পুলিশের সাবেক বিতর্কিত কর্মকর্তা হারুন অর রশিদের মাধ্যমে একটি চক্র কর্তৃক প্রয়াত ব্যবসায়ীর সম্পত্তি আত্মসাত, মিথ্যা মামলা ও তার পরিবারকে হয়রানির বিচার চেয়েছেন ঐ ব্যবসায়ীর বিধবা স্ত্রী। সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে গণমাধ্যমের সামনে বিষয়টি তুলে ধরেন ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌস। তিনি প্রধান উপদেষ্টা, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং আইন উপদেষ্টার কাছে ন্যায়বিচারের আবেদন জানান এবং সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।
জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, তার স্বামী হাসান আহমেদ বাংলাদেশের বীমা খাত ও ব্যবসায়িক জগতে একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ছিলেন। তিনি পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান এবং পিপলস ইন্স্যুরেন্সের সাবেক চেয়ারম্যান ছিলেন। ২০২০ সালে স্ট্রোকের কারণে হাসান আহমেদ অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং পপুলার লাইফ ইন্স্যুরেন্সের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরে দাঁড়ান। তখন থেকেই তার সহকর্মী বিদ্যুৎ ঘোষ এবং তার ভাই কবির আহমেদ তার সম্পত্তি আত্মসাতের ষড়যন্ত্র শুরু করেন।
তিনি আরও জানান যে, ২০২২ সালের ২৪ জানুয়ারি হাসান আহমেদ প্রচণ্ড অসুস্থ হয়ে মারা যান। তার মৃত্যুর পর বিদ্যুৎ ঘোষ, কবির আহমেদ এবং তাদের সহযোগীরা জান্নাতুল ফেরদৌসের নামে একটি মিথ্যা হত্যা মামলা দায়ের করে, যা পরে পল্টন থানার পুলিশ মিথ্যা প্রমাণ করে। তবে বিদ্যুৎ ঘোষ এবং তার সহযোগীরা ডিবির হারুনের মাধ্যমে প্রভাব খাটিয়ে তাদের বিরুদ্ধে চার্জশিট প্রদান করে।
জান্নাতুল ফেরদৌস একাধিকবার প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েও সহায়তা পাননি বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন। তিনি বলেন, গত বছরের ৩ জুলাই বিদ্যুৎ ঘোষের বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় প্রতারণা ও জালিয়াতির মামলা (মামলা নং ২) করি। ওই মামলায় বিদ্যুৎ ঘোষকে আটক করা হয়, তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে সম্পত্তি ফেরতের মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দেন, যা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
ভুক্তভোগী জান্নাতুল ফেরদৌস জানান, তার ছোট ছোট সন্তানরা তাদের পিতার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত। তার পরিবার ষড়যন্ত্র, মিথ্যা মামলা এবং হয়রানিতে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। তিনি বিদ্যুৎ ঘোষ গংদের দ্রুত গ্রেফতারে প্রশাসনের কাছে সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।
আপনার মতামত লিখুন :