ঢাকা বুধবার, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড

আহমেদ রিয়াজ

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২৪, ০২:২১ পিএম

সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড

ছবি: রূপালী বাংলাদেশ

পঞ্চাশ বছর আগে ১৯৭১-এর সেপ্টেম্বর ও যশোর রোড নিয়ে একটি কবিতা লেখা হয়। কবিতার নাম ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’ (সেপ্টেম্বরের যশোর রোড)। শোষকের বিরুদ্ধে শোষিতের পক্ষে দৃঢ়প্রত্যয়ী কবিতাটি অসম্ভব জনপ্রিয়- আজ অবধি। কবিতার বিষয় মুক্তিযুদ্ধ, বাংলাদেশের শরণার্থী ও যশোর রোড হলেও সেপ্টেম্বর মাসটিও পেয়ে যায় নতুন মাত্রা। যশোর রোড সম্পর্কে বেড়ে যায় কৌতূহল। সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশের শরণার্থী নিয়ে কী করে তৈরি হলো কালজয়ী এ কবিতাটি?

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে হাজার বছরের ঐতিহ্যময় বাঙালি জাতি পায় একটি মানচিত্র। সে মানচিত্রের নাম বাংলাদেশ। কিন্তু এ অর্জন সহজ ছিল না। সামরিক দিক দিয়ে পশ্চিম পাকিস্তান ছিল অনেক সমৃদ্ধ। এছাড়াও পাকিস্তানের প্রতি ছিল বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্রের অন্ধ সমর্থন। যদিও যুক্তরাষ্ট্রে নানা পর্যায়ের অনেকেই পাকিস্তানের এই নারকীয় হত্যাকাণ্ড সমর্থন তো করেইনি, বরং যার যার অবস্থান থেকে বাংলাদেশের অসহায়, নির্যাতিত মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়। বাংলাদেশের অসহায় মানুষের পক্ষে অবস্থান নেয়া এমনই এক নাম ‘অ্যালেন গিন্সবার্গ’।

পঞ্চাশ বছর আগে বাংলাদেশসীমান্ত ঘুরে অসহায় শরণার্থীদের দেখে, হৃদয় দিয়ে তাদের দুঃখ-কষ্ট অনুভব করেছিলেন কবি। আর লিখেছিলেন তার বিখ্যাত কবিতা ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’।

পূর্ব পাকিস্তানে নারকীয় হত্যাকাণ্ডের কারণে কোটির অধিক শরণার্থী আশ্রয় নেয় ভারতে। শরণার্থী শিবিরে অবর্ণনীয় দুর্ভোগের শিকার হয় তারা। গিন্সবার্গ সরেজমিনে ঘুরে ওই পরিস্থিতি তুলে প্রতিবেদন লিখবেন ‘রোলিং স্টোন’ পত্রিকায়। যুক্তরাষ্ট্রের খ্যাতনামা এই মাসিক ‘রোলিং স্টোন’ ১৯৬৭ সাল থেকে এখনও প্রকাশিত হচ্ছে। সংগীত, রাজনীতি, চলচ্চিত্র এবং জনপ্রিয় সংস্কৃতি-বিষয়ক পত্রিকাটি ১৯৭১ সালের সেপ্টেম্বরে গিন্সবার্গের হাতে কিছু টাকা তুলে দেয়।

সেপ্টেম্বরে কলকাতায় আসেন গিন্সবার্গ। এর আগেও বেশ কবার ভারতে এসেছিলেন তিনি। অনেকের সঙ্গেই তার চেনা-জানা আছে। এবার তার সঙ্গী হলেন বিবিসির হয়ে রিপোর্ট করতে আসা গীতা মেহতা ও সাহিত্যিক সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়। তাদের নিয়ে বিভিন্ন শরণার্থী শিবির ঘুরে বেড়ালেন গিন্সবার্গ। শিবিরের কষ্টকর জীবন দেখে তার কবি হৃদয় কেঁদে ওঠল।

মার্কিন সরকার তো এই নির্যাতনের বিপক্ষে কিছুই বলছে না। উল্টো পাকিস্তানকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। প্রতিবাদী গিন্সবার্গ সব দেখে ফিরে গেলেন নিউইয়র্ক। তারপর ‘যশোর রোড’ শিরোনামে লিখলেন একটি কবিতা।

