ঢাকা মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বজনীন স্বাস্থ্য নিশ্চিতে প্রয়োজন স্বাস্থ্যবীমা

রূপালী ডেস্ক

প্রকাশিত: নভেম্বর ২১, ২০২৪, ০৯:৪৬ এএম

সর্বজনীন স্বাস্থ্য নিশ্চিতে প্রয়োজন স্বাস্থ্যবীমা

ছবি: রুপালী বাংলাদেশ

সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে সরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৬৫৪টি এবং এসব হাসপাতালে মোট শয্যার সংখ্যা ৫১,৩১৬টি। আর বেসরকারি হাসপাতাল রয়েছে ৫,০৫৫টি, যেখানে মোট শয্যাসংখ্যা ৯০,৫৮৭টি। বাংলাদেশে স্বাস্থ্য খাতে কিছু অর্জন আছে যা চোখে পড়ার মতো। এর মধ্যে রয়েছে মাতৃ ও শিশুমৃত্যু কমানো। বাংলাদেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বরাবরই ইস্যু-ভিত্তিক ছিল। সার্বিক কোনো পরিকল্পনা করা হয়নি। বাংলাদেশে কোভিড-১৯ ভাইরাসের সংক্রমণের পর দেখা গেছে, অনেক ব্যবসায়ী, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা কিংবা রাজনীতিকদের অনেকেই সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। স্বাভাবিক সময়ে অনেকে বাংলাদেশে চিকিৎসা করানোর বিষয়টি চিন্তাও করতেন না। কিন্তু দুর্যোগের ওই সময়ে সরকারি হাসপাতাল হয়ে উঠেছিল একমাত্র ভরসা। ডেঙ্গু চিকিৎসার ক্ষেত্রেও অনেকটা তাই দেখা যাচ্ছে।

সারাদেশে ১৪৫০০টি কমিউনিটি ক্লিনিক ও সরকারি বিভিন্ন স্তরের হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা এবং জাতীয় টিকাদান কার্যক্রমের মাধ্যমে বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার মাধ্যমে দেশ ইতোমধ্যেই সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রমে বা ইউনিভার্সেল হেলথ কভারেজ বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। এ ছাড়া কিছু এলাকায় পাইলট আকারে হেলথ স্কিমের মাধ্যমেও ইউনিভার্সেল হেলথ কাভারেজ কার্যক্রম সরাসরি চলছে। পর্যায়ক্রমে তা সারাদেশে চালুর পরিকল্পনাও রয়েছে। যদিও দেশে এখনো সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কার্যক্রমে চ্যালেঞ্জ রয়ে গেছে। এখনো দলিত, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ বিশেষ করে দিনমজুর, হিজড়া সম্প্রদায়, নরসুন্দর, যৌনকর্মী, জেলে, মুচি, মেথর, আদিবাসী সম্প্রদায়সহ অনেককে তাদের সাংবিধানিক অধিকার থাকা সত্ত্বেও স্বাস্থ্যসেবা নিতে অনেক বিড়ম্বনার সম্মুখীন হতে হয় আমাদের মন-মানসিকতার কারণে। এসব জনগোষ্ঠী তাদের প্রবেশাধিকারের বিড়ম্বনার কারণে সরকারি হাসপাতালগুলোতে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত হয়।

চিকিৎসা থেকে কেউ যাতে বঞ্চিত না হয় সেদিকে সরকারের নজর রয়েছে বলে দাবি করা হয়। কিন্তু সবার সাংবিধানিক অধিকার আর জোরালোভাবে নিশ্চিত করতে হবে। তবে কোভিড-১৯ মহামারির মধ্যেও দেশের কোনো চিকিৎসাকেন্দ্র বন্ধ হয়নি। অন্যদের লকডাউন থাকলেও চিকিৎসা বা চিকিৎসাকর্মীরা মানুষের জন্য সেবা দিয়ে গেছেন নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়েও এটা অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।

