ঢাকা সোমবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৪
জলবায়ু পরিবর্তন

সাহারার বুকে সবুজের হাতছানি

মির্জা হাসান মাহমুদ

প্রকাশিত: অক্টোবর ১৭, ২০২৪, ০১:৩৯ পিএম

সাহারার বুকে সবুজের হাতছানি

ছবি সংগৃহীত

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ও উষ্ণ মরুভূমি সাহারা; তীব্র তাপমাত্রা, তপ্ত বালির প্রান্তর এবং বৃষ্টিহীন আকাশের জন্য পরিচিত। হাজারো বছর ধরে এটি শুষ্কতা এবং চরম বৈরী পরিবেশের প্রতীক হয়ে আছে। কিন্তু সম্প্রতি সেখানে এমন কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যা গবেষকদের কৌতূহলী করে তুলেছে। গত ৫০ বছরের মধ্যে সাহারা মরুভূমিতে নজিরবিহীন বৃষ্টি ও বন্যা দেখা গেছে। আবার মরুভূমির কিছু অঞ্চলে সবুজের চিহ্ন ফুটে উঠেছে।

এই পরিবর্তন কি জলবায়ুর সাময়িক খেয়াল, নাকি দীর্ঘমেয়াদে সাহারাকে বদলে দেওয়ার ইঙ্গিত? সাহারা কি আবার সবুজ হয়ে উঠছে? ইতিহাস কি নিজের পুনরাবৃত্তি ঘটাতে যাচ্ছে? এই পরিবর্তনের পেছনে কি জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা আছে? থাকলে কতখানি?

এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খোঁজা যাক
সাহারা পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বালির স্তূপ। বলা হয়ে থাকে এই মরুভূমির বালি দিয়ে পুরো পৃথিবীকে ৮ ইঞ্চি পুরু করে ঢেকে ফেলা যাবে। ৯৪,০০,০০০ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের সাহারা মরুভূমি উত্তর আফ্রিকার  লিবিয়া, মিশর, সুদান, মরক্কো, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, নাইজার, মালি প্রভৃতি দেশ পর্যন্ত বিস্তৃত। মরুভূমি বলতে বোঝায় সাধারণত এমন অঞ্চল; যেখানে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত হয় বছরে ১০০ মিলিমিটার (৪ ইঞ্চির কম)। কিন্তু চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে সাহারা মরুভূমিতে অন্য বছরের তুলনায় পাঁচগুণ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। কিছু জায়গায় বন্যাও হয়েছে। মরুভূমির মতো এলাকায় যেখানে বছরের পর বছর বৃষ্টির দেখা মেলে না, সেখানে এমন বিস্ময়কর বৃষ্টিপাত এবং বন্যার মতো ঘটনা গবেষকদের হতবাক করেছে।

মরক্কোর আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রাজধানীর রাবাত থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরের ত্যাগোইউনাইট গ্রামে গত সেপ্টেম্বর মাসে একদিনে ১০০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়; যা কোনো কোনো মরুভূমি এলাকার সারা বছরের বৃষ্টিপাতের সমান। আবহাওয়া দপ্তরের কর্মকর্তা হুসেইন ইয়াবেব বলেন, ‘গত ৩০ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে এত কম সময়ে এত বেশি বৃষ্টি দেখিনি।’ তখন প্রশ্ন উঠেছিল, কীভাবে এমন চরম শুষ্ক এলাকায় হঠাৎ করে এত বৃষ্টিপাত সম্ভব হলো? এ বিষয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা জানিয়েছে, অতিক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের (গ্রীষ্মমণ্ডলীয় ঘূর্ণিঝড়, যা একটি তীব্র বৃত্তাকার ঝড়; একে হারিকেন বা টাইফুনও বলা হয়ে থাকে) প্রকোপে গত সেপ্টেম্বরের শুরুতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে সাহারা মরুভূমির বিস্তীর্ণ অঞ্চলে।