কবিতাটি সম্পর্কে গিন্সবার্গ বলেছেন, ‘কলকাতা ঘুরে লাখ লাখ মানুষের সীমাহীন দুঃখ-কষ্ট দেখে আমার যে অনুভূতি তৈরি হয়েছে, তা-ই লিখলাম। সেসময়ে দেখা মানুষগুলোর অন্তহীন যাতনা আমাকে নির্বাক করেছিল। সব বয়সের মানুষের বেঁচে থাকার কষ্ট আমার বুকে চেপে বসেছিল। সেই যাতনা হৃদয়ে নিয়েই আমি লিখেছিলাম ‘যশোর রোড’ কবিতা।

নাসির আলী মামুন অ্যালেন গিন্সবার্গের একটি সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন। সেটি প্রকাশিত হয়েছিল ‘প্রথম আলো’ পত্রিকায় ২০১৯ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর। ওই সাক্ষাৎকারে গিন্সবার্গ বলেছেন, ‘‘...শরণার্থী শিবিরে ঘুরে নিজেকে খুব অপরাধী মনে হচ্ছিল আমার। অক্টোবরে নিউইয়র্কে ফিরে গেলাম। প্রতিদিনই ভাবতে থাকি, বাংলাদেশের জন্য আমি কী করতে পারি। হঠাৎ মাথায় এলো, আমি কবিতা লিখতে তো পারি। লিখেও প্রতিবাদ করা যায়। কদিন ঘরে থেকে লিখলাম দীর্ঘ কবিতা-‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’।’’

কবিতার মাধ্যমে বিশ্ববাসী ও মার্কিনিদের নজর কাড়তে চেয়েছিলেন তিনি। কাজী নজরুল ইসলাম যেমন ‘বিদ্রোহী’ কবিতা লেখার পর বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে না শোনানো পর্যন্ত কিছুতেই স্বস্তি পাচ্ছিলেন না, গিন্সবার্গেরও সেটা হয়েছিল। লেখার পর পরই তিনি ছুটে গিয়েছিলেন জন লেনন ও লেননের স্ত্রী ইয়োকো ওনোর অ্যাপার্টমেন্টে। তীব্র আবেগ, উত্তেজনা ও উৎকণ্ঠায় তিনি কবিতাটি পড়ে শোনান তাদের। শেষ করার পর জন লেননের চোখের দিকে তাকিয়ে গিন্সবার্গ বুঝতে পারলেন, তিনি সফল হয়েছেন। জন লেননের দুচোখে তখন নোনা জল।

এরপর ১৯৭১ সালের ২০ নভেম্বর সেইন্ট জর্জ চার্চে ‘বাংলাদেশের জন্য মার্কিনিরা’ শীর্ষক কবিতা পাঠের আসরে আবৃত্তি করেন ‘যশোর রোড’। অগণিত দর্শকের মধ্যে সেখানে বব ডিলানও উপস্থিত ছিলেন। কবিতাটি বব ডিলানকে এতটাই মুগ্ধ করেছিল যে, সে রাতেই গিন্সবার্গের অ্যাপার্টমেন্টে হাজির হলেন ডিলান এবং কবিতাটিকে গানে রূপ না দেয়া পর্যন্ত যেন কিছুতেই থামতে পারছিলেন না। আর গিন্সবার্গও গানের লিরিকের কথা মাথায় রেখেই কবিতার শব্দমালা সাজিয়েছিলেন। আর কী আশ্চর্য! তার মাথায় তখন বব ডিলান। ডিলানের পরিচিতি গায়ক হলেও, তিনিও ছিলেন কবি। এই তো মাস তিনেক আগে, নিউইয়র্কের মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনে আগস্টের এক তারিখ হয়ে গেল ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’। সেখানে বব ডিলানও গান গেয়েছেন। কাজেই বাংলাদেশের মানুষের প্রতি বব ডিলানের আলাদা একটা দরদ তো ছিলই। গান হয়ে গেল ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’। গানে কিন্তু কণ্ঠও দিয়েছেন স্বয়ং কবি গিন্সবার্গ আর গিটার বাজিয়েছেন ডিলান।

এরপর জন লেননের পরামর্শে ১৯৮৩ সালে গানটি রেকর্ড আকারে প্রকাশ করেন গিন্সবার্গ। তবে কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৭১ সালের ১৪ নভেম্বর নিউইয়র্ক টাইমস পত্রিকায় ‘যশোর রোড’ নামে। যদিও ১৫২ লাইনের সুদীর্ঘ কবিতাটির কেবল অর্ধেক ছাপা হয়েছিল। ছবি এঁকেছিলেন ড্যানিশ ব্যঙ্গচিত্র আঁকিয়ে ক্লাউস অ্যালব্রেকস্টেন। পুরো কবিতাটি গ্রন্থভুক্ত হয় গিন্সবার্গের ‘দ্য ফল অব আমেরিকা’ কাব্যগ্রন্থে। তবে বইয়ে কবিতার নাম বদলে রাখা হয় ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’। কাব্যগ্রন্থটি প্রকাশিত হয় ১৯৭২ সালের ১ জুন। ১৯৭৩ সালে বইটি কবিতার জন্য আমেরিকার ‘ন্যাশনাল বুক’ অ্যাওয়ার্ড অর্জন করে।