মানুষকে যখন পকেটের পয়সা খরচ করে স্বাস্থ্যসেবা নিতে হবে না, সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে যখন প্রয়োজন তখনই যে কোনো ধরনের চিকিৎসাসেবা বিনামূল্যে গ্রহণ করতে পারবেন তখনই আমাদের দেশে ইউনিভার্সেল হেলথ কভারেজ কার্যক্রম বাস্তবায়ন হবে। এ জন্য আরও লম্বা পথ পাড়ি দিতে হতে পারে। যদিও আমাদের মতো এত জনবহুল দেশের সব মানুষকে বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া কঠিন। 
এখন আমরা আছি এসডিজি যুগে। আগে আমাদের প্রত্যাশা ছিল সবার জন্য স্বাস্থ্য। এখন বলা হচ্ছে, সবার জন্য সহজলভ্য ও মানসম্মত স্বাস্থ্য। সবার জন্য স্বাস্থ্য বলতে যে প্রত্যাশার কথা আমরা বলি তা এখনো নিশ্চিত হয়নি। তবে দিনবদলের কারণে প্রত্যাশাকেও এখন আমাদের নতুন করে সাজাতে হচ্ছে। কোভিড-১৯-এর মতো নতুন নতুন রোগ মহামারির আকার নিচ্ছে। এখন মহামারি হচ্ছে ক্যান্সার, হার্ট অ্যাটাক এবং ডায়াবেটিস। এগুলো হচ্ছে নতুন যুগের, মানে এসডিজি যুগের মহামারি।

এখন স্বাস্থ্য খরচ বেশি ব্যয়বহুল হয়ে গেছে। সরকারি হিসাবের তথ্য বলছে, আমাদের স্বাস্থ্যের পেছনে যত খরচ হয়, তার ৬৭ শতাংশই মানুষ নিজের পকেট থেকে খরচ করছে। অথচ বৈশ্বিক মান হচ্ছে ৩৪ শতাংশের মতো। তার প্রায় দ্বিগুণ আমরা খরচ করছি। আমাদের কাছে স্বাস্থ্যখরচ একটা বড় বোঝা। স্বাস্থ্যসেবার খরচের বিষয়টি আমরা ঠিকমতো স্বীকার করি না। স্বাস্থ্যখরচ নির্বাহ করতে গিয়ে শুধু দরিদ্র নয়, অনেক মধ্যবিত্ত পরিবারও নিঃস্ব হয়ে যায়। কারণ, এখন অসুখের ধরনও পাল্টে গেছে। ক্যান্সার অথবা ক্রনিক অসুখের কারণে অনেককে ওষুধ খেয়ে যেতে হয় নিয়মিত। কিছু উদ্যোগ অবশ্য সরকারের আছে। অতি প্রয়োজনীয় ওষুধ বিলি করার বড় ধরনের প্রোগ্রাম আছে। এই সমস্যার সমাধান কীভাবে করা যায়, সেটি নিয়ে ভাবতে হবে। প্রান্তিক, দলিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকারে বিড়ম্বনার বিষয়টি সামনে এসেছে।

বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে কোভিড-১৯ নিয়ে উদ্যোগ গ্রহণের নানা অভিজ্ঞতা যেন আমাদেরকে একটা কথাই বারবার মনে করিয়ে দেয় সবার জন্য স্বাস্থ্য নিশ্চিতকরণে কমিউনিটির সবার প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ সহযোগিতা, সব  সেক্টরের সমন্বয়, যথোপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহার এবং ন্যায্যতার ভিত্তিতে স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়টিও সেখানে উল্লেখ ছিল। এছাড়া অধিকারভিত্তিক একটি স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে স্থানীয় সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান হিসেবে অবদান রাখতে পারে। দেড়’শ বছরের পুরোনো এ প্রতিষ্ঠানটি স্থানীয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে কোভিড-১৯ কিংবা এ ধরনের বড় দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে স্থানীয় অনেক সমস্যার সমাধান করার ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনার সৃষ্টি করতে পারে।

স্বাস্থ্য নিয়ে আমাদের যে কোনো আলোচনাতেই প্রাধান্য পায় কোথায় ডাক্তার নেই, ওষুধ নেই, হাসপাতাল নেই, সিট নেই, হাসপাতালের দুরবস্থা, দুর্নীতি, অনিয়ম, বাজেটে বরাদ্দ কম, দালালদের উপদ্রব ইত্যাদি অনেক বিষয়। এর প্রতিটি বিষয়ই চিকিৎসাকেন্দ্রিক। এ বিষয়গুলোরও আলোচনা ও সমাধান প্রয়োজন। কিন্তু এসব আলোচনার ভিড়ে হারিয়ে যায় আমরা কীভাবে রোগ হ্রাস বা প্রতিরোধ করতে পারি।

