পঞ্চগড়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কাটলেও শীতের তীব্রতা অব্যাহত রয়েছে। ঘন কুয়াশা এবং হিমেল বাতাসে শীতের দুর্ভোগ বাড়ছে। কুয়াশার কারণে সাধারণ জীবনযাত্রায় স্থবিরতা নেমে এসেছে এবং নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য পরিস্থিতি আরো কঠিন হয়ে উঠেছে।
শীত থেকে বাঁচতে দরিদ্র মানুষ বাড়ির উঠোনে খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শীতজনিত নানা রোগ- জ্বর, সর্দি, কাশি ইত্যাদি ছড়িয়ে পড়েছে এবং প্রত্যেক ঘরেই কেউ না কেউ এসব রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালগুলোতে ছুটছেন।
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত শুক্রবারের তুলনায় কিছুটা কম (১২.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। যদিও শৈত্যপ্রবাহ কাটলেও ঘন কুয়াশা, বরফ শিশির এবং হিমেল বাতাস শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিয়েছে।
জানা গেছে, জেলা জুড়ে সকাল থেকে ঘন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়ে। বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির। শহর ও গ্রামে যানবাহনগুলো হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তীব্র শীতের কারণে ভ্যানচালক, পাথর শ্রমিক, চা শ্রমিক, দিনমজুরসহ নিম্ন আয়ের মানুষদের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেছে। তারা জানিয়েছেন, শীতের কারণে পরিবারের অনেকেই জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্টসহ অন্যান্য শীতজনিত রোগে আক্রান্ত। পাশাপাশি আয় রোজগার কমে যাওয়ার কারণে চিকিৎসা ব্যয় সামলাতে সমস্যায় পড়েছেন।
এছাড়া গৃহপালিত পশুরাও শীতে কষ্ট পাচ্ছে, তাদের সুরক্ষায় পুরোনো কাপড় কিংবা চটের ব্যাগ পরানো হচ্ছে। প্রয়োজনের বাইরে কেউ বের না হলেও জীবিকার তাগিদে ছোট যানবাহনগুলো শীতে ঝুঁকি নিয়ে কাজে যেতে দেখা গেছে।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ জানিয়েছেন, গত দুই দিন ধরে তাপমাত্রা ১২ ডিগ্রির ঘরে অবস্থান করছে এবং শনিবার (১৮ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা গত শুক্রবারের থেকে সামান্য কম।
আপনার মতামত লিখুন :