শনিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৫

ফেসবুক


ইউটিউব


টিকটক

Rupali Bangladesh

ইনস্টাগ্রাম

Rupali Bangladesh

এক্স

Rupali Bangladesh


লিংকডইন

Rupali Bangladesh

পিন্টারেস্ট

Rupali Bangladesh

গুগল নিউজ

Rupali Bangladesh


হোয়াটস অ্যাপ

Rupali Bangladesh

টেলিগ্রাম

Rupali Bangladesh

মেসেঞ্জার গ্রুপ

Rupali Bangladesh


মীর আব্দুল আলীম

প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম

চীন-থাইল্যান্ড সফরে সাফল্যের সমীকরণ

মীর আব্দুল আলীম

প্রকাশিত: এপ্রিল ৯, ২০২৫, ০৪:৪৩ পিএম

চীন-থাইল্যান্ড সফরে সাফল্যের সমীকরণ

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

চুপিসারে শুরু হলেও, শেষটা নিঃসন্দেহে এক কূটনৈতিক জয়গাথা। একেবারে দারুণ! প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন-থাইল্যান্ড সফর যেন আঞ্চলিক রাজনীতির মোড় ঘোরানো এক অধ্যায়। এ দুটি সফরের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল পরিকল্পিত, প্রাসঙ্গিক এবং প্রত্যাশা-জাগানিয়া। 

এই সফর শুধুই আনুষ্ঠানিক নয়, এটা আঞ্চলিক নেতৃত্বের লাল কার্পেট। বাংলাদেশের জন্য দরজা খুলেছে কূটনীতি, বাণিজ্য ও আস্থা-বিনিময়ের। যা পর্যটন, শিক্ষা, ব্যবসায়িক যোগাযোগে যা নতুন এক দুয়ার খুলে দিতে পারে। সুশাসন, কূটনীতি, অর্থনৈতিক সংহতি-সবদিক থেকে ইউনূসের সফর যেন এক সুবাতাস। বাংলাদেশ এখন শুধু পথে নয়, গন্তব্যের কাছাকাছি। এভাবেই এগিয়ে যাবে বাংলাদেশ।

বেজিংয়ের প্রখর আলোয় প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াংয়ের সঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দীর্ঘ বৈঠক। এটাই সফরের প্রথম ‘ব্রেকিং পয়েন্ট’। দ্বিপক্ষীয় বন্ধুত্বের কথা তো হলোই, আলোচনায় উঠে এলো সবচেয়ে স্পর্শকাতর ইস্যুটি- রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন। বহুদিনের চাপা ক্ষোভ, উদ্বেগ আর অবিশ্বাসের দেওয়াল ভেঙে দিয়ে চীন জানাল বাংলাদেশের পাশে থাকার কথা। 

এই সমর্থন কেবল কূটনৈতিক নয়, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিকভাবেও তাৎপর্যপূর্ণ। চীনের রাষ্ট্রনায়কদের সোজাসাপটা বার্তা- বাংলাদেশ বড় রকমের সংস্কারের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমন এক সময় এই সমর্থন এসেছে, যখন দরকার ছিল সবচেয়ে বেশি। রাষ্ট্র, ব্যবসা, জনসমর্থন-তিনটিতেই চীন বাংলাদেশকে আশ্বাস দিয়েছে সহযোগিতার। ইউনূসের ভাষায়, ‘এটা শুধু দরকারি নয়, আনন্দেরও।’

এখানেই থেমে যাননি ইউনূস। থাইল্যান্ডে একান্ত বৈঠক ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে। কেউ বলছেন, ‘ড. ইউনূস-মোদি বৈঠকেই লুকিয়ে রয়েছে আগামী দিনের আঞ্চলিক সমঝোতার সূত্র।’ 

একে অনেকে দেখছেন দক্ষিণ এশিয়ার পররাষ্ট্রনীতির নতুন জোট গঠনের সম্ভাবনা হিসেবে। আর থাইল্যান্ড সফরে জোরালো বার্তা দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুর্নীতি দমন নিয়ে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ড চুক্তি নিঃসন্দেহে সাহসী পদক্ষেপ। আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং সুশাসনের ক্ষেত্রে এর তাৎপর্য সময়ই বলবে। 

