বাংলাদেশে স্বাধীনতার পর নবনাট্য (প্রধানত প্রসেনিয়াম ধাঁচের নাগরিক নাট্য) চর্চার বয়স পঞ্চাশ পেরিয়ে বায়ান্ন বছরে পা রেখেছে। সময়টা একেবারে কম নয়। কী পেলাম আর কী পেলাম না, এ নিয়ে নিরপেক্ষ মূল্যায়নের রেফারেন্স আমাদের হাতে নেই। তেমন চুলচেরা বিশ্লেষণও চোখে পড়ে না। সাদা চোখে আমরা যা দেখছি তাতে বলা যায় শুরু পর্বের জৌলুস গত শতকের মধ্যে নব্বইয়ের দশক থেকেই ফিকে হতে শুরু করে। শুরুতে যে অভিযাত্রা বিভাগ, জেলা, জেলা থেকে থানা, এমন কি কোনো কোনো ক্ষেত্রে গ্রাম পর্যন্ত বিস্তার লাভ করেছিল তা এখন ক্রমাগত সঙ্কুচিত হতে হতে দুএকটি বিভাগীয় শহরসহ রাজধানীতে এসে গুঁটিয়ে গেছে। গ্রাম বা স্কুল-কলেজ এবং অধিকাংশ উচ্চ বিদ্যাপীঠে এখন আর নাট্যিক কর্মকাণ্ড নেই।
রাজধানীসহ বিভাগীয় পর্যায়ের নাট্যচর্চাও সাম্প্রতিককালে দিশাহীন। অধিকাংশ নাট্যদল সমাজ বদলের স্লোগানকে গুরুত্ব দিয়ে মাঠে নামলেও সমাজের ওপর সেসব দলের নাট্য কতটা ইতিবাচক ক্রিয়া করেছে, এ প্রশ্ন সামনে আনা হলে হতাশার পাল্লাই যে ভারি হবে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। সমাজের নানা চলক সবসময়ই পরিবর্তনশীল। নাট্যিক কর্মও তাই। এ কথা স্বীকার করতে হবে যে, কেবলমাত্র নাটক সমাজকে পাল্টে দিতে পারে না। সমাজ পরিবর্তনের নানা অনুষঙ্গের মধ্যে নাটক একটি অনুষঙ্গ মাত্র। তবে তা অন্যতম শক্তিশালী অনুষঙ্গ। আর নাট্যের এই শক্তি নির্ভর করে সমাজ পরিবর্তনের ইতিবাচক অনুষঙ্গগুলোর সঙ্গে নাটক কীভাবে খাপ-খাওয়াতে যোগ্য হয়ে উঠবে তার সক্ষমতার ওপর। এ ক্ষেত্রে বড় চ্যালেঞ্জ হলো- পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য নাটক অনেকগুলো বিকল্প থেকে কীভাবে উপযুক্ত বিকল্পকে বেছে নেবে তার অনুসন্ধান করা।
ভূ-রাজনীতি, সামরিক শাসন, অদক্ষ ও দুর্নীতিপরায়ণ সরকার-ব্যবস্থা, অথর্ব শিক্ষা-ব্যবস্থা, যুবক-তরুণদের ওপর নিউমিডিয়ার প্রায় একচেটিয়া প্রভাব, নাট্যিক কর্মে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতার নামে ব্যক্তিগত প্রকল্প ও লুটপাট এবং নানা জোট ও ফেডারেটিভ বডির ভোট এবং ক্ষমতাকেন্দ্রিক মানসিকতাসহ অন্যান্য নেতিবাচক কর্মকাণ্ড গত অর্ধ শতাব্দী ধরে আমাদের সমাজ-সংস্কৃতি-রাজনীতিকে যেভাবে ধীরে ধীরে খাদে নামিয়ে ফেলেছে সেদিকে আমাদের নাট্যাঙ্গনের মানুষের নজর যে প্রায় ছিলই না তা আজ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।
অতি সম্প্রতি দেশে অভূতপূর্ব রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটেছে এই পরিবর্তন ঘটেছে প্রধানত বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের নেতৃত্বে। ঘুণেধরা সমাজের অভ্যন্তর থেকে যুবক-তরুণদের এই জাগরণ আমাদের আশাবাদী করে। তারা যখন ফ্যাসিবাদের অপসারণ করে একটা বৈষম্যহীন অসাম্প্রদায়িক সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখান, যখন সম্প্রীতির বাংলাদেশের কথা বলেন, নতুন করে আর