মার্কিন নির্বাচনকে সামনে রেখে বিকৃত ও অপতথ্য ছড়ানোর পাশাপাশি ব্যঙ্গাত্মক কন্টেন্ট ছড়ানোর এক মহোৎসব চলেছিল পুরো যুক্তরাষ্ট্রজুড়ে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে এসব কন্টেন্ট ছড়ানো হয় মর্মে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে বার বার সতর্ক করা হয়। এই বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকার তাগিদ দেওয়া হয়েছে বার বার। যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি নিয়ে সতর্কতা জারি করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একটি ভিডিও বার্তায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তানির্ভর সাংবাদিকতায় অনেক বেশি সাবধানী হওয়ার তাগিদ দিয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ ডক্টর হেথার আসবি।
মার্কিন নির্বাচনে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি ব্যবহার করে ভুল তথ্য ছড়ানো নিয়ে কূটনৈতিক সাংবাদিকদের আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আসবি বলেছিলেন, বিষয়টি সাংবাদিকতার নতুন চ্যালেঞ্জ এবং প্রচলিত গণমাধ্যমগুলোকে আরও সতর্ক হতে হবে। পররাষ্ট্রনীতি ও নির্বাচনী সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে প্রযুক্তি এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে হেথার আসবি তুলে ধরেন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ভুয়া ও বিকৃত তথ্যের অতি ব্যবহারের বিষয়টি।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে ঘিরে ভুয়া ভিডিও নিয়ে এফবিআইয়ের সতর্কতা জারি করা হয়। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ঠিক আগে হঠাৎ করে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া দুটি ভুয়া ভিডিও সম্পর্কে সতর্ক করেছিল দেশটির ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন বা এফবিআই।
সংস্থাটি উল্লেখ করে, ওই ভিডিওগুলোর লক্ষ্য ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ তৈরি করা। সংস্থাটির শীর্ষ কর্মকর্তারা এর আগেও এ বিষয়ে অনেকবার সতর্ক করেছেন এ বিষয়ে। বিবিসি ভেরিফাই প্রমাণ পেয়েছিল, কয়েক মাস আগে থেকেই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এমন শত শত ভুয়া ভিডিও তৈরি হয়েছে, যার উৎস রাশিয়া বলে ধারণা করা হয়। প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন এলেই রাশিয়ার ‘হস্তক্ষেপ’ কিংবা এ ধরনের অভিযোগ ব্যাপকভাবে আলোচনায় আসে। বিশেষ করে, ২০১৬ সালের এবং ২০২০ সালের নির্বাচনে এ ধরনের তথ্য বেশি আলোচনায় এসেছিল।
এবারেও নির্বাচনকে সামনে রেখে ‘রুশ তৎপরতা’র কথা বলছে যুক্তরাষ্ট্রের সংস্থাগুলো। ৫ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন এবং ট্রাম্প বিপুল ভেটে জয়লাভ করেন।
সামাজিক মাধ্যম ‘এক্স’-এ এফবিআই জানায়, দুটি ভিডিও- ব্যালট প্রতারণা এবং ডেমোক্র্যাট দলীয় প্রার্থী কমলা হ্যারিসের স্বামী ডাগ এমহফকে নিয়ে গুজব ছড়ায়। ভুয়া ওই দুটি ভিডিও দেখে মনে হবে এগুলো এফবিআই বানিয়েছে। ভিডিওর সঙ্গে সংস্থাটির লোগো জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এটি এক্স-এ বেশি মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেনি বা খুব বেশি মানুষ এটি দেখেনি। এসব ভিডিও অথেনটিক নয়, এফবিআই এগুলো করেনি এবং এগুলোতে মিথ্যা বলা হয়েছে, এফবিআই এক বিবৃতিতে জানায়।
