পে-রোলের আওতাধীন ৩৩ জন চুক্তিভুক্ত আম্পায়ারের বেতনকাঠামো চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সর্বশেষ সভায়। আম্পায়ারদের আট শ্রেণিতে রেখে বেতনকাঠামো গঠন করেছে বিসিবির আম্পায়ার্স কমিটি।
এ ছাড়া বিসিবির আটজন স্কোরারকেও প্রথমবারের মতো বেতনকাঠামোর আওতায় আনা হয়েছে। এক বছরের চুক্তিতে স্কোরার, আম্পায়ারদের নতুন বেতন কার্যকর ধরা হয়েছে গত ১ জানুয়ারি থেকে।
বেতনের বাইরে বিসিবির নিয়ম অনুযায়ী বছরে দুটি করে বোনাস পাবেন সবাই। নতুন বেতনকাঠামোতে ‘এ+’ গ্রেডের একমাত্র সদস্য আইসিসির এলিট আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদের বেতন হয়েছে মাসে ২ লাখ টাকা, এত দিন যা ছিল ৬৫ হাজার টাকা।
বিসিবির ‘গ্রেড এ’তে আছেন আইসিসির চার ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার মাসুদুর রহমান, গাজী আশরাফুল আফসার সোহেল, তানভীর আহমেদ ও নতুন যুক্ত হওয়া মোর্শেদ আলী খান।
তাদের মধ্যে মাসুদুর রহমানের বেতন ৫৫ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ১ লাখ টাকা, সোহেল ও তানভীরের বেতন ৪৬ হাজার টাকা থেকে বেড়ে ৯০ হাজার টাকা এবং নতুন ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলভুক্ত আম্পায়ার মোর্শেদ আলী খানের বেতন ধরা হয়েছে ৭০ হাজার টাকা।
‘গ্রেড বি’তে থাকা চার বিসিবি এলিট প্যানেল আম্পায়ারের বেতন ৪৫ হাজার থেকে ৫৫ হাজার টাকার মধ্যে। বেতনকাঠামোর ‘সি গ্রেডে’ থাকা আইসিসি প্যানেল আম্পায়ার (ডেভেলপমেন্ট), ইমার্জিং প্যানেল আম্পায়ার ও ফার্স্ট ক্লাস প্যানেলে আম্পায়ারদের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী ২৫ ও ৩৫ হাজার টাকা।
চার নারী আম্পায়ারসহ এই গ্রেডে আছেন ১৯ জন আম্পায়ার। এ ছাড়া রিজিওনাল প্যানেলের পাঁচ আম্পায়ারের বেতন ২৫ হাজার টাকায় উন্নীত করেছে বিসিবি। আগে তাদের কেউ পেতেন ১৫ হাজার টাকা, কেউ ১৬ হাজার ৫০০ টাকা।
বিসিবির ম্যাচ রেফারিদের মধ্যে ‘গ্রেড এ’তে আছেন রকিবুল হাসান, নিয়ামুর রশীদ ও আখতার আহমেদ। এর মধ্যে প্রধান ম্যাচ রেফারি রকিবুলের মাসিক বেতন এক বছরের চুক্তিতে ১ লাখ ১৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা করা হয়েছে।’
আপনার মতামত লিখুন :