শরীয়তপুরের জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল-আমিন আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছে জেলা পুলিশ।
ঢাকা থেকে আসা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডির ফরেনসিক টিম সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় অ্যাম্বুলেন্সে করে মৃত ওসি আল–আমিনের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
মৃত ওসি আল-আমিনের বাড়ি বরিশাল জেলার মুলাদি থানায়।
এদিকে, ওসি আল–আমিন গত দুই বছর ধরে বিষণ্নতায় (ডিপ্রেশন) ভুগছিলেন বলে পরিবারের বরাতে নিশ্চিত করেছেন শরীয়তপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ শরীফউজ্জামান।
পুলিশ ও নিহত ওসির পরিবার সূত্রে জানা যায়, গেল বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর জাজিরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে যোগ দেন আল-আমিন। প্রায় চার মাস ধরে ভালোভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বৃহস্পতিবার দুপুর সোয়া একটার দিকে থানার ডিউটিরত পুলিশ সদস্যরা দেখতে পায় ওসির শয়ন কক্ষের জানালার সঙ্গে তাঁর মরদেহ ঝুলছে।
পরে জেলা পুলিশ সুপারসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবগত করে থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা। বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে ঢাকা থেকে সিআইডি ফরেনসিক টিম এসে মরদেহর সুরতহালের কার্যক্রম শুরু করে।
এর আগে শরীয়তপুর পুলিশ লাইনস হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি মরদেহটি জানালার সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি এটি আত্মহত্যা। তবে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত বলতে পারব।
আপনার মতামত লিখুন :