এফবিআই কার্যক্রম নিয়ে ভুয়া কনটেন্ট তৈরি করে মানুষের সঙ্গে প্রতারণার চেষ্টা হলো গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে হেয় করার মাধ্যমে নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে অবিশ্বাস তৈরি করা,’ বিবৃতিতে বলা হয়েছে। এফবিআই যেভাবে ভিডিওগুলোর কনটেন্টের বর্ণনা দিয়েছে, তার সঙ্গে এর আগে বছরের শুরুতে বিবিসি ভেরিফাই যে তিন’শর মতো ভিডিও পেয়েছিল তার মিল ছিল।
একটি অনলাইন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে তখন এসব ভিডিও পাওয়া গিয়েছিল। ভিডিওতে বিশ্বাসযোগ্য করে প্রাফিক্স উপস্থাপন করা হয়েছে। টেক্সটগুলো দেখে মনে হবে, এগুলো যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বিবিসি, ফ্রান্স ২৪ ও ফক্স নিউজসহ অন্তত পঞ্চাশটি সংবাদমাধ্যম থেকে নেওয়া।
২০১৬ সালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় রাশিয়ানরা হ্যাকিং-এর চেষ্টা চালিয়েছিল বলে জানিয়েছিল একজন মার্কিন কর্মকর্তা। গত কয়েক মাস ধরে প্রায় প্রতিদিনই অনলাইনে ভিডিও পোস্ট করা হচ্ছে এবং সাম্প্রতিক সময়ে এটা করা হয় যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনকে জোর দিয়ে। এতে মিস হ্যারিস সম্পর্কে মিথ্যা দাবি ও বিশৃঙ্খলা এবং ‘গৃহযুদ্ধ’ সম্পর্কে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। চেকফার্স্ট, ফিনল্যান্ডভিত্তিক একটি অনলাইন অ্যানালিটিক্যাল কোম্পানি ওই ভিডিওগুলোর নেটওয়ার্ক সম্পর্কে স্বাধীনভাবে অনুসন্ধান করেছে। তারা দেখেছে যে এর পেছনে আছে একটি রুশ মার্কেটিং এজেন্সি ও একটি রুশ আইপি অ্যাড্রেস।
‘আমরা এর সঙ্গে রাশিয়ার যোগসূত্র করতে পারি এবং কিছু বিষয় থেকে আমরা জানতে পারি যে এগুলো তৈরি করেছে রুশ একটি কোম্পানি,’ বলছিলেন চেকফার্স্টের প্রধান নির্বাহী গুইলাউমে কুস্টার।
‘প্রমাণের আরেকটি সূত্র হলো- ডেটা সেট। সেখানে প্রবেশ করে আমরা প্রমাণ পাই যে যেখান থেকে ই-মেইল পাঠানো হয়েছে সেটিও রাশিয়ায়।’
চ্যাটজিপিটি দিয়ে মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব ফেলতে চেয়েছিল ইরান।
সেইসব অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ‘স্টর্ম ২০৩৫’ নামের এক গোপন ইরানি অভিযানের যোগসূত্র পেয়েছে ওপেনএআই। সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা বেশকিছু চ্যাটজিপিটি অ্যাকাউন্ট নিষিদ্ধ করেছে ওপেনএআই, যেখানে অন্যান্য বিষয়াদির পাশাপাশি মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ভুয়া কনটেন্ট বানিয়ে সেগুলো ছড়িয়ে দেওয়া হতো।
ওপেনএআইয়ের দাবি, এ কাজের মূল লক্ষ্য, চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করে দীর্ঘ নিবন্ধের পাশাপাশি এক্স ও ইনস্টাগ্রামের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া মন্তব্য তৈরি করা। সেইসব অ্যাকাউন্টের সঙ্গে ‘স্টর্ম ২০৩৫’ নামের এক গোপন ইরানি সংগঠনের যোগসূত্র পেয়েছে ওপেনএআই, যা রাজনৈতিক সংবাদ প্রকাশকের ছদ্মবেশে ওয়েবসাইট চালু করে মার্কিন ভোটারদের প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছে। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় নিলে, এ অপারেশনে মার্কিন নির্বাচনের উভয়পক্ষ নিয়ে ভাষ্য দেওয়ার পাশাপাশি ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধ, অলিম্পিক গেমসে ইসরায়েল, ভেনেজুয়েলায় রাজনীতি ও যুক্তরাষ্ট্রে ‘লাতিন সম্প্রদায়ের অধিকার’ নিয়েও কনটেন্ট তৈরি হয়েছে।