এমনিতেই যশোর রোড ছিল ঐতিহাসিক একটি সড়ক। ভীষণ মনোমুগ্ধকর। দুপাশে সারি সারি কড়ই গাছ। আর নানা কারণেই মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যশোর নামটি অন্য মাত্রা যুক্ত করেছে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর যশোর ক্যান্টনমেন্ট থেকে বেরিয়ে পাকিস্তানি সৈন্যরা যশোর শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছিল। রাস্তার ধারে পথচারী বা ঘুমন্ত মানুষ- যাকেই দেখতে পেয়েছে তাকেই গুলি করে হত্যা করেছে। পাকিস্তানিদের এই নির্বিচার হত্যাকাণ্ডে ভীতসন্ত্রস্ত মানুষ বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারতে আশ্রয়ের সন্ধানে ছুটে গিয়েছিল। বেনাপোলের ওপারে যশোর রোড ধরে বনগাঁ থেকে চাপাবাড়িয়া, টালিখোলা ভরে ওঠে শরণার্থী শিবিরে। যশোর রোডে তখন ছিল আশ্রয়প্রার্থী লাখো মানুষের স্রোত। ৬ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত হয়। ১১ ডিসেম্বর মুক্ত যশোর শহরের টাউন হল ময়দানে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। এই যশোর রোড ধরেই সে জনসভায় আসেন বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমেদসহ অন্য রাজনৈতিক নেতারা। জনসভায় বক্তৃতা দেয়ার পর ওই যশোর রোড ধরেই তারা আবার ওইদিন কলকাতায় ফিরে যান। এই যশোর রোড যেমন লাখ লাখ শরণার্থীর আসা-যাওয়ার সাক্ষী, তেমনি বাঙালির বিজয়েরও সাক্ষী। যশোর রোডেরও রয়েছে ঐতিহাসিক গল্প।

ভারতের কলকাতার শ্যামবাজার থেকে শুরু করে বারাসাত, বনগাঁ, পেট্রাপোল, বেনাপোল হয়ে বাংলাদেশের যশোরে এসে শেষ হয়েছে ‘যশোর রোড’।

১৮৪০ সালে সড়কটি তৈরি করিয়েছিলেন যশোরের জমিদার কালী পোদ্দার। যশোর শহরের বকচর থেকে ভারতের নদীয়ার গঙ্গাঘাট পর্যন্ত সড়কটির দৈর্ঘ্য ৮০ কিলোমিটার। হাজার হাজার শ্রমিক ১৮৪০ থেকে কাজ শুরু করার মাত্র দুই বছরের মধ্যে ১৮৪২ সালেই চলাচলের উপযুক্ত হয় সড়কটি। কালী পোদ্দারের তত্ত্বাবধানে রাস্তার দুপাশে অগণিত কড়ই গাছও লাগানো হয়েছিল। যাতে জমিদারের মাসহ অন্য পুণ্যার্থীরা শক্তিপীঠ কালীঘাটে তীর্থস্নানে যাওয়ার সময় দীর্ঘ পথশ্রমে গাছের ছায়ায় ক্লান্তি কাটাতে পারেন। সেসময় এই সড়ক নির্মাণে খরচ হয়েছিল ২ লাখ ৫৮ হাজার কড়ি। যদিও এখন যশোর রোডের দৈর্ঘ্য সবমিলিয়ে ১০৮ কিলোমিটার। এর মধ্যে যশোর থেকে বেনাপোল পর্যন্ত বাংলাদেশ অংশে ৩৮ কিলোমিটার আর ভারতের পেট্রাপোল থেকে কলকাতার দমদম পর্যন্ত ৭০ কিলোমিটার। কে জানত, পুণ্যার্থীদের পথশ্রম লাঘবের জন্য লাগানো যশোর রোডের দুপাশের গাছগুলোই ১৯৭১ সালে যুদ্ধের আগুনে তপ্ত, শঙ্কিত ও ভিটেমাটি হারানো লাখ লাখ শরণার্থীদের শীতল ছায়া দেবে?

