এবারের বিনিয়োগ সম্মেলনের দিকে তাকালে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য চোখে পড়ে। বিভিন্ন মহাদেশের, বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের আগমন যেন এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন করেছে। মালাউই, অস্ট্রিয়া, বাহামাস, ক্যামেরুন, নাইজেরিয়া, লিবিয়া, ইউক্রেনের মতো দেশগুলোর বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে এসেছেন। এই ঘটনা নিঃসন্দেহে বিস্ময়কর।
আফ্রিকার সুদূর প্রান্ত থেকে বিনিয়োগকারীদের এই আগ্রহ প্রমাণ করে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সম্ভাবনা এখন আর কেবল আঞ্চলিক নয়, বরং বিশ্বব্যাপী বিস্তৃত। দীর্ঘকাল ধরে আমরা আমেরিকা, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ভারত, চীন, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুরের মতো দেশগুলোকে বাংলাদেশের বাণিজ্য এবং বিনিয়োগের প্রধান অংশীদার হিসেবে দেখেছি।
তাদের আগমন এখনো অব্যাহত রয়েছে, যা আমাদের অর্থনীতির মূল ভিত্তি স্থাপন করে। তবে, এবারের সম্মেলনে নতুন কিছু দেশের অংশগ্রহণ দেশের অর্থনৈতিক সম্পর্কের ব্যাপ্তি এবং গভীরতাকে আরও সুস্পষ্ট করে তোলে।
গত ৭ এপ্রিল ইন্টারকন্টিনেন্টালে শুরু হওয়া চার দিনের বিনিয়োগ সম্মেলন বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। ৪০টি দেশের বিনিয়োগকারীরা এতে অংশ নিয়েছেন।
আসলে, বাংলাদেশ একটি নীরব বিপ্লবের সম্মুখীন হয়েছে। একটি নবজাগরণের পথে ধীর অথচ দৃঢ় পদক্ষেপে অগ্রসর হচ্ছে। দেশের অর্থনীতি যখন নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিল, তখন অধ্যাপক ইউনূসের দূরদর্শী আহ্বান যেন এক নতুন আশার সঞ্চার করেছে। ৪০টি দেশের বিত্তশালী ব্যবসায়ীদের এই সম্মেলনে অংশগ্রহণ সেই আশারই প্রতিফলন।
প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ৪২৬ জন বিদেশি বিনিয়োগকারী এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন। যদি আমরা এদের এক-চতুর্থাংশকেও বাংলাদেশে বিনিয়োগে ধরে রাখতে সক্ষম হই, তবে এর ফলস্বরূপ যে অর্থনৈতিক উল্লম্ফন ঘটবে, তা আমাদের কল্পনারও অতীত।
অন্তত একশটি নতুন বিদেশি শিল্প কারখানা স্থাপিত হবে, যা কোটি কোটি ডলারের প্রত্যক্ষ বৈদেশিক বিনিয়োগ (এফডিআই) নিয়ে আসবে এবং সৃষ্টি করবে হাজার হাজার নতুন কর্মসংস্থান। শুধু তাই নয়, এই বিনিয়োগের হাত ধরে উন্নত প্রযুক্তি এবং জ্ঞানেও প্রবেশ করবে বাংলাদেশে, যা আমাদের শিল্প এবং উৎপাদন খাতকে আরও শক্তিশালী করবে।
এই উজ্জ্বল সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার জন্য আমরা কি প্রস্তুত? যদি হই, তবে আমাদের চারপাশে লুকিয়ে থাকা সেই অশুভ চক্রগুলোকে চিহ্নিত করতে হবে, যারা দেশের এই অগ্রগতিকে ব্যাহত করতে সদা তৎপর। তাদের মিথ্যা প্রচারণা এবং ষড়যন্ত্রের মুখোশ উন্মোচন করে সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে হবে, তাদের অপকর্মের তথ্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে এবং গণমাধ্যমের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। যারা বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে নিজের স্বার্থসিদ্ধি করতে চায়, তাদের স্বরূপ জনসমক্ষে উন্মোচন করাই আজ সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি।
ঠিক এই প্রেক্ষাপটে, রাফাহতে ফিলিস্তিনের বিষয়ে ইসরায়েলি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের দিনে যে অনাকাক্সিক্ষত ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে, তা নিঃসন্দেহে দুঃখজনক এবং উদ্বেগজনক।
কর্তৃপক্ষের যদি আগে থেকে পরিস্থিতির সঠিক মূল্যায়ন থাকত এবং যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতো, তবে এই ধরনের সহিংসতা সহজেই এড়ানো যেত। বিনিয়োগ দরপত্রের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়ে, যখন দেশের অর্থনৈতিক ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হতে চলেছে, তখন কর্তৃপক্ষের উচিত ছিল সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা এবং যেকোনো সম্ভাব্য অঘটনের জন্য প্রস্তুত থাকা।
বর্তমানে, আমাদের সমাজে যেকোনো বিষয়ে দ্রুত জনমত তৈরি এবং বিক্ষোভের প্রবণতা দেখা যায়। অতীতে স্বৈরাচারী সরকারের মদদপুষ্ট কিছু গোষ্ঠী ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য বিনিয়োগ সম্মেলনের মতো জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানগুলোকে সামনে রেখে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টা করতে পারে।