সবচেয়ে বড় অর্জন নিঃসন্দেহে বিমসটেকের চেয়ারম্যানশিপ। আগামী দুই বছরের জন্য বঙ্গোপসাগরীয় সহযোগিতা জোট বিমসটেকের নেতৃত্ব এখন বাংলাদেশের হাতে। এটা মোটেও ছোট অর্জন নয়। চীন-থাইল্যান্ড সফরে ড. ইউনূসের অর্জন যেন এক আঞ্চলিক কূটনীতির ছক! যা একটু আলোকপাত করা যাক।

চীনের প্রত্যক্ষ সমর্থন কূটনীতিতে বড় জয়
প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস চীন সফরের সবচেয়ে বড় অর্জন হিসেবে উঠে এসেছে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন ইস্যুতে চীনের সরাসরি সমর্থন। এতদিন আন্তর্জাতিক ফোরামে নানা তৎপরতা চললেও প্রতিবেশী রাষ্ট্র মিয়ানমারের ওপর চীনের প্রভাবই ছিল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। 

ফল মিলেছে দ্রুত চীনের উচ্চপর্যায়ের নেতারা সরাসরি বললেন, ‘বাংলাদেশ একা নয়।’ বহুল আলোচিত ও বছরের পর বছর ঝুলে থাকা এই ইস্যুতে অবশেষে চীন তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছে- বাংলাদেশের পাশে তারা আছে। ইউনূসের কূটনৈতিক দক্ষতা এবং প্রজ্ঞা এ ক্ষেত্রে প্রশংসনীয়। 

চীন সরকার, ব্যবসায়ী মহল এবং সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে যে সমর্থন মিলেছে, তা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। অর্থনৈতিক সংস্কার ও উন্নয়নের যে রূপরেখা বাংলাদেশ নিয়েছে, সেখানে চীনের এই সমর্থন অর্থনৈতিক কূটনীতির দিক থেকে এক বড় শক্তি। 

এই সমর্থন ভবিষ্যতে মিয়ানমারকে চাপ প্রয়োগ, দ্বিপক্ষীয় আলোচনায় গতি আনা এবং আন্তর্জাতিক মহলে বাংলাদেশের অবস্থানকে শক্তিশালী করতে কার্যকর হবে।

সংস্কার কার্যক্রমে চীনের প্রশংসা আস্থা ও বিনিয়োগের সম্ভাবনা
চীন সফরে চীনা নেতাদের মুখে বারবার উঠে এসেছে বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের অর্থনৈতিক ও প্রশাসনিক সংস্কার প্রক্রিয়া। একে আমরা ‘দৃষ্টান্তমূলক ও সময়োপযোগী’ বলে অভিহিত করতে পারি। 

বাংলাদেশের আমলাতান্ত্রিক জটিলতা হ্রাস, বিনিয়োগবান্ধব নীতিমালা এবং ডিজিটাল প্রশাসন চালুর যে চেষ্টা চলছে, তাতে চীন সরাসরি আগ্রহ দেখিয়েছে। 

বাংলাদেশের সরকার যে গতিশীল, উদ্ভাবনী এবং দূরদর্শী নীতি গ্রহণ করছে-বিশেষত প্রশাসনিক সহজীকরণ, নীতিনির্ধারণে স্বচ্ছতা এবং টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে-তা চীনা নেতাদের দৃষ্টিতে অত্যন্ত প্রশংসনীয়। 

এই আস্থা চীনা রাষ্ট্রীয় এবং বেসরকারি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশমুখী করতে পারে, যা শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। 

বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরি এবং নীতিমালার ধারাবাহিকতা বজায় রাখার লক্ষ্যে বাংলাদেশ যে সাহসী পদক্ষেপ নিচ্ছে, তার ফল হিসেবে চীন সরকারের পাশাপাশি চীনের বেসরকারি বিনিয়োগকারীরাও আগ্রহ প্রকাশ করছে।

চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো ইতোমধ্যেই অবকাঠামো, জ্বালানি, তথ্যপ্রযুক্তি ও উৎপাদনশীল শিল্প খাতে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করতে চায় বলে ইঙ্গিত দিয়েছে। 

বাংলাদেশে চীনের প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বাড়লে তা শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয়, বরং ব্যাপক শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের সামাজিক কাঠামোতেও ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে। 

