ঢাকা সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

জ্ঞানদায়িনী সরস্বতী

অরূপরতন চৌধুরী

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২৫, ০৪:১৪ পিএম

জ্ঞানদায়িনী সরস্বতী

ছবি: সংগৃহীত

সরস্বতী পূজা হিন্দু ধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব, যা বিশেষভাবে বিদ্যা, সংগীত এবং কলার দেবী সরস্বতীর আরাধনাকে কেন্দ্র করে অনুষ্ঠিত হয়। এটি প্রতি বছরের মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতে পালিত হয় যাকে শ্রীপঞ্চমী বা বসন্ত পঞ্চমীও বলা হয়। এই পূজা বিশেষভাবে উত্তর ভারত, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, নেপাল এবং বাংলাদেশে পালন করা হয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ছাত্র-ছাত্রীদের বাড়ি এবং সর্বজনীন পূজামণ্ডপে ব্যাপক উৎসাহের সঙ্গে উদযাপিত হয়। ধর্মীয় রীতি অনুসারে, এই দিনটিতে শিশুদের হাতেখড়ি, ব্রাহ্মণভোজন ও পিতৃতর্পণও পালিত হয়। সন্ধ্যায় বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও আয়োজন করা হয়।

ইতিহাস: প্রাচীনকাল থেকে সরস্বতী পূজার প্রচলন শুরু হলেও, বর্তমানে যে রূপে এটি পালিত হয় তা আধুনিক সময়ে প্রতিষ্ঠিত। শাস্ত্রীয় বিধান অনুসারে, মাঘ মাসের শুক্লা পঞ্চমী তিথিতেই সরস্বতী পূজা হয়ে থাকে। প্রাচীনকালে তান্ত্রিক সাধকরা সরস্বতী সদৃশ দেবী বাগেশ্বরীর পূজা করতেন। ঊনবিংশ শতাব্দীতে, পাঠশালায় প্রতি মাসের শুক্লা পঞ্চমীতে বিশেষভাবে পুঁথি, দোয়াত ও কলম রেখে পূজা করা হতো। ২০ শতকের প্রথমার্ধে, শহরাঞ্চলে ধনী ব্যক্তিরা সরস্বতী প্রতিমা স্থাপন করে পূজা করতেন।

সরস্বতী পূজা সাধারণত সকালে অনুষ্ঠিত হয়, তবে কিছু বিশেষ উপকরণ প্রয়োাজন, যেমন আমের মুকুল, অভ্র-আবীর, দোয়াত ও কলম এবং বাসন্তী রঙের গাঁদা ফুল। ছাত্র-ছাত্রীরা পূজার আগে কিছু লেখে না, এবং পূজা শেষে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয়। এ ছাড়া, পূজার শেষে দধিকর্মা নিবেদন এবং প্রতিমা বিসর্জনের রীতি রয়েছে।

বসন্ত পঞ্চমী, যাকে সরস্বতী পূজা বলা হয়, এটি শুধু ধর্মীয় উৎসব নয়, বরং এটি শিল্প, সংগীত এবং জ্ঞানের উৎসবও। বিশেষ করে কবি-গায়ক, লেখক-নৃত্যশিল্পী ও অন্য কলা-কুশলীরা এই দিনটি তাদের শিল্পের আরাধনা এবং দেবী সরস্বতীর পূজার মাধ্যমে শুরু করেন। এটি জ্ঞানের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের প্রতীক, এবং শিক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে।

সরস্বতী পূজা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের একটি বিশেষ ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক উৎসব। এই পূজা বিদ্যার দেবী সরস্বতীকে আরাধনা করার জন্য উদযাপিত হয়। তিনি জ্ঞান, সংগীত, শিল্পকলা, এবং বুদ্ধির দেবী হিসেবে পূজিত। সরস্বতী পূজা সাধারণত মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়, যা বাসন্তী পঞ্চমী নামেও পরিচিত।