রাস্তার দুপাশের দুশ বছরেরও বেশি বয়সি গাছগুলো এখনও মুগ্ধতা ছড়ায়। শীতল ছায়া তো বিলিয়ে যাচ্ছেই। আর সেই সঙ্গে মনে করিয়ে দিচ্ছে পঞ্চাশ বছর আগের সেপ্টেম্বরকে। মনে করিয়ে দিচ্ছে অ্যালেন গিন্সবার্গের ‘সেপ্টেম্বর অন যশোর রোড’।

১৫২ লাইনের বিশাল কবিতাটি বাংলায় অনুবাদও হয়েছে। পাঠকের জন্য এখানে খান মোহাম্মদ ফারাবীর অনুবাদটি দেয়া হলো-

“শত শত চোখ আকাশটা দেখে, শত শত শত মানুষের দল,

যশোর রোডের দুধারে বসত বাঁশের ছাউনি কাদামাটি জল।

কাদামাটি মাখা মানুষের দল, গাদাগাদি করে আকাশটা দেখে,

আকাশে বসত মরা ঈশ্বর, নালিশ জানাবে ওরা বল কাকে।

ঘরহীন ওরা ঘুম নেই চোখে, যুদ্ধে ছিন্ন ঘর বাড়ি দেশ,

মাথার ভিতরে বোমারু বিমান, এই কালোরাত কবে হবে শেষ।

শত শত মুখ হায় একাত্তর যশোর রোড যে কত কথা বলে,

এত মরা মুখ আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা কোলকাতা চলে।

সময় চলেছে রাজপথ ধরে যশোর রোডেতে মানুষ মিছিল,

সেপ্টেম্বর হায় একাত্তর, গরুগাড়ি কাদা রাস্তা পিছিল

লক্ষ মানুষ ভাত চেয়ে মরে, লক্ষ মানুষ শোকে ভেসে যায়,

ঘরহীন ভাসে শত শত লোক লক্ষ জননী পাগলের প্রায়।

রিফিউজি ঘরে খিদে পাওয়া শিশু, পেটগুলো সব ফুলে ফেঁপে ওঠে

এইটুকু শিশু এতবড় চোখ দিশেহারা মা কার কাছে ছোটে।

সেপ্টেম্বর হায় একাত্তর, এত এত শুধু মানুষের মুখ,

যুদ্ধ মৃত্যু তবুও স্বপ্ন ফসলের মাঠ ফেলে আসা সুখ।

কার কাছে বলি ভাতরুটি কথা, কাকে বলি করো, করো করো ত্রাণ,

কাকে বলি, ওগো মৃত্যু থামাও, মরে যাওয়া বুকে এনে দাও প্রাণ।

কাঁদো কাঁদো তুমি মানুষের দল তোমার শরীর ক্ষত দিয়ে ঢাকা,

জননীর কোলে আধপেটা শিশু এ কেমন বাঁচা, বেঁচে মরে থাকা।

ছোটো ছোটো তুমি মানুষের দল, তোমার ঘরেও মৃত্যুর ছায়া,

গুলিতে ছিন্ন দেহ মন মাটি, ঘর ছেড়েছোতো মাটি মিছে মায়া।

সেপ্টেম্বর হায় একাত্তর, ঘর ভেঙে গেছে যুদ্ধের ঝড়ে,

যশোর রোডের দুধারে মানুষ এত এত লোক শুধু কেন মরে।

শত শত চোখ আকাশটা দেখে, শত শত শত শিশু মরে গেল,

যশোর রোডের যুদ্ধ ক্ষেত্রে ছেঁড়া সংসার সব এলোমেলো

কাদামাটি মাখা মানুষের দল, গাদাগাদি করে আকাশটা দেখে,

আকাশে বসত মরা ঈশ্বর, নালিশ জানাবে ওরা বল কাকে।

ঘরহীন ওরা ঘুম নেই চোখে, যুদ্ধে ছিন্ন ঘর বাড়ি দেশ,

মাথার ভিতরে বোমারু বিমান, এই কালোরাত কবে হবে শেষ।

শত শত মুখ হায় একাত্তর যশোর রোড যে কত কথা বলে,

এত মরা মুখ আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা কোলকাতা চলে,

এত মরা মুখ আধমরা পায়ে পূর্ব বাংলা কোলকাতা চলে।”

 

তথ্য সূত্র: প্রথম আলো ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯, বব ডিলান ওয়েবসাইট, নিউইয়র্ক টাইমস ওয়েবসাইট।

লেখক: শিশুসাহিত্যিক, কলাম লেখক

আরবি/ এইচএম

Link copied!