হাসিনা কছে উই যা বলে উই নাকি তা করে। কখনো করে নাই। আমি ইতিহাসে গেলাম না, এই কয়দিন আগেই সে কইছিলো না, শেখ হাসিনা পলায় না। কইছিলো না। পলাইছে? তো উই যা কয় তা করে? করে না উল্টাটা করে। এরপরে আজকেই এক ম্যাজিস্ট্রেট প্রফেসর ইউনূসকে ব্যাঙ্গ করে পোস্টাইলো প্রফেসর ইউনূসের রিসেট বাটন সংক্রান্ত আলাপ নিয়া। যারা আলপটা শুনেন নাই তাদের জন্য এডিটর সাহেব রিসেট বাটন সংক্রান্ত প্রফেসর ইউনূসের আলাপটা ভয়েস অব আমেরিকার সাক্ষাৎকার থেকে শোনান। এই বেকুব মাইয়া প্রফেসর ইউনূস কি রিসেট বাটন চাপা বলতে ইতিহাস মুছে দেওয়া কইছে? হাসিনার আমলে জিপিএ ফাইভ হইলে আর কোটায় ম্যাজিস্ট্রেট হলে তো ইংকাই হবি।
‘রিসেট বাটন’ রূপকটি রাজনৈতিক পরিভাষায় প্রথম ব্যবহার দেখা যায় ২০০৯ সালে, যখন ওবামা প্রশাসন যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়ার সম্পর্ক নতুন করে গড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে। তখন এটি বোঝানো হয়েছিল যে, পূর্ববর্তী দ্বন্দ্বগুলোকে সরিয়ে রেখে নতুনভাবে কূটনৈতিক সম্পর্ক তৈরি করার জন্য দুই দেশ সম্মত হয়েছিল। এই রূপক ইতিহাস মুছে ফেলার পরিবর্তে, সম্পর্কের পুনর্গঠন ও উন্নতির জন্য নতুন প্রচেষ্টা বোঝায়।
যখন ড. ইউনূস রিসেট বাটনের কথা বলছেন তখন উনি এইটাই বুঝাইতে চাইছেন যে, নতুন সামাজিক ও রাজনৈতিক সূচনা করার সময় এসেছে। তিনি এটাই বলছেন যে, আগের ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন রাজনৈতিক এবং সামাজিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করা। এই রূপক কোনোভাবে ইতিহাস মুছে ফেলার ইঙ্গিত দেয় না। বরং নতুন পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাধান খোঁজার কথা বলছেন।
এই হাসিনার আস্ফালন, এই যে প্রশাসনের আস্ফালন, এই যে লীগের আস্ফালন শুরু হইছে, এগুলো কীসের লক্ষণ? এসবের লক্ষণ হচ্ছেÑ প্রফেসর ইউনূসের দুর্বল প্রশাসনের। স্যার এডা কতা কই, প্রফেসর ইউনূসের কইতাছি, ক্ষমতাকে প্রকাশ করতে হয়। আপনার প্রশাসনকে হাসিনার ইন্ডিয়া আর ইন্ডিয়ান লেস্পেন্সাররা দুধভাত মনে করতাছে। ইন্ডিয়ারে, হাসিনারে এবং তার সঙ্গে সঙ্গে তার লেস্পেন্সারদের চাপে না রাখলে ঝামেলা আরও বাড়তেই থাকবো। একটার পর একটা ঝামেলা আসবে যতক্ষণ পর্যন্ত আপনি আপনার ক্ষমতা না দেখাইবেন। জনগণ আপনার সঙ্গে আছে, আপনার ক্ষমতা দেখাইতে সমস্যা কোথায়। হাসিনা তো দূর কি বাদ! হাসিনার পোলা মাইয়া বাংলাদেশে ফিরতে পারবে না কোনোদিন। কিন্তু ওরা আওয়াজ দিবে। এখন আসেন এই আলাপটা করি যে, ক্যামনে ইন্ডিয়া আর হাসিনারে চাপে রাখবেন। ইন্ডিয়ারে বলতে হবে যে, হাসিনা কীভাবে ইন্ডিয়াতে আছে। ইন্ডিয়ারে বলতে হবে যে, কেন সে হাসিনারে আশ্রয় দিছে। ইন্ডিয়ান অ্যাম্বাসেডরকে ডাইকা জিগাইতে হবে কেন ইন্ডিয়ান মিডিয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালাইতাছে। আর কেনইবা ইন্ডিয়া বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ করিছে। আমাদের ব্যাপকভাবে প্রচার করা দরকার সুখরঞ্জন বালিকে কীভাবে ঢাকার হাইকোর্টের সামনে থেইক্যা অপহরণ করার পরে তারে ভারতের কারাগারে পাওয়া যায়?