বিশে^র পরিবেশ ও জলবায়ুবিষয়ক বিজ্ঞানীরা বলছেন, জীবাশ্ম জ্বালানি ব্যবহারের কারণে বিশ্বের উষ্ণতা বেড়ে পরিবেশগত পরিবর্তন আসছে। তার ফল ভোগ করছে সাহারাও। তারা বলেন, পৃথিবী যত বেশি উষ্ণ হবে, দিনের পর দিন সাহারায় তত সবুজায়ন হবে। নেচার কমিউনিকেশনসে প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে, আগামী কয়েক দশকে সাহারার জলবায়ুতে ব্যাপক পরিবর্তন আসতে থাকবে। সাহারায় সবুজের পরিমাণও বাড়বে বলে আশা প্রকাশ করেছেন জলবায়ু গবেষকেরা। বিষয়টিতে আরও যোগ করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. শাহেদুর রশিদ দৈনিক রূপালী বাংলাদেশকে বলেন, ‘বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে বায়ুমণ্ডল ক্রমেই বেশি জলীয় বাষ্প ধারণ করতে পারছে। ফলে মরু অঞ্চলেও অপ্রত্যাশিত বৃষ্টিপাত ঘটছে। এর সঙ্গে উত্তর আফ্রিকার মৌসুমি বায়ুর গতিপথ পরিবর্তনও একটি বড় কারণ হতে পারে। তবে এমন বন্যা শুধু সাহারাতেই নয়; আরব উপদ্বীপের মতো অন্যান্য মরুভূমিতেও সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বর্ষণের নজির পাওয়া গেছে। কিছুদিন আগেই আমরা দুবাইয়ে বন্যা হতে দেখেছি। এটি ইঙ্গিত দেয় যে আবহাওয়ার পরিবর্তনের প্রভাব ক্রমশ চরম হয়ে উঠছে।’  

বন্যা এবং বাড়তি বৃষ্টির পাশাপাশি সাহারার কিছু অঞ্চলে সবুজের অস্তিত্বও ধরা পড়েছে। সম্প্রতি নাসার স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, মরুভূমির প্রান্তে কিছু জায়গায় ঘাস এবং গুল্ম জন্মাচ্ছে। বিশেষত সাহারার দক্ষিণাংশ, যা সাহেল অঞ্চল (উত্তর আফ্রিকার দক্ষিণ-মধ্য অক্ষাংশগুলো ধরে পশ্চিমে আটলান্টিক মহাসাগরের উপকূল থেকে পূর্বে লোহিত সাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। পশ্চিম থেকে পূর্বে সেনেগালের উত্তরভাগ, মর্টিনিয়ার দক্ষিণভাগ, মালির মধ্যভাগ, বুর্কিনা ফাসোর উত্তরভাগ, আলজেরিয়া ও নাইজারের দক্ষিণ প্রান্তসীমা, নাইজেরিয়া, ক্যামেরুন ও মধ্য আফ্রিকা প্রজাতন্ত্রের উত্তর প্রান্তসীমা, চাদের মধ্যভাগ, সুদানের মধ্য ও দক্ষিণভাগ, দক্ষিণ সুদানের উত্তর প্রান্তসীমা এবং ইরিত্রিয়া ও ইথিওপিয়ার উত্তর প্রান্তসীমা) নামে পরিচিত; সেখানে বৃষ্টির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় গাছপালা ও কৃষিকাজের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।

খুব অল্প সময়ে প্রকৃতির এই পরিবর্তনের কারণ হিসেবে গবেষকেরা জানান, মরু অঞ্চলে সামান্য বৃষ্টিও বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে। এবং শুষ্ক এলাকায় একবার পানি আসতে শুরু করলে গাছপালা দ্রুত জন্মায়। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটসের সমুদ্রবিজ্ঞান ও প্রকৌশলবিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান উডস হোল ওশানোগ্রাফিক ইনস্টিটিউশনের প্রেসিডেন্ট পিটার বি. দ্য মেনোক্যাল জানিয়েছেন, ‘ভারী বৃষ্টি হলে বালির আস্তরণ সরে গিয়ে মাটি বেরিয়ে যায়। সেই সুযোগেই অনুকূল পরিবেশ পেয়ে সবুজ গাছপালা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে।’