ফ্যাসিবাদের জন্ম হবে না এমনভাবে সিস্টেম সংস্কারের আশ্বাস দেন, তখন আমরা আশ্বস্ত হই বটে। তবে পাশাপাশি কাদের মধ্যে আকণ্ঠ ডুবে থাকা সমাজটাকে রাতারাতি কতটা ডাঙায় ওঠানো সম্ভব হবে, সে বিষয়ে শঙ্কাও থেকে যায়। বিগত কয়েক সপ্তাহ হলো আমরা সাধারণভাব সমাজকে যে চেহারার অবলোকন করছি তাতে আতঙ্কিত হতে হচ্ছে। এক ভয়াবহ পশ্চাৎপদ চিন্তা-চেতনা, উসকানি-গুজবে নিজেকে জড়িয়ে ফেলা, অসহিষ্ণুতা, হিংসা, ঘৃণা, মব জাস্টিস ইত্যাদি নজিরবিহীন নেতিবাচক উপসর্গগুলোকে দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে না পারলে সব প্রচেষ্টাই বৃথা হবে।
সাম্প্রতিক এই রাজনৈতিক পরিবর্তন ও পরিবর্তন পরবর্তী পরিস্থিতি মাথায় রেখে আমাদের নাট্য কীভাবে এর সঙ্গে খাপ-খাওয়াতে পারবে সেটা একটা বড় প্রশ্ন। বিশেষ করে যারা কেবলমাত্র বিনোদনের জন্য নাটক করেন না এবং নাটকের মাধ্যমে সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা ভাবেন তাদের অবশ্যই বিকল্পের সন্ধান করতে হবে। নিশ্চয়ই সেই বিকল্প চিন্তা কেবল নগরকেন্দ্রিক হলে আজকের অভাবনীয় পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়া সম্ভব হবে না। মূলত এই প্রেক্ষাপটেই বিকল্প নাট্য ‘মুক্তনাটক আন্দোলন’-এর অভিজ্ঞতার অবতারণা। বিকল্প থিয়েটারের ভাবনা নতুন কিছু নয়। প্রচলিত আঙ্গিক যখনই পরিবর্তিত সময়কে ধারণ করতে অক্ষম হয়েছে তখনই শুরু হয়েছে বিকল্পের সন্ধান। থিয়েটার বরাবরই সময়ের কাছে দায়বদ্ধ। সময়ের প্রয়োজনেই থিয়েটারকে প্রথাগত আঙ্গিক ভেঙে নতুন রূপে নতুন ভাবনায় আত্মপ্রকাশ করতে হয়েছে। কালের পরিক্রমায় এ এক নিরন্তর প্রক্রিয়া। আমাদের হাজার বছরের বাংলানাট্যকেও এভাবে বদলে বদলে এগোতে হয়েছে। এরমধ্যে কোনো বদল হয়তো বেশি দিন টিকে থেকে মূল ধারায় এসেছে। আবার সময়ের প্রয়োজনে তা গুরুত্ব হারিয়েছে, এসেছে বিকল্প ধারা। বাংলা নাট্যের স্বাভাবিক বিবর্তনের ধারা বাধাগ্রস্ত হয় ব্রিটিশ উপনিবেশকালে। ঔপনিবেশিক প্রসেনিয়াম থিয়েটার কলকাতার ওল্ড প্লে হাউজ ও বাবুদের বাগানবাড়ি ঘুরে অন্যান্য শহর এমন কি গ্রাম পর্যায়ে পৌঁছে যায়। এবং একপর্যায়ে তা মূলধারার নাট্য হয়ে ওঠে। এমন কি উত্তর-উপনিবেশ কালেও।
এ ধারা অনেকটা সৌখিন চেহারায় তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানেও লক্ষ্য করা যায়। তবে তা ছিল প্রধানত শহরকেন্দ্রিক। পাশাপাশি যাত্রা, পালা, সঙ ইত্যাদি নিজস্ব অসংখ্য ধারা গ্রামাঞ্চলে অচ্ছুতের সম্পদ হয়েই ধীরে ধীরে ফিকে হতে থাকে। আর স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে যে নবনাট্য আন্দোলন সূচিত হয় তাতে স্বাধীন দেশের পরিবর্তিত সময়ের প্রয়োজনের পরিবর্তে ঔপনিবেশিক প্রসেনিয়াম আঙ্গিকের দিকেই ঝোঁকটা প্রধান হয়ে ওঠে।