তাদের মূল উদ্দেশ্য থাকে দেশের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করা এবং বিদেশি বিনিয়োগের আগমনকে বাধাগ্রস্ত করা। এই ধরনের দেশবিরোধী কার্যকলাপ রুখতে আমাদের সবাইকে সম্মিলিতভাবে সচেতন থাকতে হবে এবং যেকোনো প্রকার উস্কানিতে কান না দিয়ে শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সহযোগিতা করতে হবে। কারণ দেশে এখনো বিনিয়োগ পরিস্থিতি নিম্নগামী।
বাংলাদেশে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধি ফেব্্রুয়ারিতে ৬ দশমিক ৮২ শতাংশে নেমে ২২ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এটি ২০০৪ সালের ফেব্রুয়ারির পর সর্বনিম্ন। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, টানা সাত মাস ধরে ঋণের প্রবৃদ্ধি কমায় ব্যাংকিং ও ব্যবসায়িক খাতে গভীর সংকট দেখা দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক আরোপিত পাল্টাপাল্টি শুল্ক পরিস্থিতি আরও খারাপ করতে পারে।
অন্যদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে (জুলাই-সেপ্টেম্বর) নিট সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ ৭১ শতাংশ কমে ১১ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে এসেছে। জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে নিট বিনিয়োগ দাঁড়িয়েছে মাত্র ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার, যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৩৬ কোটি ডলার। রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অন্যান্য অর্থনৈতিক কারণ এই নিম্নগতির জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে।
বিনিয়োগ সম্মেলনের মধ্যেই ভারত সরকারের ট্রান্সশিপমেন্ট চুক্তি বাতিল করার সংবাদ এসেছে। তবে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিলের কারণ জানিয়েছে ভারত। দেশটির মতে, বাংলাদেশকে এই সুবিধা দেওয়ার কারণে তাদের বন্দর ও বিমানবন্দরে দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হওয়ায় নিজস্ব রপ্তানি ব্যাহত হচ্ছিল। তবে, এর ফলে নেপাল বা ভুটানে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানিতে প্রভাব পড়বে না।
অন্যদিকে, নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক বাংলাদেশে আরও এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যা আমাদের অর্থনীতির জন্য একটি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক খবর। ব্রিকস জোটের উদ্যোগে গঠিত এই ব্যাংকটি এরইমধ্যে বাংলাদেশে ৩০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। বিনিয়োগ সম্মেলন নিয়ে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্যটি সবার সামনে তুলে ধরেছেন।
তিনি আরও জানান, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মূলত দুটি প্রধান বিষয়ে আগ্রহ দেখাচ্ছে। প্রথমত, বাংলাদেশে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে কী ধরনের সুযোগ-সুবিধা এবং প্রণোদনা প্রদান করা হবে; এবং দ্বিতীয়ত, বর্তমানে যারা বাংলাদেশে ব্যবসা করছেন, তারা কী ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন এবং সেই সমস্যাগুলো সমাধানে সরকার কী পদক্ষেপ নিচ্ছে। এ ছাড়াও, বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে বিদ্যমান আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং লালফিতার দৌরাত্ম্য নিরসনে সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সম্পর্কেও জানতে আগ্রহী।
বিডার চেয়ারম্যান অত্যন্ত স্পষ্ট ভাষায় বলেছেন, এই বিনিয়োগ সম্মেলনের তাৎক্ষণিক লক্ষ্য শুধু নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ করা নয়, বরং একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং শক্তিশালী ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ স্থাপন এবং দীর্ঘমেয়াদি অংশীদারিত্বের ভিত্তি স্থাপন করাই এই সম্মেলনের প্রধান উদ্দেশ্য।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত পাল্টা শুল্কের সম্ভাব্য প্রভাবের বিষয়ে বিডার চেয়ারম্যান উল্লেখ করেছেন, ট্যারিফের এই সমস্যাটি শুধু বাংলাদেশের একার নয়, বরং এটি একটি বৈশ্বিক সমস্যা।
