নতুন বছরের শুরুতে রাজধানীতে যে পরিমাণে শীত পড়েছিল তার তুলনায় কিছুটা কমেছে। গতকাল শনিবার থেকে দেখা মিলেছে সূর্যেরও। আর এতে করে জনজীবনে কিছুটা ফিরেছে স্বস্তি। তবে রাজধানীতে শীতের তীব্রতা কমলেও দেশের উত্তরাঞ্চলে এখনও কমেনি ঠাণ্ডার দাপট। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই উত্তরের জেলাগুলোতে তাপমাত্রার পারদ ৮ থেকে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে।
ঢাকা ও আশপাশের এলাকার পূর্ভাবাসে রোববার (৫ জানুয়ারি) আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, আকাশ আজ অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা থাকবে বলেও জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা।
ঢাকার তাপমাত্রা রোববার সকাল ৬টায় রেকর্ড করা হয়েছে ১৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে ঘন কুয়াশা আর দূষণের কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে বেশি। সেই সঙ্গে অনেক এলাকায় আটকে যাচ্ছে দৃষ্টিসীমা। যার কারণে দিনেও যানবাহন চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, শীতের তীব্রতা বাড়বে জানুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে। এসময় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইবে দেশের উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে। এছাড়া চলতি সপ্তাহেই বৃষ্টিপাতের পর তাপমাত্রা কমতে থাকবে বলেও পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।
উত্তরের তেঁতুলিয়ায় গতকাল শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৯ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। এছাড়া ঠাকুরগাঁওয়ে ১০ দশমিক আট ডিগ্রি সেলসিয়াস, লালমনিরহাট ও নীলফামারীর ডিমলা এবং সৈয়দপুরে ১২ দশমিক শূন্য, দিনাজপুরে ১২ দশমিক এক, রংপুরে ১২ দশমিক পাঁচ, গাইবান্ধায় ১২ দশমিক সাত এবং কুড়িগ্রামের রাজারহাটে ১৩ দশমিক শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
এদিকে হাড় কাঁপানো ঠাণ্ডায় বিপাকে পড়েছেন শ্রমিক, দিনমজুর আর নিম্ন আয়ের মানুষরা। গ্রামাঞ্চলে বাড়ছে নিউমোনিয়া, সর্দি, জ্বর, কাশিসহ ঠান্ডাজনিত নানান রোগ।
আপনার মতামত লিখুন :