অবিভক্ত বাংলায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নেতৃত্বে ঠাকুরবাড়ির থিয়েটার স্রোতের বিপরীতে হাঁটতে চেষ্টা করেছে। মুকুন্দ দাসের নাট্য অভিযাত্রা এবং ভারতীয় গণনাট্য সংঘের প্রথা ভাঙার প্রচেষ্টাও এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া সাতচল্লিশে দেশ ভাগের পর ওপার বাংলায় পথনাটকের সূচনা এবং পরবর্তীতে বাদল সরকারের থার্ড থিয়েটারের মতো কিছু বিকল্প প্রচেষ্টা সত্ত্বেও এখনো সেখানে উপনিবেশ কালের প্রসেনিয়াম থিয়েটারই মূল ধারার নাট্য হয়ে টিকে আছে। উপরের উদাহরণ বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। বিগত পঞ্চাশ বছরে পথনাটক, গ্রাম থিয়েটার আন্দোলন বা মুক্তনাটক আন্দোলনের মতো বিকল্প নাট্যের প্রচেষ্টা সত্ত্বেও বাংলাদেশে এখনো প্রসেনিয়াম থিয়েটারই মূল ধারা। তবে এই ধারা এখন টিকে আছে পুরোপুরিই নাগরিক নাট্য হয়ে। অন্যদিকে গ্রাম থেকে এ ধারা এমন কি বাংলা নাট্যের ঐতিহ্যবাহী ধারাগুলো এখন প্রায় ঝাড়েবংশে হয়ে গেছে উধাও। এদিকে মূল ধারার নাগরিক নাট্যেও এখন কি দর্শক উপস্থিতি, কি সৃজনশীলতা, কি বিষয়বস্ত সব ক্ষেত্রেই ভাটার টান। এবারে বিকল্প নাট্যের কথায় আসা যাক।
গত পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশে বিকল্প থিয়েটারের প্রধানত তিনটি ধারা লক্ষ্য করা যায়। তিনটি ধারারই যাত্রাকাল গত শতকের আশির দশকে। ধারা তিনটি হলো- পথনাটক (যা এখন নখদন্তহীন), গ্রাম থিয়েটার ও মুক্তনাটক। এর মধ্যে পথনাটকের চর্চা এদেশে আগে থেকে হলেও তার নব আঙ্গিকের যাত্রা আশির দশকেই। এই তিনটি বিকল্প ধারার মধ্যে কোনো তুলনামূলক আলোচনায় না গিয়ে খুবই সম্ভাবনাময় বিকল্প ধারা মুক্তনাটক নিয়ে এ পর্যায়ে আলোকপাত করা হলো।
আমরা জানি যে, প্রচলিত সমাজে বিত্তহীন, নিম্নবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত, উচ্চমধ্যবিত্ত, উচ্চবিত্ত বিত্তের এমন পদসোপান বিদ্যমান রয়েছে। বৃত্তহীনকে তার ওপরের বিত্তে বা নিম্নবিত্তকে আরও উপরের বিত্তে ঠেলে পাঠানোর স্বপ্ন দেখানোর মধ্যে মানবিক মঙ্গল নিহিত আছে- এমন দর্শনের যে পথপরিক্রমা তার মধ্যেই অবগাহন করতে দেখা যায় আমাদের রাজনীতি-অর্থনীতি-শিল্প-সাহিত্যকে। এতে আমরা আপাত একটা ঘোরের মধ্যে থাকি এবং এর পক্ষে সাফাই গাই। ঘোর কেটে গেলে বোঝা যায়, এই টোটকা চিকিৎসার মধ্যে বিত্তের পদসোপান বা সিঁড়িকে টিকিয়ে রাখার ইঙ্গিতটাই রয়েছে, একে ভেঙে একই সমতলে স্থাপনের কোনো ডিসকোর্স নেই।
ঐতিহ্যবাহী বাংলানাট্যকে বাদ দিলে আমাদের নাগরিক নাট্যের প্রয়োজনে যেসব নাটক লেখা হয়, তাতে বিত্তের ঊর্ধ্বমুখী সিঁড়িকে ভাঙার চেষ্টা খুব একটা চোখে পড়ে না। ভারতীয় গণনাট্য সংঘের স্বল্পস্থায়ী প্রচেষ্টার পর তা আবার সহজেই মিলিয়ে যেতে দেখা যায়। সাতচল্লিশে ধর্মের ভিত্তিতে দেশ ভাগের পর থেকে স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত সময়ে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে ইউরোপীয় প্রসেনিয়াম-ঘেঁষা যে সীমিত নাট্যচর্চা এদেশের নাগরিক নাট্যে দেখা যায়, তার বিষয়বস্তুতেও এমন পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় না। স্বাধীনতার পরেও কিছুদিন এই ধারা অব্যাহত থাকে।