ওপেনএআই বলছে, তাদের তদন্তে উঠে এসেছে, এ প্রচারণায় ‘তেমন দর্শক সম্পৃক্ততা দেখা যায়নি’। এধাই কোম্পানিটি আরও যোগ করে, তাদের ট্র্যাক করা বেশিরভাগ পোস্টে ‘লাইক, শেয়ার বা কমেন্ট’ নেই বললেই চলে। মে মাসে ওপেনএআই ও মেটা ঘোষণা দিয়েছিল, তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি প্রচারণা রুখে দিয়েছে, যেখানে এআই ব্যবহার করে ইনস্টাগ্রাম ও ফেসবুকে বিভিন্ন ইসরায়েলপন্থি বার্তা পোস্ট হতো।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন শুরু হতে আর কয়েক মাস বাকি থাকলেও এমন হস্তক্ষেপ করার ঘটনা বেড়ে যেতে পারে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে প্রযুক্তি সাইট এনগ্যাজেট। নির্বাচনের আগের সপ্তাহে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডেনাল্ড ট্রাম্প নিশ্চিত করেন, তার নির্বাচনী প্রচারণা সাইবার আক্রমণের শিকার ও ইরানের এক হ্যাকার দলের পাঠানো ‘ফিশিং’ ই-মেইলের সঙ্গে এর যোগসূত্র আছে।
জুনে ট্রাম্পের পাশাপাশি বাইডেন-হ্যারিসের প্রচারণায় সাইবার হামলা চালানোর অভিযোগে তদন্ত করে শুরু করেছে এফবিআই। এর সঙ্গে ভিডিও তৈরি করা হয়েছিল সেগুলো ব্যাপকভাবে ছড়ানো হয়েছিল রাশিয়ান ভাষার টেলিগ্রাম চ্যানেলে।
চেকফার্স্ট যে স্টাইল, বার্তা ও থিম ভিডিওর সঙ্গে পেয়েছে সেটি ক্রেমলিনের সঙ্গে যোগসূত্র আছে এমন আরেকটি কার্যক্রমের সঙ্গে মেলে বলে বিবিসি ভেরিফাই গবেষণা সমর্থিত একটি ধারণা। তবে এটা এখনো পরিষ্কার নয় যে কারা ওই কার্যক্রম পরিচালনা করছে এবং এটি রাশিয়ার সরকারের আর্থিক সহায়তায় পরিচালিত কি না।
ওয়াশিংটনে রাশিয়ার দূতাবাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল নির্বাচনে হস্তক্ষেপের যে অভিযোগ তার দেশের বিরুদ্ধে সেটি ‘ভিত্তিহীন’। রাশিয়ার কৌশলের দিকে যত ইঙ্গিত দেওয়া হচ্ছে তা একটি অপবাদ, যা যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির লড়াইয়ে ব্যবহারের জন্য তৈরি।
এক্স-এর হিসাব অনুযায়ী ওই ভিডিও ক্লিপ দেখা হয়ে লাখ লাখ বার। তবে যারা পোস্ট করেছে তাদের অনুসারী কম এবং অল্প মানুষই তাতে কমেন্ট করেছে। কিছু ‘বট’ অ্যাকাউন্ট থেকেও এটি দেখা হচ্ছে বলে বোঝা যায়।
এফবিআই এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। তবে এর বাইরেও তারা সাম্প্রতিক রাশিয়ার সঙ্গে যোগসূত্র আছে এমন প্রভাবশালী নেটওয়ার্ক সম্পর্কে সতর্কতা জারি করেছে। শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি সংস্থা এফবিআই, অফিস অফ দ্য ডিরেক্টর অফ ন্যাশনাল ইনটিলিজেন্স এবং দ্য সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি একটি ভাইরাল ভিডিও মন্তব্য করে বলেছে এতে হাইতি থেকে আসা একজন ভোট দিয়েছে এমন একটি মিথ্যা বর্ণনা দেওয়া হয়েছে এবং এটি ‘রাশিয়া প্রভাবিত লোকজন’ তৈরি করেছে।