প্রধান উপদেষ্টা ইতোমধ্যেই মার্কিন প্রশাসনের কাছে এই বিষয়ে একটি চিঠি পাঠিয়েছেন এবং সেই চিঠিটি জনসমক্ষে প্রকাশ করা হয়েছে। মার্কিন শুল্কনীতি বাংলাদেশের জন্য তিন মাস স্থগিত রাখতে বলা হলেও ট্রাম্প ইতোমধ্যেই চীন ছাড়া সব দেশের অতিরিক্ত শুল্ক আগামী তিন মাসের স্থগিতাদেশ দিয়েছে। তবে বাংলাদেশের প্রস্তাবে বলা হয়েছে অতিরিক্ত ১০০ আমেরিকার পণ্য শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া হবে বাংলাদেশের বাজারে। বর্তমানে বাংলাদেশের বাজারে শূন্য শুল্ক পণ্যের সংখ্যা ১৯০টি।
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস অত্যন্ত আশাবাদী কণ্ঠে বলেছেন যে, গত আট মাস ধরে বাংলাদেশে বিনিয়োগের পরিবেশ সহজ করার জন্য নিরলসভাবে কাজ করা হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণের জন্য দেশে আগে কখনো এত অনুকূল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি।
চীনা বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি আরও বলেছেন যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত বিনিয়োগবান্ধবনীতি, বাণিজ্য এবং শ্রম-সম্পর্কিত সংস্কার বাংলাদেশে আরও বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে এবং চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলোর উৎপাদন কারখানাগুলোকে বাংলাদেশে স্থানান্তরিত করতে উৎসাহিত করবে।
বিনিয়োগকারীদের অভিযোগ দ্রুততার সঙ্গে গ্রহণ এবং তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের জন্য একটি হটলাইন ও কল সেন্টার পরিষেবা চালুর প্রস্তাবও দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। যেকোনো বিনিয়োগকারী এই নম্বরে ফোন করে তাদের অভিযোগ জানাতে পারবেন এবং সরকার দ্রুততার সঙ্গে সেই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে।
অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, পরিবহন, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল, মোবাইল টেলিযোগাযোগ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সরবরাহ এবং আইটি পরিষেবার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে বিশ্বের প্রধান কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধি হিসেবে অন্তত ৩০ বিশিষ্ট চীনা বিনিয়োগকারী এই সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।
অধ্যাপক ইউনূস বেইজিংয়ে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার সাম্প্রতিক বৈঠকের প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন। প্রেসিডেন্ট শি শীর্ষ চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে উৎসাহিত করার জন্য তার প্রশাসনের পূর্ণ সমর্থন এবং প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন।
চীনা কোম্পানিগুলোর কর্মকর্তারা চট্টগ্রামে ডেডিকেটেড চীনা ইকোনমিক জোন এবং মোংলায় চায়নিজ ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগে গভীর আগ্রহ দেখিয়েছেন; যেখানে চীন একটি অত্যাধুনিক সমুদ্রবন্দর নির্মাণের কাজ করছে।
বাংলাদেশে একটি বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার বিদ্যমান। শুধু তাই নয়, এখান থেকে নেপাল ও ভুটানের মতো স্থলবেষ্টিত দেশগুলোতেও পণ্য সরবরাহ করা সম্ভব। কিছু বৃহৎ চীনা কোম্পানি ইলেকট্রিক ভেহিকেল (ইভি) উৎপাদন, লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি নির্মাণ, বায়ু টারবাইনসহ নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস এবং অফশোর ফটোভোলটাইক সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনে বিনিয়োগে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস।
এদিকে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক বন্দর পরিবহনকারী প্রতিষ্ঠান ডিপি ওয়ার্ল্ড-এর গ্রুপ চেয়ারম্যান ও সিইও সুলতান আহমেদ বিন সুলায়েম চট্টগ্রামের নিউ মুরিং কনটেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
এই বিনিয়োগ সম্মেলন নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে। প্রয়োজন শুধু আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা এবং দেশবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে সজাগ থাকা। বিদেশি বিনিয়োগের এই অনুকূল পরিবেশকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ তার অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথে আরও দ্রুতগতিতে এগিয়ে যেতে সক্ষম হবে এটাই আমাদের প্রত্যাশা।
লেখক: গণমাধ্যমকর্মী, কলাম লেখক