ঢাকা শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

বিক্রি বন্ধ টিসিবির চাল, বিপাকে কোটি পরিবার

রূপালী প্রতিবেদক

প্রকাশিত: জানুয়ারি ৯, ২০২৫, ০১:০৭ পিএম

বিক্রি বন্ধ টিসিবির চাল, বিপাকে কোটি পরিবার

ছবি: সংগৃহীত

ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) ফ্যামিলি কার্ডের পণ্যতালিকা থেকে চলতি মাসে হঠাৎ করেই চাল বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিকে, বাজারে চালের দাম চড়া। ফলে, চরম বিপাকে পড়েছে নিম্নআয়ের প্রায় এক কোটি পরিবার।

টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয় ঢাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা যুগ্ম-পরিচালক (অফিস প্রধান) হুমায়ুন কবির বলেন, খাদ্য অধিদপ্তর থেকে চাল সরবরাহ না করায় এমনটি হয়েছে।

তিনি বলেন, খাদ্য অধিদপ্তরের ডিসেম্বর পর্যন্ত চাল সরবরাহ করেছে। জানুয়ারিতে চাল সরবরাহ না পাওয়ায় এ মাসে চাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা খাদ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রেখেছি। চাল পাওয়া গেলে পুনরায় সরবরাহ শুরু হবে।

জানা গেছে, অর্থ মন্ত্রণালয় চাল কেনার জন্য বাজেট ছাড় না করায় খাদ্য অধিদপ্তর চাল সরবরাহ করতে পারেনি। খাদ্য অধিদপ্তরের সরবরাহ, বণ্টন ও বিতরণ বিভাগের পরিচালক আব্দুস সালাম বলেন, এটা আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্তের বিষয়। মন্ত্রণালয় থেকে যেভাবে নির্দেশনা আসবে সেভাবেই বাস্তবায়ন করা হয়। নির্দেশনা আসেনি, তাই সরবরাহ করা হয়নি।

টিসিবি সূত্রে জানা যায়, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্নআয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য চাল, মসুর ডাল, চিনি ও সয়াবিন তেল বিক্রি করে আসছিল টিসিবি। ২০২৩ সালের জুলাই মাস থেকে টিসিবি প্রতি ফ্যামিলি কার্ডের বিপরীতে ৩০ টাকা কেজি দরে পাঁচ কেজি চাল সরবরাহ করে আসছিলো। খাদ্য অধিদপ্তর এ চাল সরবরাহ করত।

একটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের তথ্য অনুসারে, রাজধানীতে মোটা চালের দাম গত এক সপ্তাহে কেজি প্রতি তিন-চার টাকা বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি মোটা চাল ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ছিলো ৫৪-৫৫ টাকা।

টিসিবি জানায়, বর্তমানে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্নআয়ের মানুষকে সাশ্রয়ী মূল্যে পণ্য সরবরাহ করা হয়। এর মধ্যে ভোজ্য তেল, ডাল, চিনি নিয়মিত থাকে। পাশাপাশি কখনও কখনও পেঁয়াজ ও চাল সরবরাহ করা হয়। রমজান মাসে যোগ হয় ছোলা ও খেজুর। এতদিন ফ্যামিলি কার্ড হাতে লেখা ছিলো।

সরকার বর্তমানে স্মার্ট ডিজিটাল কার্ড চালুর উদ্যোগ নিয়েছে। টিসিবির তথ্য কর্মকর্তা জানান, এখন পর্যন্ত ৫৭ লাখ গ্রাহক স্মার্টকার্ড পেয়েছেন। আরও ছয় লাখ কার্ড প্রস্তুত হচ্ছে। এ মাসের মধ্যেই এগুলো গ্রাহকদের হাতে পৌঁছে যাবে। 

আরবি/এস

Link copied!