তবে সাহারার এই আচরণকে অনেকে মনে করছেন এটি হয়তো ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি। অনেকেরই অজানা; এখন যেমন দেখা যায়, সাহারা সবসময় এমন মরুভূমি ছিল না। বিজ্ঞানীদের দাবি, পুরো আফ্রিকা মহাদেশ পৃথিবীর একটি টেকটোনিক প্লেটের ওপর অবস্থিত। অতীতে আফ্রিকা ও ইউরোপের মধ্যে ছিল টেথিস সাগর। ধারণা করা হয়, প্রায় চার কোটি বছর আগে টেকটোনিক প্লেটের গতিশীলতার ফলে তা উত্তরের দিকে সরে এসে আফ্রিকা ও ইউরোপকে একসঙ্গে মিলিয়ে দিয়েছে। ফলে আফ্রিকার উত্তর অংশ সংকীর্ণ হয়ে সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে অনেক ওপরে উঠে যায়। এরপর ধীরে ধীরে জল বিচ্ছিন্ন হয়ে এই এলাকা মরুভূমিতে পরিণত হয়। বিজ্ঞানীদের গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, প্রায় ৬০০০ থেকে ১০০০০ বছর আগেও সাহারা একটি সবুজ ও উর্বর অঞ্চল ছিল, যা ‘গ্রিন সাহারা’ নামে পরিচিত।

প্রশ্ন তবে, সেই সবুজ সাহারা আজকের এই অবস্থায় এলো কীভাবে? নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত নিবন্ধ অনুযায়ী পৃথিবী সূর্যকে প্রদক্ষিণের সময় ২৩.৪ ডিগ্রি হেলে থাকে। কিন্তু এই হেলে থাকার দিকটি প্রতি ২১,০০০ হাজার বছর পর পর পাল্টে যায়। যার ধারাবাহিকতায় পুরো উত্তর আফ্রিকার ঋতুচক্রে বিশাল পরিবর্তন হয়। পৃথিবীর কক্ষপথ ও অক্ষের অবস্থান পরিবর্তনের কারণে বর্ষার ধারা পরিবর্তিত হয় এবং ধীরে ধীরে সাহারা শুকিয়ে মরুভূমিতে রূপান্তরিত হয়। তবে অতীতে যে সাহারা সবুজ ছিল এবং সেখানে মানববসতি ছিল, তা আজ প্রমাণিত। ২০১০ সালে ভূ-বিজ্ঞানীরা সাহারার বালির নিচে আবিষ্কার করেন বিশাল প্রাগৈতিহাসিক হ্রদ, যার আয়তন ছিল প্রায় ৪৫,০০০ বর্গকিলোমিটার। তাদের মতে শুধু এই হ্রদই নয়, আরও তিনটি বড় নদী মিলে সাহারাজুড়ে তৈরি করেছিল এক বিস্তৃত গ্রিন করিডোর। এক সময় এই অঞ্চলজুড়ে ছিল ওক, সিডার, অ্যাশ, ওয়ালনাট এবং লেবু গাছের ঘন জঙ্গল। এই জঙ্গল ছিল প্রাণীজগতের জন্য অভয়ারণ্য; সেখানে বিচরণ করত নানা প্রজাতির পশু-পাখি।

লিবিয়ার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চল এলাকায় গেলে এখনো দেখা মেলে কয়েক হাজার বছর বয়সী সাইপ্রেস আর অলিভ গাছের। সাহারার সবুজ ভূমির একটা বড় অংশজুড়ে ছিল সাভানা তৃণভূমি, যেখানে কুমিরের আধিক্য ছিল আশ্চর্যজনক। বালির নিচে পাওয়া কুমিরের কঙ্কালগুলো ইঙ্গিত দেয় যে, তখনকার নদী ও হ্রদগুলোতে প্রচুর কুমির ছিল। এসব জলাধারের আশপাশেই গড়ে উঠেছিল প্রাচীন মানববসতি। এ প্রসঙ্গে পিটার বি. দ্য মেনোক্যাল তার গবেষণাপত্রে উল্লেখ করেছেন, এ সময় সাহারাতে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়েছিল; সে কারণে প্রচুর গাছপালা জন্মেছে, স্থায়ী হ্রদের সৃষ্টি হয়েছে এবং মানুষের বসতিও ছিল।

