এলজিআরডি ও সমবায় এবং ভূমি উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা-কার্মচারীদের নিজেদের মধ্যে চলমান মামলাসমূহ আগামী সাত দিনের মধ্যে তুলে নিতে আলাপ-আলোচনা উদ্যোগ নেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বিদ্যমান মামলাসমূহ ও জনবল সংকটে মাঠপর্যায়ে ভূমি জরিপ কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি জনগণ কাঙ্ক্ষিত সুফল হতে বঞ্চিত হচ্ছে উল্লেখ করে অধিদপ্তরের কার্যক্রমকে আরো সক্রিয়, গণমুখী ও গতিশীল করতে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে নতুন জনবল নিয়োগের কার্যক্রম শুরুর ওপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন।
উপদেষ্টা আজ তেজগাঁও ভূমি ভবনে ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর কর্তৃক সার্বিক কার্যক্রমের ওপর আয়োজিত এক অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা তুলে ধরেন। এতে ভূমি মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও মাঠ পর্যায়ের প্রায় ১০০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী মুক্ত আলোচনা সভায় পেশাগত ও প্রাতিষ্ঠানিক সংকট ও সমস্যাবলী নিয়ে আলোকপাত করেন।
অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমান, ভূমি আপিল বোর্ড চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইব্রাহিম ও ভূমি সংস্কার বোর্ড চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডল।
ভূমি উপদেষ্টা আইন-আদালত অঙ্গনে নিজের পেশাগত কর্ম অভিজ্ঞতা তুলে ধরে বলেন, ভূমি সংক্রান্ত মামলাজট বিচারাঙ্গনকে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছে। এরূপ মামলাজট কমাতে তৃণমূল পর্যায়ে এলাকাভিত্তিক অংশগ্রহণমূলক কর্মশালা আয়োজন করতে জরিপ অধিদপ্তরকে পরামর্শ দেন।
তিনি আরো বলেন, ২০১৩ সালের পর থেকে দীর্ঘদিন ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরে কোন জনবল নিয়োগ না হওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম সংকটের মুখে পড়েছে। এ থেকে বেরিয়ে আসতে সমন্বিত কর্মকৌশল নির্ধারণ করে এগুতে হবে। তিনি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে অভিজ্ঞতালব্ধ জ্ঞান মাঠপর্যায়ে জনকল্যাণে প্রতিফলন ঘটানোর আহ্বান জানান।
আপনার মতামত লিখুন :