বিএনপির সালাউদ্দিন সাহেবকে কীভাবে তার ঢাকার বাসা থেকে অপহরণ করার পরে ভারতের একটা শহরে পাওয়া যায়? দুজনই তো বাংলাদেশি। এই মামলায় মোদিকে আসামি করা যাবে। চিফ প্রসিকিউটর বলছেন যে, প্রমাণ পাওয়া গেছে ভারতের নাগরিক পুলিশের পোশাকে গুলি ছুড়ছে। বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলাকালে ভারতের পুলিশ বাংলাদেশের পুলিশের পোশাক পইরা গুলি ছুড়ছে। এইডা নিয়াও মামলা করতে হবে। হাউ মাউ লাগাইয়া দিতে হবে সারা দুনিয়ায়। আমরা বলছি এটা সারা দুনিয়ায়? আন্তির্জাতিক মিডিয়ায় বলছি এটা? বলি নাই, কেন? এটা তো আমাদেরই দোষ। এইটা আন্তর্জাতিক মিডিয়ায় বললে ইন্ডিয়ার সত্যই হইয়া যাইবো।
প্রফেসর ড. ইউনূসের সরকারকে হাসিনাকন্যা পুতুল বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা নিয়োগ দিছে না, এইডা বাতিল করতে হবে। প্রফেসর ইউনূসকেই করতে হবে। এখন বাতিল করলে বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা কী করবে, না করবে সেটা অন্য আলাপ। কিন্তু এই কাজটা করলে হাসিনা থমকাইতো। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা একটা ঝামেলার মধ্যে পড়তো যে, কেমন লোকরে আমরা বানাইছি। আমরা চাপ অব্যাহত রাখতাম যে, আমরা তো তার নমিনেশন প্রত্যাহার করছি। আমেরিকায় জয় কী করে, তার আয়ের উৎস কী? এটা নিয়া আমেরিকান সরকারের সঙ্গে ডিল করতে হবে। আমেরিকান সরকারকে বলতে হবে যে, তুমি ওর টেক্স ফাইল দেখ ও কী করে। কী কইরা খায়? জয় মদ খাইয়া মাতাল হইয়া ঢাকার রাস্তায় গাড়ি চালাইতে গিয়া গাড়ি চাপা দিয়া মানুষ মারিছিলো খালেদা জিয়ার আমলে। ওই খুনের মামলা থেকে হাসিনা তাকে বাঁচাইতে আমেরিকা পাঠাইছিলো। ওই মামলাটা এখন করতে হবে। ঘটনার বিস্তারিত শফিক রেহমান ভাই দিতে পারবেন। উনি ঢাকাতেই আছেন। ওনার সাহায্য নিয়েই মামলা করেন। তারপর ওরে দেশে নিয়ে এসে দৌড়ের ওপর রাখুন। আর প্রশাসন হাসিনার লেস্পেন্সারদের দৌড়ের ওপর রাখেন।
ওই মাইয়া কয়, ৩০ লাখ শহীদ একটা মীমাংসিত বিষয়। ওই মাইয়া এইটা কই থেকে জানছে? এতই যদি মীমাংসিত হয় তাহলে জাতিসংঘ স্বীকৃতি দেয় না কেন? এই যে জুলাই-আগস্টে যে গণহত্যা হইলো, যে হত্যাকাণ্ড করলো এটার নাকি কোনো প্রমাণ নাই? চিন্তার করিছেন। কেমন শয়তান এই মাইয়া? এই বদমাইশ বাংলাদেশের সরকারে চাকরি করে। এদের দৌড়ের ওপর রাখার বদলে ড. ইউনূস সরকারে মহান উপদেষ্টারা কী করতাছে, মানবজমিনের একটি নিউজ করেছে ‘ছাত্রদের বিরুদ্ধে মামলা করা সেই খাস্তগির এখন পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত’। তৌহিদ সাহেব আপনে কি পণ করেছেন যে আমাদের কথা শুনবেন না? এই হারামজাদারে কেন আপনি মালেয়শিয়া থেকে