সরস্বতী দেবীকে শুভ্র বসনে সজ্জিত, হাতে বীণা, বেদ ও মালা ধারণ করা অবস্থায় কল্পনা করা হয়। তার বাহন হংস, যা জ্ঞানের প্রতীক। দেবী সরস্বতী মানবজাতির মধ্যে জ্ঞান ও সৃজনশীলতার বীজ বপন করেন।

সরস্বতী পূজা বিদ্যালয়, কলেজ এবং বাসা-বাড়িতে উৎসাহ-উদ্দীপনার সঙ্গে পালিত হয়। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা দেবীর কাছে জ্ঞান ও সাফল্যের প্রার্থনা করে। পূজার জন্য একটি মঞ্চ বা বেদি তৈরি করা হয় এবং সেখানে দেবীর মূর্তি স্থাপন করা হয়।

পূজা অনুষ্ঠানে দর্পণ, পুস্তক, এবং দেবীর প্রিয় উপকরণ যেমন হলুদ ফুল, যবের শীষ, এবং মিষ্টি নিবেদন করা হয়। পূজার প্রধান আচারগুলোর মধ্যে অঞ্জলি প্রদান ও হোম যজ্ঞ রয়েছে।

সরস্বতী পূজা শিক্ষার্থীদের জন্য এক অনন্য দিন। এই দিনে তারা লেখাপড়ার সামগ্রী যেমন খাতা, কলম এবং বই দেবীর সামনে অর্পণ করে আশীর্বাদ প্রার্থনা করে। অনেক স্কুল-কলেজে এই দিনটিকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে উদযাপন করা হয়।

সরস্বতী পূজা কেবল ধর্মীয় নয়, এটি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যেরও অংশ। এটি মানুষের মনে সৃষ্টিশীলতা ও জ্ঞানার্জনের প্রতি উৎসাহ জাগায়। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এই দিনে একত্রিত হয়ে আনন্দ ও উৎসবের মাধ্যমে বন্ধনকে দৃঢ় করে।

সরস্বতী শব্দের দুই অর্থ একটি ত্রিলোক্য ব্যাপিনী সূর্যাগ্নি, অন্যটি নদী। সরস+বতী=সরস্বতী, অর্থ জ্যোতির্ময়ী। ঋগ্বেদে আছে ‘অম্বিতমে নদীতমে দেবীতমে সরস্বতী’, সম্ভবত সরস্বতী নদীর তীরেই বৈদিক এবং ব্রাহ্মণ্য সংস্কৃতির উদ্ভব। সরস্বতী মূলত বৈদিক দেবী। বেদে সরস্বতী প্রধানত নদীর অধিষ্ঠাত্রী দেবী। সরস শব্দের অর্থ জল। অতএব সরস্বতী শব্দের আদি অর্থ হলো জলবতী, অর্থাৎ নদী। তিনি বিদ্যার দেবী, জ্ঞানদায়িনী, বীণাপাণি, কুলপ্রিয়া, পলাশপ্রিয়া প্রভৃতি নামে অভিহিত। তার এক হাতে বীণা, অন্য হাতে পুস্তক। সরস্বতী ‘সতত রসে সমৃদ্ধা’। তিনি শুক্ল বর্ণা, শুভ্র হংসবাহনা, ‘বীণা-রঞ্জিত পুস্তক হস্তে’ অর্থাৎ, এক হাতে বীণা ও অন্য হাতে পুস্তক। মাঘ মাসের শুক্লাপক্ষের পঞ্চমী তিথিতে জ্ঞান, বিদ্যা ও ললিতকলার দেবী সরস্বতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি বাড়িতে সরস্বতী পূজার উৎসবের আয়োজন করা হয়।

