ঢাকা: বিশ্ববাজার ও দেশীয় প্রেক্ষাপটে নতুন একটি প্রতিষ্ঠানে বিনিয়োগ ঝুঁকিপূর্ণ বলেই প্রতীয়মান হচ্ছে। তার পরে যদি হয় আর্থিকভাবে অনিশ্চয়তার প্রতিষ্ঠান তাহলে তো আরও বেশি ঝুঁকি। এ কথা সবাই স্বীকার করবেন মুদ্রণ ও প্রকাশনা শিল্পে এক ধরনের খরা চলছে। কঠিন একটা সময় পার করছে দেশের মুদ্রণ ও প্রকাশনা শিল্প। তার পরেও কেন বা কোন সাহসে এত পত্রিকার ভিড়ে আরেকটি পত্রিকা প্রকাশের উদ্যোগ? আমরা বলতে চাই, স্রেফ বাণিজ্যিক সাফল্য বা মুখ্যত আর্থিক লাভের আশায় নতুন এ বিনিয়োগ নয়। সৎ ও সাহসী সাংবাদিকতাকে পৃষ্ঠপোষকতা এবং উৎসাহের জোয়ারে ভাসতে আমাদের এ ক্ষুদ্র উদ্যোগ। তথ্যের অবাধ প্রবাহকে আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে আমাদের এ অভিলাষী যাত্রা।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অভাবিত উন্নতিতে বিশ্বের যেকোনো প্রান্তের ঘটনা ও নতুন তথ্য দর্শক-শ্রোতা-পাঠক মুহূর্তেই হাতের মুঠোয় পেয়ে যাচ্ছেন। এ জন্য আমাদের উদ্যোগের মধ্যে রয়েছে একই প্ল্যাট ফর্ম থেকে মুদ্রণ, অনলাইন ও ডিজিটাল মাধ্যমে বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর দ্বারে পৌঁছানো।
সার্বিক বাস্তবতায় নতুন একটি পত্রিকায় বিনিয়োগ ও প্রকাশের প্রচেষ্টাকে পাঠক দুঃসাহসিকতার সঙ্গে তুলনা করতেই পারেন। পাঠকের কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে আমরাও বলতে চাই- হ্যাঁ, আমাদের আছে অমিত সাহস। আর সাহস হবে সত্য প্রকাশে মুক্তচিন্তার দুরন্ত প্রকাশের স্পর্ধা। বৈশ্বিক বাজারে প্রায় সব পণ্যের মূল্য ঊর্ধ্বগতি। এ দেশও ব্যতিক্রম নয়। মুদ্রণ ও সংশ্লিষ্ট কাঁচামালের সংকট চলছে ডলার সমস্যার কারণে।
কাগজ, কালি, প্লেটের মূল্য বৃদ্ধির বিষয়টিও আমাদের ভাবতে হচ্ছে। এর সঙ্গে রয়েছে বৈদ্যুতিক খরচের বিষয়। দেশের বাজারে ১০ থেকে ১২ টাকা মূল্যমানের বাংলা সংবাদপত্র আছে। ৮ টাকারও রয়েছে। আমরা শুরুতেই বলেছি, আমাদের বাণিজ্যিক উদ্দেশ্য মুখ্য নয়। সবশ্রেণির আয়ের মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে মূল্য ৮ টাকা রাখাই যৌক্তিক মনে করছি।
পাঠক, আপনারা আমাদের মূল শক্তি ও পৃষ্ঠপোষক। আপনাদের হাত ধরেই প্রতিদিন আপনাদেরই সামনে হাজির হতে চাই নতুন তথ্যভাণ্ডার আর বিচিত্র বিষয়াদি নিয়ে। আমরা হারিয়ে যেতে চাই না, টিকে থাকতে এসেছি। আপনারা আমাদের সঙ্গে রাখবেন- এই বিনীত নিবেদন। সবাইকে শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা।
রূপালী বাংলাদেশ, সম্পাদক ও প্রকাশক
আপনার মতামত লিখুন :