পোল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত বানালেন? এই লোক মালয়েশিয়ায় কী করেছিলো জানেন, গত অভ্যুত্থানে যারা মালয়েশিয়াতে মিছিল সমাবেশ করেছিলো তাদের সন্ত্রাসী আখ্যা দিয়া মালয়েশিয়ান পুলিশের কাছে মামলা দিয়েছিলো। তৌহিদসাব আপনার সাহস দেখে তো আমি ইয়ে হয়ে গেলাম। আপনার কইলজায় তো বহুত সাহস তৌহিদ সাহেব। ওরে পাঠান ওর ব্যবস্থা আমি নিবো। আমি আপনাকে চ্যালেঞ্জ দিলাম পাঠান ওরে। এমন হইতে পারে যে আমার ভিডিও প্রকাশ হওয়ার আগেই তার অর্ডার ক্যানসেল হয়ে গেল। কিন্তু আমি আপনারে ছাড়ুম না তৌহিদ সাহেব। এই সাহস আপনে পাইলেন কই? রাষ্ট্রদূত বানানোর লোক পাইতাছেন না? আমাদের জিজ্ঞেস করেন। ক্যাডারে মেলা লোক আছে, বাইরেও লোক আছে মেলা। কইয়া দিমু নি। শুধু কি এইডা আরেক কিচ্ছা বলি, জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়। এই যে, আংলী ইমাম মজুমদার হারামজাদা আছে না, এইডা কিন্তু আপনাদের চোখ এড়াইয়া যাইতে পারে। কিন্তু কইরা রাখা ভালো যে, ক্যাংকা কাজ চলিচ্ছে? প্রফেসর ইউনূসের উপদেষ্টারা কি করিচ্ছে আসলে। এই যে, এদেরকে গালাই, এমনি তো গালাই না। গালি খাওয়ার মতো কাজ করলে গালাই। আসনে দেখি আলী ইমাম মজুমদার হারামজাদা কী করিছে, আমার এক সম্মানিত আপা। যিনি আবার প্রফেসর ইউনূস সরকারে উপদেষ্টাও বটে। উনি আমারে ফোন কইরা কইলেন, পিনাকী তোমারে আমি একটা বকা দিবো? আমি কইলাম আমি বুচ্ছি আপা আপনি কী কইবেন। বকা দেওয়া লাগবে না আমি বুইঝা গেছি।
তো আপনে তো আমারে ছাড়বেন না। আপা বকা দিবেই। আমি কইলাম আপা আচ্ছা দেন বকা। তিনি কইলেন তুমি এইভাবে য়োহিদ উদ্দিন মাহমুদ সাহেবরে গালাইলা? উনি একজন বয়স্ক মানুষ। এইভাবে গালাইলা তুমি? আমি তো চিন্তাই করতে পারতাছি না তুমি ইংকা কইরা গালি দিতে পারো। ছি, ছি, ছি পিনাকী! আর গালি দিবা না, কথা দাও। আমি আপারে কথা দিলাম। কথা দিয়া ফাইস্যা গেছি। নয়তো আলী ইমাম মজুমদারকে এমন গালি দিতাম ইনি, উনি এক মাস নাপাক থাকতো ইনি। বাঁইচ্যা গেলা আলী ইমাম মজুমদার। ও ওর মন্ত্রণালয় কেবা কইরা চালাচ্ছে দেখেন। রাজউকের চেয়ারম্যানকে বরখাস্ত করছিলো। তিন দিনের মধ্যে আবার পুনর্বহাল করিছে। ওক বাদ দিছিলো ক্যান তাইলে? আবার নতুন কইরা নিয়োগইবা দিলো ক্যান? এটা তো প্রফেসর ইউনূসকে ডাইক্যা জিজ্ঞেস করতে হবে, মজুমদার সাহেব তুমি যে ওরে বরখাস্ত করলা, ক্যান করিছিলা? এবার বলো তারে যে আবার দিলা ক্যান দিলা? কী এনালাইসিস করো? এডাকি ‘ওড ছুড়ি তোর বিয়া?’ ইচ্ছা হইলো বাদ দিলাম ইচ্ছা হইলো ঢুকাইলাম। এই সিদ্দিক কে জানেন, ও দুর্নীতিবাজ তারেক সিদ্দিকীর ঘনিষ্ঠ ছিলো। ও রাজউকের চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য নাকি শেখ রেহানাকে ৫০ কোটি টাকা অগ্রিম দিছিলো। শোনা যায় আর কি! সত্য মিথ্যা জানি না। ও আবার করছে কি গুলশানে ওর একটি সরকারি বাড়ি আছে ওইটা সংস্কারের জন্য আড়াই কোটি খরচ করিছে। পাবলিকের টাকা।