প্রাচীন হিন্দু সাহিত্যে সরস্বতী নানা নামে পরিচিত। উদাহরণস্বরূপ উল্লেখ করা যায় ব্রহ্মাণী (ব্রহ্মার শক্তি), ব্রাহ্মী (বিজ্ঞানের দেবী), ভারতী (ইতিহাসের দেবী), বর্ণেশ্বরী (অক্ষরের দেবী), কবিজিহ্বাগ্রবাসিনী (যিনি কবিগণের জিহ্বাগ্রে বাস করেন) ইত্যাদি নাম। আবার সরস্বতী বিদ্যাদাত্রী (যিনি বিদ্যা দান করেন), বীণাবাদিনী (যিনি বীণা বাজান), পুস্তকধারিণী (যিনি হস্তে পুস্তক ধারণ করেন), বীণাপাণি (যার হাতে বীণা শোভা পায়), হংসবাহিনী (যে দেবীর বাহন রাজহংস) ও বাºেবী (বাক্যের দেবী) নামেও পরিচিত। দেবী তার বীণা, রাজহাঁস, মযূর, স্ফটিক জপমালা এবং পদ্মের সঙ্গে চিত্রিত।

দেবী সরস্বতীকে প্রায়শই বিশুদ্ধ শ্বেতবস্ত্র পরিহিতা একজন সুন্দরী নারী হিসেবে চিত্রিত করা হয়, যিনি প্রায়শই আলো, জ্ঞান এবং সত্যের প্রতীক একটি সাদা পদ্মোপরি উপবিষ্টা। তিনি শুধু জ্ঞানই নয়, সর্বোচ্চ বাস্তবতার অভিজ্ঞতাও মূর্ত করেন। সাধারণত তার শ্বেত মূর্তিকল্পের বস্ত্র, ফুল থেকে রাজহাঁস পর্যন্ত-শ্বেত বর্ণ সত্ত্ব গুণ বা বিশুদ্ধতা, সত্য জ্ঞান, অন্তর্দৃষ্টি এবং প্রজ্ঞার প্রতীক।

তার ধ্যান মন্ত্রে তাকে চন্দ্রের মতো শুভ্র, শুভ্র বস্ত্র পরিহিতা, শুভ্র অলঙ্কারে সজ্জিতা, সৌন্দর্যে দ্যুতিমতী, কলম এবং পুস্তকধারিণী (জ্ঞানের প্রতীক) হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।

তিনি সাধারণত চতুর্ভুজা, কখনো বা দ্বিভুজা। চতুর্ভুজারূপে, চার হাত তার স্বামী ব্রহ্মার চারটি মস্তককে প্রতীকীভাবে প্রতিফলিত করে, যা মানস (মন, ইন্দ্রিয়), বুদ্ধি (ধীশক্তি, যুক্তি বা ন্যায়), চিত্ত (কল্পনা, সৃজনশীলতা) এবং অহঙ্কার (আত্ম চেতনা, অহং) এর প্রতীক। ব্রহ্মা বিমূর্তের প্রতিনিধিত্ব করেন, অন্যদিকে তিনি কর্ম এবং বাস্তবতার প্রতিনিধিত্ব করেন।

দেবীর চার হাতে প্রতীকী অর্থে- পুস্তক (বই বা লিপি), মালা (জপমালা), কমণ্ডলু এবং বাদ্যযন্ত্র (বীণা) দেখা যায়। তার ধারণ করা বইটি বেদের প্রতীক যা বিশ্বজনীন, ঐশ্বরিক, শাশ্বত এবং সত্য জ্ঞানসহ সমস্ত ধরনের শিক্ষার প্রতীক। স্ফটিকমালা ধ্যানশক্তি, অভ্যন্তরীণ প্রতিফলন এবং আধ্যাত্মিকতার প্রতীক। কমণ্ডলুটি ভুল থেকে সঠিক, অশুচি থেকে শুচি এবং অপ্রয়োজনীয় থেকে সারাংশকে পৃথককরণের দ্বারা বিশুদ্ধকারীশক্তির প্রতীক। কিছু গ্রন্থে, কমণ্ডলু সোমের প্রতীক- সোম একপ্রকার পানীয় যা মুক্ত করে এবং জ্ঞানের দিকে নিয়ে যায়। সরস্বতীর সবচেয়ে বিখ্যাত বৈশিষ্ট্য হলো- তার বাদ্যযন্ত্র বীণা, যা সমস্ত সৃজনশীল শিল্প ও বিজ্ঞানের প্রতীক এবং তা ধারণ করা হলো জ্ঞান প্রকাশের প্রতীক যা সাদৃশ্য তৈরি করে। সরস্বতী অনুরাগের সঙ্গেও যুক্ত, যা সংগীতের প্রতি ভালোবাসা এবং বাক্যে বা ছন্দময় সংগীতে প্রকাশিত সমস্ত আবেগ এবং অনুভূতির প্রতীক।

