শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর শোক ও গৌরবের দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে জাতির মেধাসম্পদ ধ্বংসের লক্ষ্যে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসররা পরিকল্পিতভাবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করেছিল। এ হত্যাকাণ্ডের মাধ্যমে তারা চেয়েছিল বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করে ভবিষ্যতে একটি সমৃদ্ধ জাতি হিসেবে গড়ে ওঠা প্রতিরোধ করতে।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় তাদের আত্মত্যাগের কথা, যারা জ্ঞান, চিন্তা এবং সৃজনশীলতার মাধ্যমে জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। এই দিনটি পালনের মাধ্যমে আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে নতুন প্রজন্মের মাঝে ছড়িয়ে দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হই।
রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, এবং বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে আজকের দিনটি যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে। বিশেষ করে মিরপুর ও রায়ের বাজারের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং সারা দেশে আলোচনা সভা ও প্রার্থনা অনুষ্ঠান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিকে অম্লান করে রাখছে।
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ শুধু স্মরণীয় নয়, এটি আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের ভিত্তি। তাদের আত্মত্যাগের প্রেরণায় জাতি আজও সংগ্রামী, সাহসী এবং উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে। এ দিবসে আমাদের শপথ হোক, শহীদদের আদর্শ ও স্বপ্ন বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ ও মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
আপনার মতামত লিখুন :