একইসঙ্গে এটি বাংলাদেশকে দক্ষিণ এশিয়ার একটি আঞ্চলিক শিল্পকেন্দ্রে পরিণত করার স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এক বড় অগ্রগতি বলে বিবেচিত হতে পারে।

চীন ও থাইল্যান্ডের ভিসাপ্রক্রিয়ায় বাণিজ্য ও পর্যটনের নতুন দিগন্ত
ড. ইউনূস সফরের একটি উল্লেখযোগ্য দিক ছিল চীন ও থাইল্যান্ডের সঙ্গে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার আলোচনা। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে ব্যবসায়িক প্রতিনিধিদল, শিক্ষার্থী ও চিকিৎসা পর্যটকেরা আরও সহজে যাতায়াত করতে পারবেন।

 ভবিষ্যতে এই নীতির বাস্তবায়ন হলে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাজারে বাংলাদেশের উপস্থিতি আরও দৃঢ় হবে এবং (People-to-People contact)-এ গতি আসবে।

ইউনূস-মোদি বৈঠকে আঞ্চলিক সমঝোতার সম্ভাবনা
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ড. ইউনূসের একান্ত বৈঠক দক্ষিণ এশিয়ার জন্য একটি কূটনৈতিক বার্তা। দুই দেশের মধ্যে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং নিরাপত্তা ইস্যুতে অনেকদিন ধরে কিছুটা দূরত্ব দেখা যাচ্ছিল। এই বৈঠকে সেই বরফ গলাতে পারে। 

বিশেষজ্ঞদের মতে, এই সংলাপ দক্ষিণ এশিয়ায় একটি নতুন আঞ্চলিক সমঝোতার সূত্রপাত ঘটাতে পারে, যা BIMSTEC এবং SAARC উভয়ের ক্ষেত্রেই গঠনমূলক হতে পারে। 

থাইল্যান্ডে মোদি-ইউনূস বৈঠকও ছিল আঞ্চলিক সমঝোতার আশাবাদ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ড. ইউনূসের বৈঠক ইতোমধ্যে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। 

দু’দেশের সম্পর্ককে আরও মজবুত করার লক্ষ্যে এই বৈঠক এক সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছে। এই মুহূর্তে ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্কে যে সৌহার্দ্যপূর্ণ আবহ বিরাজ করছে, ইউনূসের এই কূটনৈতিক সংলাপ তাতে নতুন মাত্রা যুক্ত করবে বলেই বিশ্লেষকদের অভিমত।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে যৌথ অবস্থান 
থাইল্যান্ডের সঙ্গে দুর্নীতিবিরোধী চুক্তি নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের জন্য এক সাহসী ও সময়োপযোগী পদক্ষেপ। এই চুক্তির মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে যে পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে উঠবে, তা ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর পরিসরে দুর্নীতিবিরোধী কর্মকাণ্ডে সহায়ক হবে। 

সরকারিভাবে এ ধরনের চুক্তি করার মানে হলো-বাংলাদেশ দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে এবং তা বাস্তবায়নে আন্তরিক। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার যে প্রতিশ্রুতি বহুদিন ধরে দেওয়া হয়ে আসছে, এই চুক্তি তার বাস্তব প্রয়োগের একটি গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। 

এতে সরকারি ও বেসরকারি খাতের লেনদেনে জবাবদিহি বাড়বে, প্রশাসনের ওপর জনগণের আস্থা বৃদ্ধি পাবে এবং জনসেবায় নৈতিকতা ও পেশাদারিত্বের মান উন্নত হবে। এই চুক্তির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে-পাচার হওয়া অর্থ, সম্পদ এবং বিনিয়োগকে আইনি পথে শনাক্ত ও পুনরুদ্ধার করা। 

আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে অর্থ পাচারকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে। ইতিপূর্বে বাংলাদেশ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ বিদেশে পাচার হয়েছে বলে বিভিন্ন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে। এই চুক্তির মাধ্যমে থাইল্যান্ড সরকারের সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর সহায়তা পাওয়া যাবে, যা পাচারকৃত অর্থ শনাক্ত ও দেশে ফিরিয়ে আনতে কার্যকর ভূমিকা রাখবে। 

শুধু তাই নয়, চুক্তির আওতায় তথ্য আদান-প্রদান, যৌথ অনুসন্ধান ও তদন্ত, এবং সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হবে। 

