ঢাকা শনিবার, ২৬ অক্টোবর, ২০২৪

রাজধানীতে ‘ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাব, ভরদুপুরেই সন্ধ্যার অনুভূতি

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: অক্টোবর ২৪, ২০২৪, ০৪:৪১ পিএম

রাজধানীতে ‘ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাব, ভরদুপুরেই সন্ধ্যার অনুভূতি

ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় দানা’র প্রভাব পড়েছে রাজধানীসহ সারা দেশে। বৃহস্পতিবার এই দানা’র প্রভাবে সকাল থেকে অনবরত ঝড়তে থাকা বৃষ্টি দুপুরের পর আরও বেড়েছে। একই সঙ্গে আকাশে ঘনমেঘ জমে থাকার কারণে ভরদুপুরেই সন্ধ্যার অনুভূতি দেখা গেছে। ফলে সড়কে বাস, অটোরিকশা, বাইক, লেগুনা চলাচল করছে লাইট জ্বালিয়ে।

বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরের পর রাজধানীর নিউমার্কেট, নীলক্ষেত, বকশি বাজার, বনানী, মহাখালী ও চাঁনখারপুল এলাকায় এমন চিত্র চোখে পড়েছে।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, আকাশ ঘনকালো এবং বৃষ্টিপাত কারণে দিনের আলোর পরিবর্তে সন্ধ্যার মতো অবস্থা সৃষ্টি করেছে। তাছাড়া প্রচণ্ড বৃষ্টির কারণে সড়কে মানুষের উপস্থিতি অনেকটাই কম। অন্যান্য দিনের মতো আজ ফুটপাতে এবং মূল সরকার আশপাশের ছোটখাট দোকানগুলো খুলেনি। অধিকাংশ জটলা পূর্ণ স্থানই ফাঁকা। বেশিরভাগ বাস, লেগুনা মোটরসাইকেল এমনকি অটোরিকশাও হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলাচল করছে।

অবশ্য এমন অবস্থায় বেশ বিপাকে পড়েছেন রিকশা-ভ্যান চালক ও নিম্ন আয়ের মানুষেরা। জীবিকার টানে বৃষ্টিতে ভিজেই অনেককে কাজ করতে দেখা গেছে। তাছাড়া বৃষ্টির কারণে অন্যান্য দিনের তুলনায় সড়কে যাত্রীর পরিমাণ কম বলেও মন্তব্য করেছেন অনেকে।

বনানীর কাকলী মোড়ে যাত্রীর জন্য দাঁড়িয়ে থাকা রিকশাচালক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এই বৃষ্টিতে অনেক ঠান্ডা লাগছে। শীতের দিনের মতো ঠান্ডা পানি। আর বৃষ্টির কারণে সকাল থেকে যাত্রী নাই বললেই চলে। মাত্র জমা খরচটা উঠেছে। এখনও খাবারসহ অন্যান্য খরচের টাকা আসেনি।

রাসেল হোসেন নামের আরেক চালক বলেন, সকাল থেকে বৃষ্টির পরিমাণ কম ছিল। কিন্তু দুপুরের পর অনেক বেড়েছে। এই বৃষ্টিতে ভিজলে ঠান্ডা লেগে যাবে। আর এক ঘণ্টার মত দেখব। তারপরে গ্যারেজে চলে যাব। আর মানুষ তো এখন বাংলা রিকশায় উঠতেই চায় না। সবাই শুধু ইঞ্জিন ওয়ালা রিকশা খুঁজে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাস বলছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় দানার প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চলে আজ সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এসব এলাকায় স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বেড়েছে। বর্তমানে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ পায়রা সমুদ্র বন্দর থেকে ৪৭৫ কিমি দূরে, মংলা থেকে ৪৮৫ কিমি, কক্সবাজার থেকে ৪৫৫ ও চট্টগ্রাম থেকে ৫৯৫ কিমি দূরে অবস্থান করছে। দেশের চারটি সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

আরবি/এফআই

Link copied!