ঢাকা-করাচি সরাসরি ফ্লাইট চালু হতে যাচ্ছে এ বছর। পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আহমেদ মারুফ জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে আকাশপথে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে বাণিজ্য ও সম্পর্ক আরও জোরদার হবে। সোমবার ঢাকায় এক মতবিনিময় সভায় এই ঘোষণা দেন তিনি।
সভায় পাকিস্তানের এফপিসিসিআই সভাপতি আতিফ একরাম শেখ বলেন, সরাসরি যোগাযোগের অভাবে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য প্রত্যাশিতভাবে বাড়েনি। তবে এই উদ্যোগের ফলে পরিস্থিতি বদলাবে। গত অর্থবছরে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে ৬২৮ মিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছে, যার মধ্যে তুলা, কাপড়, পেঁয়াজ, ও রাসায়নিক পণ্য উল্লেখযোগ্য। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে রপ্তানি হয়েছে ৬২ মিলিয়ন ডলারের পণ্য, যার মধ্যে কাঁচা পাট, ওষুধ, চা এবং তৈরি পোশাক প্রধান।
বাংলাদেশের এফবিসিসিআই প্রশাসক মো. হাফিজুর রহমান জানিয়েছেন, বাংলাদেশের চামড়া, টেক্সটাইল, ঔষধ, এবং সিরামিক শিল্পের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে পাকিস্তানের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে শিল্প কারখানা স্থাপন করা যেতে পারে। এ ধরনের পদক্ষেপ দুই দেশের অর্থনীতিকে আরও শক্তিশালী করবে।
পাকিস্তানি হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ বলেছেন, বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা পাকিস্তানকে করিডোর হিসেবে ব্যবহার করে মধ্যপ্রাচ্য ও সেন্ট্রাল এশিয়ায় রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণ করতে পারে। এই প্রস্তাব বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের জন্য নতুন দ্বার উন্মোচন করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
সভায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের শীর্ষ ব্যবসায়ী সংগঠনগুলোর মধ্যে একটি জয়েন্ট বিজনেস কাউন্সিল গঠন করা হয়েছে। এই সমঝোতা স্মারক উভয় দেশের ব্যবসায়ী সম্পর্ক আরও গভীর করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এ উদ্যোগের মাধ্যমে দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছাবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।
আপনার মতামত লিখুন :