ঢাকা সোমবার, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

শিল্প এলাকার ৪০ লাখ শ্রমিক পাবেন টিসিবির পণ্য, মঙ্গলবার উদ্বোধন

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৪, ০৯:১২ পিএম

শিল্প এলাকার ৪০ লাখ শ্রমিক পাবেন টিসিবির পণ্য, মঙ্গলবার উদ্বোধন

ছবি: সংগৃহীত

শিল্প এলাকার ৪০ লাখ শ্রমিকের মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ভর্তুকি মূল্যের পণ্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে পণ্য বিক্রি কার্যক্রম উদ্বোধন করা হবে।

রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে গ্রামীণফোনের চেক গ্রহণ অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এ তথ্য জানান।

আসিফ মাহমুদ বলেন, দেশে বর্তমানে যেসব ব্যবস্থা চালু রয়েছে সেগুলো সচল করতে পারলে অধিকাংশ সমস্যা সমাধান হবে। ইতিপূর্বে শ্রমিকদের ১৮ দফা দাবি ত্রিপক্ষীয় আলোচনায় সমাধান দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যেগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে তা বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হচ্ছে।

শ্রমসচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, শ্রমিকদের ১৮ দফার মধ্যে একটি ছিল, তাঁদের রেশনের ব্যবস্থা করা। সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১ অক্টোবর (মঙ্গলবার) আশুলিয়ায় টিসিবির পণ্য শ্রমিকদের মধ্যে বিতরণ উদ্বোধন করা হবে। টিসিবির আওতায় এক কোটি পরিবারের বাইরে অতিরিক্ত হিসেবে শ্রমঘন (শিল্প) এলাকায় এই সংখ্যা বাড়ানো হবে।

শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন ও ১২০ দিন মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ যেসব সিদ্ধান্ত হলোশ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি বাস্তবায়ন ও ১২০ দিন মাতৃত্বকালীন ছুটিসহ যেসব সিদ্ধান্ত হলো

উপদেষ্টা বলেন, শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন গঠিত হয়। কিন্তু দেশের অধিকাংশ শ্রমিকই জানে না তাঁদের জন্য এমন একটি ফান্ড রয়েছে। কীভাবে আবেদন করতে হবে হয়তো সেই প্রক্রিয়াটাও তাঁদের জানা নেই। এটির ফান্ড ব্যবস্থাপনা নিয়ে নানা প্রশ্ন ছিল। শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের টাকা সমস্যাগুলো তদন্ত করা হবে। এ পর্যন্ত ৩০ হাজার ২৮৫ জন শ্রমিককে ১৪১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা সহায়তা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে তহবিলে জমা রয়েছে ১ হাজার ২৬ কোটি টাকা।

উপদেষ্টা আরও বলেন, ফাউন্ডেশনের টাকা শ্রমিকদেরই। কোম্পানিগুলো এখানে অংশগ্রহণের মাধ্যমে এটা সরকারের কাছে আমানত হিসেবে রাখে। তা জবাবদিহি ও স্বচ্ছতার ভিত্তিতে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে দিতে হবে।

শ্রমিকদের ১৮ দফার সমাধান করে দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, যে দাবিগুলো মেনে নেওয়া হয়েছে, সেগুলো বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হচ্ছে। যেখানে শ্রমিকেরা অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে জড়িত সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। দু-একটি জায়গায় এখনো শ্রমিক অসন্তোষ রয়েছে সেগুলো সমাধানে কাজ করা হচ্ছে।

আরবি/ এইচএম

Link copied!