একটি হংস বা রাজহাঁস- প্রয়শই তার পায়ের কাছে থাকে। হিন্দু পৌরাণিক কাহিনিতে, হংস একটি পবিত্র পাখি। বলা হয়, হংসকে যদি দুধ এবং জলের মিশ্রণ দেওয়া হয়, জল ত্যাগ করে শুধু দুধ পান করার অনন্য ক্ষমতা হংসের রয়েছে। পাখির এই বৈশিষ্ট্যটি জীবনের জটিলতার মধ্যে জ্ঞানান্বেষণ, ভালো এবং মন্দের মধ্যে পার্থক্য করার ক্ষমতা, অসত্য থেকে সত্য, বাহ্যিক প্রদর্শন থেকে সারাংশ এবং অদৃশ্য থেকে চিরন্তন এর রূপক হিসেবে কাজ করে। রাজহাঁসের সঙ্গে তার যোগসূত্রের কারণে, সরস্বতীকে হংসবাহিনী (যার বাহন হংস) বলা হয়। রাজহাঁস আধ্যাত্মিক পরিপূর্ণতা, উৎকর্ষ এবং মোক্ষের প্রতীক। 

কখনো কখনো দেবীর পাশে একটি চিত্রমেখলা (ময়ূর) দেখানো হয়। ময়ূর রঙিন জৌলুস, নৃত্য- সর্পগ্রাসকারী তথা অপস্মাররূপ সর্পের বিষকে আলোকিত দীপ্তিতে রূপান্তরিত করার অপরাসায়নিক শক্তির প্রতীক।

বলা হয়, দেবী সরস্বতীর একমাত্র ঐশ্বর্য হলো জ্ঞান। দেবী সরস্বতীর সর্বাঙ্গ দুধের মতো ধবধবে সাদা তবে চোখের মণি, মাথার চুল ও ভ্রু-দুটি কালো। গলায় মুক্তোর মালা, অন্যান্য সমস্ত অলঙ্কারই দেবীর সাদা। প্রসন্ন দিব্য বিগ্রহের বাঁ হাতে বীণা। শুদ্ধসত্ত্ব দেবীর পরিহিত বস্ত্রাদিও শ্বেতবর্ণের। ডানহাতে শ্বেতপদ্ম। বাহন হাঁসটিও শ্বেতপদ্মের মতো সাদা।

ধ্যানমন্ত্রে বর্ণিত প্রতিমাকল্পটিতে দেবী সরস্বতী দেবীকে শ্বেতবর্ণা, শ্বেতপদ্মে আসীনা, মুক্তার হারে ভূষিতা, পদ্মলোচনা ও বীণাপুস্তকধারিণী এক দিব্য নারীমূতিরূপে কল্পনা করা হয়েছে। বলা হয়েছে,

ওঁ তরুণশকলমিন্দোর্বিভ্রতী শুভ্রকান্তিঃ কুচভরণমিতাঙ্গী সন্নিষন্না সিতাব্জে।
নিজকরকমলোদ্যল্লেখনীপুস্তকশ্রীঃ সকলবিভবসিদ্ধ্যৈ পাতু বাগ্দেবতা নঃ।।