বাংলাদেশ সংবিধানের মৌলিক চাহিদা বা প্রয়োজন হিসেবে চিকিৎসাকে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে এবং জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নকে রাষ্ট্রের অন্যতম প্রাথমিক কর্তব্য হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। কিন্তু সংবিধানের তৃতীয় ভাগে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বাস্থ্যসেবার বিষয়টি উল্লেখযোগ্য না থাকায় তা বলবৎযোগ্য অধিকার হিসেবে দাবি করা যাচ্ছে না। দেশের মানুষের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে হলে, স্বাস্থ্যকে বলবৎযোগ্য মৌলিক মানবাধিকার হিসেবে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়া দরকার এবং রোগ প্রতিরোধকেও অগ্রাধিকার দিতে হবে।

স্বাস্থ্যসেবা পাওয়া মানুষের অধিকার, কারো দয়া বা করুণার বিষয় নয়, এটাও সাধারণ মানুষকে ব্যাপকভাবে বোঝানো এবং সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে যারা সেবা প্রদানকারীর ভূমিকায় আছেন তাদের জবাবদিহির সংস্কৃতি তৈরির জন্য সচেষ্ট হতে হবে। অধিকারভিত্তিক একটি স্বাস্থ্য অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারলেই এসব ক্ষেত্রে অর্জন, এসডিজির লক্ষ্য অর্জন করা এবং সর্বোপরি কোভিড-১৯, ডেঙ্গু কিংবা এ ধরনের মহামারি আরও সুদৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করা সহজতর হবে। পাশাপাশি প্রান্তিক, দলিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য বিড়ম্বনা দূর করে স্বাস্থ্যসেবায় প্রবেশাধিকারের বিষয়টি নিশ্চিত হবে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) বাস্তবায়ন করতে হলে সর্বজনীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা কর্মসূচি নিশ্চিত করতে হবে। দেশের কোনো মানুষ যেন চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত না হয় এবং দরিদ্র জনগোষ্ঠী চিকিৎসা করাতে গিয়ে যেন আরও দরিদ্র বা নিঃস্ব না হয়ে পড়ে, সে লক্ষ্যে বাংলাদেশে সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষায় স্বাস্থ্যবীমা কার্যকর করা জরুরি। স্বাস্থ্যবীমা করার উদ্দেশ্যই হচ্ছে ব্যক্তির চিকিৎসা খরচ মেটানো।
স্বাস্থ্যসেবার সামগ্রিক ঝুঁকি ও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যয়ের আনুমানিক হিসাব অনুযায়ী, একজন বীমাকারী বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্যবীমা গ্রহণ করতে পারেন। যেমন মাসিক প্রিমিয়াম অথবা পে-রোল ট্যাক্স, যা বীমার চুক্তি অনুযায়ী তার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় খরচ জোগাবে। যার ভেতর অন্তর্ভুক্ত রয়েছে দুর্ঘটনার ক্ষতিপূরণ, চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় সব খরচ, প্রতিবন্ধিত্ব অথবা দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর ক্ষতিপূরণ প্রদান ইত্যাদি।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা মূলত বেসরকারি স্বাস্থ্যবীমার ওপর ব্যাপকভাবে নির্ভরশীল, যা অধিকাংশ আমেরিকানদের জন্য স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তির মূল উৎস। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) একটি সরকারিভাবে পরিচালিত স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা, যেখানে যুক্তরাজ্যে বসবাসকারী সবাই স্বাভাবিকভাবেই এ স্বাস্থ্যসেবা পেয়ে থাকেন।

আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ইতোমধ্যে বেশকিছু স্বাস্থ্যবীমা চালু করেছে।  এগুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে রাষ্ট্রীয় স্বাস্থ্যবীমা। প্রকল্পটি দরিদ্র মানুষদের আস্থা অর্জন করতে পেরেছে রাষ্ট্রীয় সদিচ্ছা আর আধুনিক প্রযুক্তির সুবিধার মেলবন্ধনের কারণে। অন্য স্বাস্থ্যবীমায় যার নামে বীমা করা থাকে, তাকে প্রিমিয়াম দেওয়ার কথা, কিন্তু সরকার এই বীমায় সেই প্রিমিয়াম দিয়ে দেয়। গরিব মানুষ বিনামূল্যে একটা নির্দিষ্ট অংকের টাকা অবধি অনেক চিকিৎসা সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেই পেতে পারেন। ৩০ টাকার বিনিময়ে হতদরিদ্র মানুষরা পেতে পারেন তাদের পরিবারের সুচিকিৎসার নিশ্চয়তা। একটি স্মার্ট কার্ড নিয়ে গেলেই হাসপাতালে এক পরিবারের পাঁচজন সদস্য এক বছরে পান ৩০ হাজার টাকার চিকিৎসাসেবা। ২০০৮ সালের ১ এপ্রিল দারিদ্র্যসীমার নিচে থাকা মানুষদের জন্য চালু হওয়া ওই বীমায় ছয় বছরের মধ্যে ৩ কোটি ৬০ লাখ পরিবার যুক্ত হয়েছে।  

বাংলাদেশ ন্যাশনাল হেলথ অ্যাকাউন্টের তথ্য অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসেবা নিতে গিয়ে বছরে ৬৪ লাখ মানুষ গরিব থেকে আরও গরিব হচ্ছে। এদের মধ্যে ১৫ শতাংশ চরম বিপর্যয়ের মধ্যে পড়ছে। কারণ বাংলাদেশের মানুষের স্বাস্থ্য ব্যয়ের ৬৭ শতাংশ নিজের পকেট থেকেই ব্যয় করতে হয়। ফলে মানুষ স্বাস্থ্য ব্যয় মেটাতে গিয়ে দিন দিন আরও গরিব হয়ে পড়ছে। দ্রুত স্বাস্থ্যখাত বীমার আওতায় আনতে না পারলে ব্যক্তিগত ব্যয় আরও বাড়তেই থাকবে।

স্বাস্থ্য অর্থ ইউনিটের তথ্য অনুযায়ী, দেশের ১ শতাংশেরও কম মানুষ স্বাস্থ্যবীমার আওতায় এসেছে। অর্থাৎ ৯৯ শতাংশের অধিক মানুষ এখনো স্বাস্থ্যবীমার বাইরে রয়েছে। কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, করপোরেট হাউজ ও বিশ্ববিদ্যালয় তাদের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য স্বাস্থ্যবীমা চালু রাখলেও এসব বীমায় সবধরনের স্বাস্থ্যসুরক্ষা দিতে পারছে না। আমাদের দেশের বাস্তবতায় দেখা যায়, কেউ চাইলেই এত সহজে সব মানুষকে কিন্তু বীমার আওতায় আনা সম্ভব হবে না, বিশেষ করে নিম্নমধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্তদের ক্ষেত্রে বিষয়টি আরও কঠিন। এ অবস্থায় আমাদের প্রথমে উচ্চবিত্ত থেকে ক্রমান্বয়ে মধ্যবিত্তদের আগে বীমার আওতায় আনতে হবে। আয়ের অনুপাতে এবং পরিবারের সদস্য সংখ্যা অনুযায়ী বীমার প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা যেতে পারে। আর দরিদ্র জনগোষ্ঠীকেও বীমার আওতায় আনতে হবে, তবে তা হতে হবে খুবই স্বল্পমূল্যে বা সম্ভব হলে বিনামূল্যে। অর্থাৎ দরিদ্র জনগোষ্ঠী বীমার আওতায় থাকবে, কিন্তু তার প্রিমিয়াম সরকারিভাবে দেওয়া যেতে পারে। এখানে আরও একটা বিষয় নিশ্চিত করতে হবে, যেন গতানুগতিক বীমার মতো সেবা পেতে দেরি না হয়। যেভাবে জাতীয় পেনশন স্কিম করা হয়েছে সে রকম একটা কিছু নিয়েও এগিয়ে যাওয়া যেতে পারে।

আরবি/জেআই

Link copied!