ঢাকা শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪
১০ দিনের রামান্ড

ডিবি অফিসে কেমন কাটছে সালমান-আনিসুরের সময়

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: আগস্ট ১৪, ২০২৪, ০৮:১২ পিএম

ডিবি অফিসে কেমন কাটছে সালমান-আনিসুরের সময়

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা: চিরদিন কাহারও সমান নাহি যায়, আজিকে যে রাজাধিরাজ কাল সে ভিক্ষা চায়। কবি নজরুলের চরন দুটি বেশ প্রাসঙ্গিক বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে। ৫ আগস্টের আগেও সামলাম এফ রহমান ছিলেন তৎকালীর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা।

আর আনিসুল হক ছিলেন, আইনমন্ত্রী।তাদের দাপটে কাছে যাওয়ার সুযোগ ছিলো না সাধারণের। মাত্র ১০ দিনের ব্যবধানে হত্যা মামলার আসামি। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) ছদ্মবেশে পালাতে গিয়ে সদরঘাটে পার হতেই বুড়িগঙ্গা নদীতে নৌকায় আটক হন কোষ্টগার্ডের হাতে।

সেই ছবিতে দেখা যায় সালমান এফ রহমান দাড়ি কেটে জেলেদেরে মতো লুঙ্গি পড়ে পুরনো টি শার্ট পড়া অবস্থায় নৌকায় বসা। আনিসুল হকের পড়নেও ছিলো টি শার্ট ও লুঙ্গি।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষে এক হকারের মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের হওয়া হত্যা মামলায় আনিসুল হক এবং সালমান এফ রহমানের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি নিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সিএমএম আদালত আজ বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যার পর তাদের এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। দুজনকে কড়া নিরাপত্তায় বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় আদালতে হাজির করা হয় সিএমএমকোর্টে। এসময় তাদের লক্ষ করে ডিম ছুড়তে দেখা যায় বিক্ষুদ্ধ জনতা ও আইনজীবীদের।

এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গ্রেপ্তারের পর রাতভর ডিবি অফিসের হাজতখানায় ছিলেন সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হক। ছিল না কোনো বিশেষ ব্যবস্থা। আসামিদের জন্য নির্ধারিত স্বাভাবিক খাবার খেতে দেওয়া হয় তাদের। ভিআইপি আসামির ক্ষেত্রে মাঝে মাঝে বিশেষ ব্যবস্থা রাখে গোয়েন্দা পুলিশ। কখনও কখনও পরিবার থেকে পাঠানো খাবার খেতে দেওয়া হয়। বিছানায় ঘুমাতে দেওয়া হয়। কিন্তু সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হকের ক্ষেত্রে এসব কিছুই হয়নি। অন্য আসামিদের মতো হাজতের মেঝেতেই ঘুমাতে হয় তাদেরকে।

জুলাই মাসে কোটা আন্দোলনের সহিংসতা ও মৃত্যুর ঘটনায় ঢাকার নিউমার্কেট থানায় দায়ের হওয়া মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ

আরবি/ এইচএম

Link copied!