অর্থাৎ, ‘চন্দ্রের নূতন কলাধারিণী, শুভ্রকান্তি, কুচভরণমিতাঙ্গী, শ্বেতপদ্মাসনে (উত্তমরূপে) আসীনা, হস্তে ধৃত লেখনী ও পুস্তকের দ্বারা শোভিত বাগ্দেবী সব বিভবপ্রাপ্তির জন্য আমাদিগকে রক্ষা করুন।’

আবার পদ্মপুরাণ-এ উল্লিখিত সরস্বতীস্তোত্রম্-এ বর্ণিত হয়েছে,

শ্বেতপদ্মাসনা দেবী শ্বেতপুষ্পোপশোভিতা।
শ্বেতাম্বরধরা নিত্যা শ্বেতগন্ধানুলেপনা ॥
শ্বেতাক্ষসূত্রহস্তা শ্বেতচন্দনচর্চিতা।
শ্বেতবীণাধরা শুভ্রা শ্বেতালঙ্কারভূষিতা ॥ ২

অর্থাৎ, ‘দেবী সরস্বতী আদ্যন্ত বিহীনা, শ্বেতপদ্মে আসীনা, শ্বেতপুষ্পে শোভিতা, শ্বেতবস্ত্র-পরিহিতা এবং শ্বেতগন্ধে অনুলিপ্তা ॥ ১ ॥ অধিকন্তু তার হস্তে শ্বেত রুদ্রাক্ষের মালা; তিনি শ্বেতচন্দনে চর্চিতা, শ্বেতবীণাধারিণী, শুভ্রবর্ণা এবং  শ্বেত অলঙ্কারে ভূষিতা ॥

ধ্যান বা স্ত্রোত্রবন্দনায় উল্লেখ না থাকলেও সরস্বতী দেবী ক্ষেত্রভেদে দ্বিভুজা অথবা চতুর্ভুজা এবং হংসবাহনা অথবা ময়ূরবাহনা রূপে পূজিত হন। উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে সাধারণত ময়ূরবাহনা চতুর্ভুজা সরস্বতী প্রতিমার পূজা করা হয়। ইনি অক্ষমালা, কমণ্ডলু, বীণা ও বেদপুস্তকধারিণী। বাংলা তথা পূর্বভারতে সরস্বতী দ্বিভুজা ও রাজহংসের পৃষ্ঠে আসীনা।

বঙ্গভূমে শ্রী শ্রী সরস্বতী পুষ্পাঞ্জলি-মন্ত্র 
ওঁ জয় জয় দেবি চরাচরসারে, কুচযুগশোভিতমুক্তাহারে
বীণাপুস্তকরঞ্জিতহস্তে, ভগবতি ভারতি দেবি নমস্তে ॥
ভদ্রকাল্যৈ নমো নিত্যং সরস্বত্যৈ নমো নমঃ।
বেদ-বেদাঙ্গ-বেদান্ত-বিদ্যা-স্থানেভ্য এব চ
এষ সচন্দনপুষ্পবিল্বপত্রাঞ্জলিঃ ঐং সরস্বত্যৈ নমঃ

প্রণাম-মন্ত্র:
সরস্বতি মহাভাগে বিদ্যে কমললোচনে।
বিশ্বরূপে বিশালাক্ষি বিদ্যাং দেহি নমোহস্তুতে ॥
জয় জয় দেবি চরাচরসারে, কুচযুগশোভিতমুক্তাহারে।
বীণাপুস্তকরঞ্জিতহস্তে, ভগবতি ভারতি দেবী নমস্তে ॥

সরস্বতী পূজা জ্ঞান, সংস্কৃতি ও ঐক্যের প্রতীক। এটি শিক্ষার প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা ও নিবেদনকে প্রকাশ করে। এই পূজার মাধ্যমে আমরা আমাদের জীবনে আলোকিত জ্ঞান ও সৃষ্টিশীলতার পথকে আরও প্রসারিত করার অনুপ্রেরণা পাই।

আরবি/এফআই

Link copied!