জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৯তম অধিবেশন শেষে নিউ ইয়র্ক থেকে প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলে কয়েকজন সচিব প্রত্যাহার ও নতুন পদায়ন হতে পারে বলে জানিয়েছেন সিনিয়র জনপ্রশাসন সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান।
তিনি গণমাধ্যমকে জানান, নতুন ডিসিদের কেউ সক্ষমতা প্রমাণ করতে না পারলে প্রত্যাহার হতে পারেন। এছাড়াও শূন্য থাকা ৮ জেলার ডিসি নিয়োগও হবে দ্রুত। রদবদল হতে পারে এডিসি ও ইউএনও পদেও।
এদিকে জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অতীত যাচাই করে যোগ্যদের নিয়োগ দিতে হবে। এক্ষেত্রে নিয়োগের পর সিদ্ধান্ত পরিবর্তন হলে ভুল বার্তা যাবে।
গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের সাজানো প্রশাসনে শৃঙ্খলা ফেরাতে কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে অন্তবর্তী সরকার। এরইমধ্যে কয়েকজন সচিবকে ওসডি বা অবসরে পাঠানো হয়েছে। বাতিল হয়েছে ১১ সচিবের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ। এতে কয়েকটি মন্ত্রণালয় এখন সচিব শুন্য। আবার বেশকিছু মন্ত্রণালয়ে থেকে গেছেন বিগত সময়ের সুবিধাভোগিরা।
জনপ্রশাসন সচিব জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা দেশে ফিরলে, সচিব ও অধিদপ্তরের প্রধান পদে নতুন পদায়ন হবে। এমনকি প্রত্যাহার হবেন কয়েকজন।
ক্ষমতার পালাবদলে ৫১ জেলায় যোগ দিয়ে কাজ শুরু করেছেন নতুনরা জেলা প্রশাসক বা ডিসিরা। অভিযোগ থাকায় নিয়োগের পরদিনই বাতিল হয় ৮ জেলার নতুন ডিসির নিয়োগ। তাই ভারপ্রাপ্ত দিয়ে চলছে এসব জেলা। আবার উপসচিব পর্যায়ের কিছু কর্মকর্তার ক্ষোভ ও অভিযোগ আছে নতুন ডিসি নিয়োগ নিয়ে।
এ ব্যপারে সাবেক সচিব একে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার গণমাধ্যমকে বলেন, সিদ্ধান্ত নিলে বুঝে শুনে নেয়া উচিত। সিদ্ধান্ত নিলে আর পরিবর্তন না করা ভালো। পরিবর্তন করলে একটা খারাপ বার্তা যায়। সরকার গোছানোর চেষ্টা করছে। আমি মনে করি আগামী এক মাসের ভেতর সব গুছিয়ে ফেলবে।
সচিব মোখলেস উর রহমান জানান, প্রশাসনের চেইন অব কমান্ড ফিরিয়ে আনতে কঠোর সরকার। ১ অক্টোবর শুরু হচ্ছে প্রশাসন সংস্কার কমিশনের কার্যক্রমও।
আপনার মতামত লিখুন :