মেহেদী এইচ ইমন, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, জনাব উমামা ফাতেমা, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং জনাব মোঃ মাহিন সরকার, সমন্বয়ক, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

আলোচকরা বলেন রাস্তাঘাট, বন্দর, জ্বালানি ব্যবস্থা এবং যোগাযোগ নেটওয়ার্ক একটি ক্রমবর্ধমান অর্থনীতির চাহিদা মেটাতে সক্ষম হতে হবে এবং ভবিষ্যতের চাহিদাও পূরণ করতে প্রস্তুত হতে হবে। অবকাঠামো কেবলমাত্র ভৌত কাঠামো নয়; এটি এমন একটি স্থিতিশীল ভিত্তি গড়ে তোলার ব্যাপারে যেখানে বিনিয়োগ উৎসাহিত হয়, খরচ কমানো সম্ভব হয় এবং জীবনের গুণগত মান উন্নত হয়।

তারা বলেন, অবকাঠামো উৎপাদন খরচ কমানোর সাথে গভীরভাবে যুক্ত, যা সরাসরি বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশের অবস্থানকে প্রভাবিত করে। রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে হলে সাহসী অবকাঠামোগত বিনিয়োগ প্রয়োজন, যার মধ্যে দক্ষ পরিবহন করিডোর, আধুনিক বন্দর এবং স্থিতিশীল জ্বালানি ব্যবস্থা তৈরি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!