যদিও বাংলাদেশের সংবিধানের মূলনীতিতে সংযোজিত হয়েছিল সমাজতন্ত্র বা সাম্য প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন। বিরাজমান এই পরিস্থিতিতে নাটক রচনার ক্ষেত্রে অতি সীমিতসংখ্যক ব্যতিক্রমীদের মধ্যে সব থেকে উজ্জ্বল নাম মামুনুর রশীদ। বিশেষ করে গত শতকের সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়ে তার ‘ওরা কদম আলী’ ছিল এক ভিত নাড়িয়ে দেওয়া ধাক্কা। কি বিষয়বস্তুতে, কি ভাষায়, সহজেই এই নাটক দেশের শিকড় পর্যন্ত পৌঁছে যায়। বলা যায় তৎকালীন সমাজের আকাক্সক্ষাকে ধারণ করতে সক্ষম হয় বলেই দেশের সর্বত্র ব্যাপকভাবে এই নাটকটি মঞ্চস্থ হতে থাকে। ওরা কদম আলীর ধারায় মামুনুর রশীদের কলমের ডগা থেকে বেরিয়ে আসতে থাকে ‘ওরা আছে বলেই’, ‘ইবলিশ’ এর মতো নাটক। ওরা কদম আলী, ওরা আছে বলেই এবং ইবলিশ নাটকের গুণাগুণ বিচার এখানে মূল আলোচ্য বিষয় নয়। কিন্তু এগুলোর উল্লেখ এখানে প্রাসঙ্গিক এ কারণে যে, এগুলো থেকেই আমরা বুঝতে পারি নাট্যকার মামুনুর রশীদ সমাজে অর্থবিত্তকেন্দ্রিক যে শ্রেণিবৈষম্য, তাকে বুঝতে চান, বিশ্লেষণ করতে চান এবং একটা বৈষম্যহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন থেকেই নাটক রচনায় হাত লাগান। তিনি যে কেবল নাটক রচনার জন্যই নাটক লিখছেন না, এবং তিনি যে তার স্বপ্নের বাস্তবায়ন মাঠপর্যায়ে কার্যিক গবেষণার মাধ্যমে করতে চান তা সহসাই ধরা পড়ে তার পরবর্তী কার্যক্রমে।
নাটকের মাধ্যমে শ্রেণিবৈষম্য দূর করার লক্ষ্যকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই মামুনুর রশীদের হাতে আরণ্যক নাট্যদলের প্রতিষ্ঠা হয়েছে। তার নাটকগুলো নিজ দলে মঞ্চস্থও হতে থাকে। হতে থাকে অন্যান্য দলেও। কিন্তু প্রসেনিয়াম-ঘেঁষা নগরকেন্দ্রিক এই নাট্যদলগুলোর মাধ্যমে যে তার আকাক্সক্ষার বাস্তবায়ন সম্ভব নয়, এটা বুঝতে তার সময় লাগে না। তিনি বিকল্প অনুসন্ধান করতে থাকেন এবং এক সময়ে বিকল্প পেয়েও যান। তার সেই বিকল্পের নাম ‘মুক্তনাটক’। ১৯৮৪ সালের শুরুতে মামুনুর রশীদের নেতৃত্বে আরণ্যকের বেশ কয়েকজন সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন একটি কর্মশালা করার উদ্দেশ্যে। এর আগে কয়েকটি বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে গ্রাম পর্যায়ে স্থানীয় সমস্যা নিয়ে নাট্য নির্মাণের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন মামুনুর রশীদ ও তার দল। আমরা জেনেছি যে, বিশ্বের অন্যান্য দেশের নাট্যবোদ্ধাদের চিন্তা বিশেষ করে ব্রাজিলের অগাস্ত বোয়ালের ‘থিয়েটার অব দ্য অপ্রেসড’ (নিপীড়তের থিয়েটার) গ্রন্থটি এক্ষেত্রে বিশেষ প্রেরণা হিসাবে কাজ করেছিল। (চলবে)
লেখক:
মলয় ভৌমিক
নাট্যকার, নির্দেশক ও অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়
আপনার মতামত লিখুন :