লাইভ সাক্ষাৎকারে যা বললেন মেজর ডালিম

বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন প্রাক্তন সামরিক কর্মকর্তা শরিফুল হক ডালিম, যিনি মেজর ডালিম নামেই বেশি পরিচিত। অভিযোগ ছিল ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট বাংলাদেশের তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন।

রোববার (৫ ডিসেম্বর) সোশ্যাল মিডিয়া ইউটিউবে আজ রাত ৯ টায় প্রবাসী সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেনের নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে বিশেষ লাইভে যুক্ত ছিলেন। যেখানে তিনি তাঁর জীবন ও সাম্প্রতিক সময়ের ঘটে যাওয়া নানা ইস্যু নিয়ে কথা বলেছেন।মেজর ডালিমের বিশেষ সেই সাক্ষাৎকারের ধারাবাহিকভাবে ৫ পর্বের পাঠকদের জন্য আজ থাকছে প্রথম পর্ব।

আলোচনার শুরুতেই সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন বলেন, আমাদের জাতির সূর্যসন্তান যিনি ২০২৪ সালের আন্দোলন দেখেছেন, ১৯৭৫ সালে জাতিকে সফলতা এনে দিয়েছিলেন।যে কারণে আপনাকে আমরা মেজর ডালিম হিসেবে ডাকতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আপনি জাতিকে এড্রেস করতে পারেন।

সাংবাদিক ইলিয়াসের প্রশ্নের জবাবে মেজর ডালিম বলেন, আজ অনেক বছর পর দেশবাসীর তরফ থেকে, বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের ছাত্র জনতা যারা ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনে আংশিক সফলতা অর্জন করেছেন তাদেরকে আমি অভিনন্দন জানাই। তাদের লাল সালাম জানাচ্ছি।

সম্পূর্ণ বিজয় উল্লেখ হয় নি উল্লেখ করে মেজর ডালিম আরো বলেন, সম্পূর্ণ বিজয় এখনো আমাদের অর্জিত হয়নি। চলমান বিপ্লবের ধারায় সঙ্গ দিতে হবে। চতুর্থ রিপাবলিক মানে চতুর্থ বিপ্লবের কথা উল্লেখ করছি। 

তিনি আরো বলেন, আমি এবং আমার সাথী ভাইয়েরা যারা এখনো বেঁচে আছি আমরা যদি আমাদের বর্তমান প্রজন্মের বিপ্লবী ছাত্র জনতাদের বিপ্লবী কর্মকান্ডে কোনরকম অবদান রাখতে পারি; আমাদের নিজস্ব অভিজ্ঞতা, যোগাযোগ থেকে তাহলে আমরা সেটা করতে প্রস্তুত।

মেজর ডালিম আরো বলেন, মুজিব মারা যায়নি, একটি সেনা অভ্যুত্থানে নিহত হয়েছে। বাকশাল বিদায়ের পরে কোটি কোটি মানুষ রাস্তায় নেমে এসে শুকরিয়া আদায় করেছে। শেখ মুজিব তার জুলুমের মাত্রা এতোটাই তীব্র করেছিল স্বৈরাচারী আচরণের মত যে, তখন মানুষ রবের কাছে মুক্তি চাচ্ছিল যে তার জুলুমের অবসানের জন্য।

ডালিম আরো বলেন, "তথাকথিত নেতারা যখন ভারত পালিয়ে গেল। ছিল না যখন কেউ নেতৃত্বের দেওয়ার। সমঝোতা নিয়ে সবাই ব্যস্ত। পাকিস্তান বাহিনী যখন বাঙালির উপর হামলে পড়েছিল। তখন মেজর জিয়ার স্বাধীনতার ঘোষণা আসে। আমি তখন পাকিস্তান আর্মিতে। মেজর জিয়ার ঘোষণা শুনে মনে হলো, আর বসে থাকার সময় নেই। আমরা তখনই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে গেলাম।"