ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

এবার হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪, ০৯:৪৫ এএম

এবার হাসিনা-কাদেরের বিরুদ্ধে ১০ কোটি টাকার মানহানির মামলা

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান ও দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য করায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রেজওয়ানুল হকের নামে ১০ কোটি টাকা মানহানির মামলা হয়েছে। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে উলিপুর থানার ওসিকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

রোববার (১ সেপ্টেম্বর) উলিপুর উপজেলা বিএনপির কার্যকরী সদস্য মঞ্জুরুল ইসলাম বাদী হয়ে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালত উলিপুরে এ মানহানির মামলা করেন। মামলায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রেজওয়ানুল হককে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দ্বিতীয় আসামি এবং ওবায়দুল কাদেরকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে।

মামলার আরজি সূত্রে জানা যায়, বিএনপি নেতা মঞ্জুরুল ইসলাম উলিপুর পৌরসভার বাকরের হাটবাজার কৃত্রিম প্রজনন পয়েন্টের একজন স্বেচ্ছাসেবী। গত ১৫ মে প্রাণিসম্পদ দপ্তরে কৃত্রিম প্রজনন স্বেচ্ছাসেবী, কৃত্রিম প্রজননকর্মী ও পশুপালন খামারিদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভা হয়। সভায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. রেজওয়ানুল হক ২ ও ৩ নম্বর আসামির রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে বাদী মঞ্জুরুল ইসলাম ও তার দল বিএনপিকে তিরস্কার করেন।

পরে বাদী ওই মন্তব্যের কারণ জানতে চাইলে ১ নম্বর আসামি সবার উপস্থিতিতে তাকে ও বিএনপিকে গালাগাল দিতে থাকেন। এ সময় রেজওয়ানুল হক জিয়াউর রহমানকে নিয়েও আপত্তিকর মন্তব্য করেন। একজন সরকারি কর্মচারী হয়ে সবার উপস্থিতিতে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান, চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে আপত্তিকর কথাবার্তা বলায় নেতা–নেত্রীর মানসম্মানের হানি হয়েছে, যা বাংলাদেশের মুদ্রায় ১০ কোটি টাকাতেও পূরণ করা সম্ভব নয়। এ অবস্থায় মামলা গ্রহণ করে আসামিদের বিরুদ্ধে পরোয়ানা জারির আবেদন করেন বাদী।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও সাবেক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আজিজুর রহমান দুলু বলেন, ‘আদালত মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আদালত যেহেতু মামলাটি সরাসরি আমলে নেননি, সেহেতু অভিযোগের বিষয়ে সত্যতা থাকতে পারে, আবার নাও থাকতে পারে। সাবজুডিস ম্যাটার হওয়ায় মন্তব্য করা সমীচীন নয়।’

আরবি/জেআই

Link copied!