বাড়ি সংস্কারের জন্য আড়াই কোটি টাকা খরচ করিছে। ওরে আবার নিয়োগ দিছে কেন জানেন? আমি সত্য মিথ্যা জানি না। বাতাসে যেগুলা ঘুইরা বেড়ায় আরকি! বরখাস্ত হওয়ার পরে জেনারেল বেলাল আছে না, সাকেব সেনাপ্রধান ওই যে মেয়র আনিসের বড় ভাই আরকি। তার অনুরোধে ওয়াকার সাহেব তাকে বহাল রাখার পদক্ষেপ নেয়। আর বেলাল সাহেব আনিসুল হকের যে মোহাম্মদী গ্রুপ আছে না, ওইডা দেখভাল করে। ধারণা করা হচ্ছে যে, মোহাম্মদী গ্রুপের রাজউকের আসন্ন একটা প্রকল্পে ব্যবসায়ীক একটা স্বার্থ আছে যার কারণেই সিদ্দিকুরকে আবার পুনর্বহাল রাখিচ্ছে। বেলাল সাহেব আমি কলাম নজর রাখিচ্ছি। কোন কাজে ওকে ধরিছেন, রাখিছেন ধরবার পারলে না, খুবি খেয়াল।
আর কী করিছে, সত্যিকারের যারা ফ্যাসিবিরোধী অফিসার আছে প্রশাসনে তাদের পেছনে লাগাইয়া দিছে ইন্ডিয়ান এজেন্টদেরকে। ক্যাংকা কইরা? আসেন দেখি একটা। কালবেলার ওই নিউজটা দেখছেন না। ডিসি নিয়োগে কেলেঙ্কারি। কালবেলা হচ্ছে আওয়ামী এবং ইন্ডিয়াপন্থি একটি পত্রিকা। আর কিছু মতলববাজ ও অসাধু মিডিয়া তো আছেই। অসত্য এবং অশুভ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য প্রপাগান্ডামূলক এই খবরগুলা প্রচার করছে। আমি কলাম এইডা নিয়া একজন আইসিটি বিশেষজ্ঞর লগে কথা কইছি উনি আমারে নিশ্চিত করছে পুরাটাই ভুয়া। আর এই কালবেলার সম্পাদক কে জানেন, সন্তোষ শর্মা পুরাই ইন্ডিয়ান মাল। তো ওই যেডা ছাপবি, সেডা বিশ্বাস করা যাবি কন তো! ও আমার নিউজও ছাপে। আমি কোনো স্ট্যাটাস দিলেই নিউজ করে দেয়। আমার নিউজ ছাপলিও কইলাম বিশ্বাস করবেন ন। ওর ধান্দা আছে। ওর ধান্দা হইলো আমার নিউজ ছাইপা রিডার ঠিডার নিবে। তারপর ইংকা করে উল্টাপাল্টা কাজ করবে। প্রফেসর ইউনূসের সরকার আংকারই সন্তান। এই সরকারকে আমরা শাসন করবো, আদর করবো তাই কইরা বড় করবো। কিন্তু এই সরকারকে উৎখাতের চেষ্টা যদি কেউ করে। বিপদে ফেলার চেষ্টা যদি কেউ করে। আমরা কলাম ছাইড়া দিবো না। বুক দিয়া সরকারকে আগলাইয়া দিবো। মাথার মধ্যে যদি শয়তানি প্রকল্প থাকে না ঠাসি খাইয়া থাকেন। বেশি তেড়িবেড়ি কইরেন না। মাইর কলাম একটাও মাটিত পড়বে না। মাউন্ড ইট! পিনাকী ছুইলে কলাম জয়বাংলা!
লেখক |
পিনাকী ভট্টাচার্য
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট
লেখক ও চিকিৎসক। তার ভিডিও থেকে অনুলিখন
৭ অক্টোবর ভিডিওটি তার অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করেন
আপনার মতামত লিখুন :