জার্মান অভিযাত্রী হেনরিখ বার্থ সাহারায় এক হাজারেরও বেশি গুহাচিত্র আবিষ্কার করেন। এসব চিত্রে উঠে এসেছে প্রাচীন মানুষের জীবনযাত্রার নানা খণ্ডচিত্র। কিছু চিত্রে দেখা যায়, পুরুষেরা তীর-ধনুক হাতে শিকার করছে, নারীরা চুল আঁচড়াচ্ছে, আবার কোথাও সবাই মিলে বৃত্তাকারে নাচছে। কিছু ছবি থেকে বোঝা যায়, সাহারার মানুষরা গরু, ছাগল, ভেড়া, শুয়োর এবং কুকুর পালন করত। গুহাচিত্রে ফুটে উঠেছে হাতি, গণ্ডার, সিংহ, জিরাফ, জলহস্তী, উটপাখি, বুনো মোষ এবং অ্যান্টিলোপের মতো প্রাণীদের উপস্থিতি। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, ১০,০০০ বছর আগের এই চিত্রগুলোতে কোথাও উটের অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, উট সাহারায় এসেছে মাত্র দুই হাজার বছর আগে, যখন সবুজ সাহারা রূপান্তরিত হয়েছে শুকনো মরুভূমিতে। প্রত্নতত্ত্ববিদরা এখনো কাজ করে যাচ্ছেন মরুভূমি সাহারার উত্তপ্ত বালির নিচে লুকিয়ে থাকা বিস্ময়কর অতীতের রহস্য উদ্ঘাটন করতে; যেখানে মানুষ আর প্রকৃতি মিলেমিশে গড়ে তুলেছিল এক সুপ্রাচীন সভ্যতা।

বিষয়টি দ্বিরুক্তি হলেও প্রশ্ন উঠছে বারবার। বর্তমানের বন্যা এবং সবুজায়নের এই পরিবর্তন কি সেই প্রাচীন সাহারার ফিরে আসার ইঙ্গিত দিচ্ছে, নাকি এটি সাময়িক একটি ঘটনা?

বিজ্ঞানীরা বলছেন, বর্তমান জলবায়ু পরিবর্তন অনেকাংশে মানুষের কার্যকলাপের ফল। তাই এই পরিবর্তনের গতি ও স্থায়িত্ব প্রাকৃতিক পরিবর্তনের মতো না-ও হতে পারে। তারা মনে করেন, জলবায়ু পরিবর্তন বৈশ্বিকভাবে কেবল বরফ গলাচ্ছে না, বরং বিভিন্ন অঞ্চলের আবহাওয়ার ধরনকেও প্রভাবিত করছে। সাহারায় বৃষ্টির হার বৃদ্ধি এবং বন্যার ঘটনা জলবায়ু পরিবর্তনেরই প্রতিফলন হতে পারে। তাই এই পরিবর্তনকে ইতিবাচকভাবে নেওয়ার পাশাপাশি সম্ভাব্য ঝুঁকিও বিবেচনা করতে হবে। যেমন, নতুন গাছপালা জন্মানোর ফলে জীববৈচিত্র্যের পরিবর্তন ঘটতে পারে, যা স্থানীয় বাস্তুতন্ত্রের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। যার কারণে মরুভূমি অঞ্চলে যেসব প্রাণী অভিযোজিত হয়েছে, তারা বিপদে পড়তে পারে। মরু অঞ্চলের কিছু প্রাণী এবং উদ্ভিদ হয়তো বিলুপ্তির মুখে পড়বে।

তারা আরও বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তন যদি এই সবুজায়নকে দীর্ঘস্থায়ী করে, তাহলে সাহারা হয়তো নতুন এক পরিবেশিক অঞ্চলের জন্ম দেবে, যা মানুষের জন্যও সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। মানুষ যদি এই পরিবর্তনের সুযোগ নিয়ে টেকসই চাষাবাদ ও জলাধার গড়ে তুলতে পারে, তাহলে তা আফ্রিকার জন্য আশীর্বাদ হতে পারে। তবে একে সামলাতে না পারলে নতুন পরিবেশগত সমস্যার মুখোমুখি হতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তন বিশ্বের প্রতিটি অঞ্চলে, এমনকি সাহারার মতো শুষ্ক মরুভূমিতেও নতুন বাস্তবতা তৈরি করছে। মানুষ কি এই পরিবর্তন থেকে উপকৃত হতে পারবে, নাকি এটি আরও বড় সংকটের সূচনা? সময়ই এর উত্তর দেবে। তবে সাহারা কি সত্যিই সবুজ হয়ে উঠবে, নাকি এটি শুধুই সাময়িক পরিবর্তন; এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আরও গবেষণা প্রয়োজন বলে মনে করছেন জলবায়ু গবেষকরা।

আরবি/এস

Link copied!