বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলামের বড় ছেলে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য (এমপি) নির্বাচিত হন। এরপর আরও চারবার তিনি একই আসনে জেতেন। ২০০৭ সালে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। সে সময় থেকে দলের মুখপাত্র হিসেবে তার বক্তব্যে রাজনৈতিক প্রজ্ঞার ছাপ দেখতে পেয়েছিলেন পর্যবেক্ষকরা।
আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর ২০০৯ সালে ১৮তম জাতীয় সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। সেবার স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীর দায়িত্বও পান তিনি।
তবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে পাঁচটি সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থীদের শোচনীয় পরাজয় এবং জাতীয় নির্বাচনের পর মধ্যবর্তী নির্বাচন আয়োজনের পক্ষে মত দিয়ে দলের শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের বিরাগভাজন হন তিনি।
দলের সভাপতি শেখ হাসিনাসহ সিনিয়র অনেকের সঙ্গে তার দূরত্ব সৃষ্টি হয়। এ দূরত্ব ২০১৯ সালে সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুর আগ পর্যন্ত জারি রাখা হয়।
আওয়ামী লীগের জনপ্রিয় নেতা সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে নিয়ে এবার স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের ছেলে সোহেল তাজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শুক্রবার (জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। ওই পোস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি শেখ হাসিনা সৈয়দ আশরাফের মৃত্যুর পর জানাজা নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন। পোস্টটি পাঠকদের জন্য হুবহু তুলে ধরা হল।
"হাঁটে হাড়ি ভাঙা" প্রথম পর্ব
‘সৈয়দ আশরাফের ৩টি জানাজা হবে শুনে তৎকালীন আওয়ামীলীগ সভাপতি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেনI তিনি সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে ধমক দিয়ে বলেছিলেন "ও এত বড় কি হয়ে গেল যে ৩টা জানাজা পড়াতে হবে?" প্রতিউত্তরে কাচুমাচু করে ওবায়দুল কাদের আমতা আমতা করে জবাবে বলেছিলো "নেতা কর্মীরা ওনাকে অনেক পছন্দ করে আর তাদেরই দাবি- না মানলে সামলানো যাবেনা I
উল্লেখ, আপনারা যারা আশরাফ ভাইকে শাপলা চত্বর নিয়ে দোষারোপ করছেন তা সঠিক না- তিনি হইতে কিছু কথা বলে থাকতে পারেন কিন্তু সব সিদ্ধান্ত আসতো একেবারে উপর থেকে
দৃষ্টি আকর্ষণ: গণহত্যা, গুম, খুন, নির্যাতন/নিপীড়নকারী, দুর্নীতিবাজ, গণতন্ত্র হত্যাকারী চোর/মাফিয়াদের সমর্থনকারী ব্রেন ওয়াসড নব্য কাওয়া বডিলীগ এর চামচাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি
বিঃ দ্রঃ
নীতি আদর্শ বিচ্যুত খারাপ মানুষের প্রশংসা আমার প্রয়োজন নাই- আমি আপনাদেরকে চিনি
বিঃ বিঃদ্রঃ
আওয়ামীলীগের ব্রেইন ওয়াশড নষ্ট পচা নীতি/আদর্শ বিচ্যুত লুটেরা খুনি হত্যা গুম নির্যাতনকারীদের সমর্থক সকলকে বলবো অনতিবিলম্বে আমার এই ফেইসবুক পেইজটি আনফলো করতে- আর অনুরোধ থাকবে নিজের বিবেককে জাগিয়ে আত্মউপলব্ধি আত্মসমালোচনা করে অনুশোচনা করার।’
মূলত, আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ আশরাফের ষষ্ঠ মৃত্যুবার্ষিকী আজ। এ উপলক্ষে সোহেল তাজ আরেকটি পোস্টে উল্লেখ করেন।
‘আজ আশরাফ ভাই এর ৬ষ্ট মৃত্যুবার্ষিকী- আমি ওনাকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং মহান আল্লাহ তালার কাছে দোয়া করছি ওনাকে যেন জান্নাতবাসী করেন I
আশরাফ ভাই আমার আপন বড় ভাই এর থেকেও বেশি ছিলেন- তিনি ছিলেন আমার বন্ধু, আমার শুভাকাঙ্খী- আমরা ছিলাম একই চিন্তাধারার।’
আপনার মতামত লিখুন :