এ চুক্তি কেবল আইনি বা প্রশাসনিক দিক থেকেই নয়, কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক দিক থেকেও বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক বার্তা বহন করে। এক কথায়, এটি দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার পথে একটি সাহসী, বলিষ্ঠ ও বাস্তবমুখী অগ্রগতি।

BIMSTEC-এর আঞ্চলিক নেতৃত্বে বাংলাদেশ
সবচেয়ে গৌরবজনক অর্জন- ড. মুহাম্মদ ইউনূস এখন বিমসটেকের (Bay of Bengal Initiative for Multi-Sectoral Technical and Economic Cooperation) চেয়ারম্যান। এই অর্জন শুধু একটি সম্মানজনক অবস্থান নয়, বরং এটি বাংলাদেশের জন্য এক বিশাল কূটনৈতিক বিজয় ও আঞ্চলিক নেতৃত্বের প্রতীক। 

নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের মতো একজন আন্তর্জাতিকভাবে সম্মানিত ব্যক্তিত্বের এ পদে অধিষ্ঠিত হওয়া শুধু তার ব্যক্তিগত অর্জন নয়, বরং বাংলাদেশের জন্যও এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত। এটি প্রমাণ করে যে, বিশ্ব এখন বাংলাদেশের নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রাখছে। 

বিমসটেকের চেয়ারম্যান পদে তার দায়িত্ব গ্রহণের মাধ্যমে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে যোগাযোগ, বাণিজ্য, জ্বালানি, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও নিরাপত্তা সহযোগিতায় আরও বলিষ্ঠ ও কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে। 

বিমসটেক  একটি গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক জোট, যার মাধ্যমে সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে টেকসই উন্নয়ন, শান্তি ও পারস্পরিক কল্যাণ নিশ্চিত করা সম্ভব। ড. ইউনূসের দূরদর্শী নেতৃত্বে এই সংস্থাটি নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে।

এই নেতৃত্ব শুধু বাংলাদেশের মর্যাদা বৃদ্ধি করবে না, বরং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকা নিশ্চিত করবে। একই সঙ্গে এটি বৈশ্বিক মঞ্চে বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থানকে আরও শক্তিশালী ও প্রভাবশালী করে তুলবে। 

এ অর্জনের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ যেমন নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে, তেমনি ড. ইউনূসের অভিজ্ঞতা, জ্ঞান ও আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতা এই দায়িত্ব পালনে একটি নতুন দিগন্ত সৃষ্টি করবে বলে আশা করা যায়।

ড. ইউনূসের সফর শুধু আনুষ্ঠানিক ভ্রমণ নয়-এটা ছিল একটি কৌশলগত ধাপ। সফর কূটনৈতিক সফলতা, বিনিয়োগের বার্তা, আঞ্চলিক নেতৃত্বের স্বীকৃতি। বাংলাদেশ এখন আর শুধু অনুসারী নয়, নেতৃত্ব দিতে প্রস্তুত। এই সফর সেই বার্তাই দিয়েছে বিশ্বকে। 

রাজনীতি, অর্থনীতি, শান্তি ও সহযোগিতা-সবখানেই বাংলাদেশের পদচিহ্ন এখন দৃঢ় ও প্রভাবশালী। বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চীন ও থাইল্যান্ড সফর যেন দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এক নতুন গেমপ্ল্যানের ইঙ্গিত। 

সব ছাপিয়ে বড় ঘোষণা- বিমসটেকের চেয়ারম্যান এখন বাংলাদেশ! দুই বছরের জন্য বঙ্গোপসাগরীয় অঞ্চল নেতৃত্বে ড. ইউনূস। 

ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের আশ্বাস, চীনের বিনিয়োগে আগ্রহ, আঞ্চলিক নিরাপত্তা জোরদার- এই সফরের প্রতিটি মুহূর্ত ছিল পরিপক্ব, পরিকল্পিত, এবং কৌশলী। 

সার্বিকভাবেই বলা যায় বাংলাদেশ আর শুধু ফলোয়ার নয়, এখন গেম-চেঞ্জার। দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্বের টেবিলে বাংলাদেশ বসে গেছে। 
লেখক: সাংবাদিক, সমাজ গবেষক, মহাসচিব: কলামিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ। 
 

রূপালী বাংলাদেশ

Link copied!