ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

হিন্দু জাগরণ মঞ্চের অবরোধে অচল শাহবাগ

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৩, ২০২৪, ০৭:১৯ পিএম

হিন্দু জাগরণ মঞ্চের অবরোধে অচল শাহবাগ

ছবি রুপালী বাংলাদেশ

ঢাকা: সনাতনীদের উপাসনালয় ও বাড়িঘরে হামলার অভিযোগ এনে এবং পূর্বের ৮ দফা দাবি বাস্তবায়নের দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করেছে হিন্দু জাগরণ মঞ্চ। এতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক শাহবাগ যান চলাচলে অচল হয়ে পড়ে। শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এই অবরোধ করেন তারা। বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি না হয় সেজন্য সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

এসময় আন্দোলকারীরা অনতিবিলম্বে ৮ দফা দাবি বাস্তবায়ন; ৫ই আগষ্ট থেকে ২০ই আগষ্ট পর্যন্ত বিভিন্ন হামলার সুষ্ঠু বিচার এর জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত; ঠাকুরগাঁও, চট্টগ্রাম সহ সাম্প্রতিক সময়ে সংখ্যালঘুদের উপর হামলার বিচার ও আসন্ন দুর্গাপূজায় পর্যাপ্ত নিরাপত্তা প্রদান করার দাবি জানান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে।

তারা বলেন, যত দিন যাচ্ছে একটি মহল সংখ্যালঘুদের উপর সুপরিকল্পিত ভাবে আক্রমণ করছে। খুলনার উৎসব মন্ডলের উপর আক্রমণ, চট্টগ্রামে গনেশ প্রতিমার আক্রমণ, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, নীলফামারী, ময়মনসিংহ উল্লেখযোগ্য। গতকাল ১২ই সেপ্টেম্বর দুপুর ২ ঘটিকায় রাজধানীর সুত্রাপুর হৃষীকেশ দাস রোডে একটি মন্দির ও বাড়িতে হামলা হয় বলে জানান তারা।

পিরোজপুর থেকে আন্দোলনে আসা নির্জন মন্ডল বলেন, সনাতনীরা সবসময় এবং সব সরকারের আমলেই নির্যাতিত। আওয়ামী লীগের সময় নির্যাতিত হয়েছি এখনো হচ্ছি। কয়েকদিন আগে যখন আন্দোলন করেছিলাম অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমাদের আশ্বস্ত করলেও এখন পর্যন্ত কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি।

উল্লেখ্য, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পতনের পর সংখ্যালঘুদের উপর হামলা ও নির্যাতনের অভিযোগ এনে দেশব্যপী বিক্ষোভ করে সংখ্যালঘুরা। এর প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিকট ৮ দফা দাবি পেশ করে সংখ্যালঘু অধিকার আন্দোলন। আন্দলনকারীরা বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তাদের দাবিগুলো যৌক্তিক বললেও দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেয়নি। দাবিগুলো-

১। সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শাস্তি প্রদান, ক্ষতিগ্রস্তদের যথোপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা।
২। "সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন" প্রণয়ন।
৩। "সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয়" গঠন করা।
৪। হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে "হিন্দু ফাউন্ডেশন" এ উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে।
৫। "দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন" প্রণয়ন এবং "অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পণ আইন" যথাযথ বাস্তবায়ন করা।
৬। সরকারি/ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনাকক্ষ বরাদ্দ।
৭। "সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড" আধুনিকায়ন।
৮। শারদীয় দুর্গাপূজায় ৫ দিন ছুটি দিতে হবে। পাশাপাশি প্রতিটি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রধান প্রধান ধর্মীয় উৎসবে প্রয়োজনীয় ছুটি প্রদান করতে হবে।

আরবি/এস

Link copied!