আগামী ছয় মাসের মধ্যে পুরোনো গাড়ি (যেসব গাড়ির অর্থনৈতিক আয়ুষ্কাল শেষ হয়েছে) অপসারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
আজ বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে শুষ্ক মৌসুমে ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় বায়ুদূষণ রোধে করণীয় নিয়ে আয়োজিত আন্তমন্ত্রণালয় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, রাজধানীতে পণ্যবাহী ট্রাক খোলা অবস্থায় যেন প্রবেশে করতে না পারে সে জন্য পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে সরকার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, এ লক্ষ্যে একটি টাস্কফোর্স গঠনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, যা আগামী বর্ষাকাল পর্যন্ত কাজ করবে। এ ছাড়া, কিছু এলাকা ‘নো ব্রিকফিল্ড জোন’ ঘোষণা করার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। বায়ুদূষণ রাতারাতি সমাধান সম্ভব নয়, তাই জনগণকে মাস্ক ব্যবহারে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, বায়ুদূষণের প্রধান উৎস চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। নির্মাণকাজের ধুলা, ইটভাটা এবং যানবাহনের ধোঁয়া নিয়ন্ত্রণে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। জনসচেতনতা বৃদ্ধি, আইন বাস্তবায়ন ও মনিটরিং জোরদার করার মাধ্যমে বায়ুদূষণ সমস্যার সমাধান করা হবে।
সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান আরও বলেন, নির্মাণকাজে ধুলা কমাতে পানি ছিটানো, নির্মাণ সামগ্রী ঢেকে রাখা এবং সুরক্ষা বেষ্টনী ব্যবহারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নিয়মিত ভ্যাকুয়াম ট্রাকের মাধ্যমে রাস্তা পরিষ্কার এবং দ্রুত সড়ক মেরামতের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি। পাশাপাশি, রাস্তার ধারে ঘাস লাগানো, নির্ধারিত স্থানে বর্জ্য ফেলা এবং বর্জ্য পোড়ানো বন্ধের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন।
সভায় স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, খাল উদ্ধার এবং উন্মুক্ত জায়গায় খেলার মাঠ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হবে। দেশের পরিবেশের মানোন্নয়নে সমন্বিত ভাবে কাজ করা হবে।
দূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর আইন প্রয়োগ এবং নিয়মিত মনিটরিং চালানো হবে। ধুলা নিয়ন্ত্রণে নিয়মিত পানি ছিটানোসহ প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
আপনার মতামত লিখুন :