ক্ষমতাবহির্ভূত কয়েক কোটি টাকার বিলে সই

মাইনুল হক ভূঁঁইয়া

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৫, ০২:৪৮ পিএম

ক্ষমতাবহির্ভূত কয়েক কোটি টাকার বিলে সই

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

অভিভাবকহীন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) চলছে অনিয়ম ও খেয়ালখুশির রাজত্ব। সবচেয়ে বেশি অরাজক পরিস্থিতি আর্থিক লেনদেনে। গত ২ ফেব্রুয়ারি থেকে কোটি কোটি টাকার অস্বাভাবিক লেনদেন হচ্ছে সংস্থাটিতে। অথচ প্রশাসকবিহীন এই সংস্থায় এমন বড় অংকের লেনদেনের প্রশাসনিক ক্ষমতার ব্যবহার হওয়াটা অস্বাভাবিক।

অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৩০ জানুয়ারি ডিএসসিসির সচিব, যিনি প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার চলতি দায়িত্বে ছিলেনÑ সেই বশিরুল হক ভূঁইয়াকে পূর্ণাঙ্গ সিইও হিসেবে নিশ্চিত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ। বিভাগটির সচিব মো. নিজামউদ্দিন স্বাক্ষরিত এক দাপ্তরিক আদেশে তাকে পুনারাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত পূর্ণ আর্থিক ও প্রশাসনিক ক্ষমতা অর্পণ করা হয়। এরপর থেকেই একের পর এক ক্ষমতাবহির্ভূত আর্থিক লেনদেনের ঘটনা ঘটতে থাকে। প্রশাসক থাকাকালে যেসব ঠিকাদারের বিলে অনুমোদন দিয়ে গেছেন, সেগুলোর সঙ্গে কয়েক কোটি টাকার নতুন বিল ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে অবলীলায়। সেসঙ্গে কোটি টাকারও বেশি পরিবহন তেলের বিলেও সিইও সই করছেন।

করপোরেশন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সিইওর আর্থিক ক্ষমতা মাত্র ৪৯ হাজার টাকা। তিনি কোন ক্ষমতাবলে এত বেশি অংকের বিলে স্বাক্ষর করেন!

এ বিষয়ে ডিএসসিসি’র প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা মো. আলী মনসুর রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, প্রশাসক যেসব অনুমোদন দিয়ে গেছেন, সেসব বিলই আমরা পর্যায়ক্রমে দিচ্ছি। কিন্তু ঠিকাদারদের নতুন বিল এবং পরিবহন তেলের বিল দেওয়ার বিষয়টি তিনি সুকৌশলে এড়িয়ে যান। এদিকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বশিরুল হক ভূঁইয়াকে বারংবার ফোন দেওয়া হলেও তিনি রিসিভ করেননি। তা ছাড়া খুদে বার্তারও জবাব দেননি। 

উল্লেখ্য, ডিএসসিসিতে প্রশাসক নেই ৩৫ দিন ধরে। ফলে সংস্থার প্রশাসনিক ও আর্থিক কাজকর্মে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এক কর্মকর্তা হতাশার সুরে বললেন, অনুমোদনের অপেক্ষায় আমাদের বহু ফাইল পড়ে আছে। এতে করে উন্নয়নকাজ থমকে যাওয়ার পাশাপাশি নাগরিক সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। এমন সব ফাইল আছে যা প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার ক্ষমতার আওতায় পড়ে না।

আরবি/জেডআর

Link copied!