নির্বাচনের আগের সপ্তাহে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানায় একটি ভিডিও দেখানো হয়েছে যে নির্বাচনী কর্মী মেইলে আসা ব্যালট ধ্বংস করছে যেগুলোতে পেনসিলভানিয়ায় ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ভোট দেওয়া হয়েছে বলে বোঝানো হয়েছে। সংস্থাগুলো বলছে এগুলো রাশিয়ানদের তৈরি ও প্রচার করা।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট চলাকালীন রাশিয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা। ইউএস ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটি (আইসি) জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে জনগণের আস্থা কমাতে ‘সবচেয়ে সক্রিয় হুমকি’ হয়ে দাঁড়াতে পারে রাশিয়ার বিভ্রান্তিকর তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল ইন্টেলিজেন্স, দ্য ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, দ্য সাইবার সিকিউরিটি অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিকিউরিটি এজেন্সি নির্বাচনের আগে এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানায়। তারা জানায়, মার্কিন গোয়েন্দারা ভোটের ক্ষেত্রে বিদেশি শক্তিগুলোর ওপর কড়া নজর রাখছে। বিশেষ করে রাশিয়ার কর্মকাণ্ডের ওপর বেশ তৎপর রয়েছে মার্কিন গোয়েন্দারা।
এতে বলা হয়, মার্কিন ইন্টেলিজেন্স কমিউনিটির বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে জানায়, নির্বাচনের দিন এবং এরপরেও আরও এক সপ্তাহ পর্যন্ত তৎপরতা চালানোর চেষ্টা করতে পারে রাশিয়া। বিশেষ সুইং স্টেটগুলোতে তারা প্রভাব বিস্তার করতে পারে।
বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন নির্বাচনের জন্য সবচেয়ে সক্রিয় হুমকি হচ্ছে রাশিয়া। বিশেষ করে মস্কোর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ইনফ্লুয়েন্স অভিনেতারা ভিডিও তৈরি করছে এবং নির্বাচনের বৈধতা ক্ষুণ্ন করার জন্য ফাঁদ তৈরির চেষ্টা করছে। এর মাধ্যমে তারা নির্বাচন প্রক্রিয়া সম্পর্কে ভোটারদের মধ্যে ভীতি জাগিয়ে তুলছে এবং পরামর্শ দিচ্ছে যে আমেরিকানরা রাজনৈতিকভাবে একে অপরের বিরুদ্ধে সহিংসতা ব্যবহার করছে। বিভিন্ন তথ্যের ভিত্তিতে এমনটাই মনে করছে মার্কিন গোয়েন্দারা।
নির্বাচনের চূড়ান্ত লড়াই শুরুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে এমন তথ্য দিয়েছিল মার্কিন গোয়েন্দারা। গত সপ্তাহে অনলাইনে প্রচারিত ভিডিওগুলোতে ভোট জালিয়াতির মিথ্যা তথ্য চিত্রিত করার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ মার্কিন গোয়েন্দাদের। একটি ভিডিওতে হাইতিয়ান এক অভিবাসীকে দেখানো হয়। সেখানে বলা হয়েছে ওই অভিবাসী জর্জিয়া অঙ্গরাজ্যে ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকে একাধিক ভোট দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন। তবে মার্কিন গোয়েন্দারা জানান এসব তথ্য ভুয়া।
মার্কিন নির্বাচন নিয়ে এক্স-এ ভুয়া তথ্য ছড়িয়েছেন ইলন মাস্ক। যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়েছেন মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। তার করা পোস্টগুলো অন্তত ২ বিলিয়ন তথা ২০০ কোটি ভিউ হয়েছে। অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ‘সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল হেট’র এক প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :